সম্পাদকীয় (২)
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
চলমান বন্যায় প্রায় তিন লাখ হেক্টর জমির আউশ ও আমন আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার এই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চাল উৎপাদনে। এবার আউশ মৌসুমে তিন লাখ টন এবং আমন মৌসুমে চার লাখ টন চালের উৎপাদন কমতে পারে। সব মিলিয়ে এই দুই মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হতে পারে সাত লাখ টন।
সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকা এবং পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়িতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি।
মূলত বন্যার পরে দুর্গত এলাকার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। কৃষিনির্ভর মানুষ, বন্যার কারণে যাদের ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কাঠ ও টিনের তৈরি বাড়ি কিংবা একতলা দালানের ভেতরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র নষ্ট করেছে। ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। যাদের ব্যাংকে অতিরিক্ত অর্থ জমা নেই। এসব মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইটা বন্যার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা কোনও আত্মীয় অথবা প্রতিবেশীর দোতলা তিনতলা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেয়েও কঠিন।
বন্যার দিনগুলোয় সরকারি-বেসরকারি নানা উৎস থেকে কিছু খাদ্য সহায়তা তারা পেয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত দুবেলা খিচুড়ি রান্না হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও হয়তো হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে তার লড়াইটা একার।
বন্যার পানিতে ডুবে তার যে টিউবওয়েলটা নষ্ট হলো-সেটি ঠিক না করা পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির সংকট তাকে চোখ রাঙাবে। নতুন করে ফসল বোনার পরে সেটি উঠতে উঠতে যে সময় চলে যাবে, এই সময়কালে তাকে কেউ ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা দেবে না। ভেঙে যাওয়া ঘর পুনর্নির্মাণে যে খরচ হবে, সেটি জোগাড়ের সামর্থ্য অনেকেরই নেই। অনেককে ধারদেনা করতে হবে। সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তা নিতে হবে। আত্মসম্মানবোধের কারণে এই সহায়তা নিতে অনেকের মন সায় দেবে না। কিন্তু নিরুপায় হয়ে সেটিও করতে হবে।
সরকারের তরফে কিছু প্রণোদনা হয়তো দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রণোদনার পরিমাণ কেমন এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই সেটি পাবেন কিনা, তা বিরাট প্রশ্ন।
বন্যায় যাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জীবন বাঁচাতে হয়েছে। এ অবস্থায় আর্থিকভাবে সচ্ছল নন এমন মানুষদের পাশে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগও নিতে হয়। যেমন নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের প্রচুর মানুষ প্রবাসী। তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসতে পারেন।
বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় শুরুতেই আসে গৃহনির্মাণ বা সংস্কারের বিষয়টি। এরপরে আসে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা সচল করা। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানির যে উৎসগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো সংস্কার তথা সচল করার উদ্যোগটা নিতে হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নানারকম অসন্তোষের খবর গণমাধ্যমে আসছে। বদলি, ওএসডি, চাকরিচ্যুতি এমনকি বিগত সরকারের সুবিধাভোগী অভিযোগে আক্রমণের শিকার হওয়া এবং বিগত দিনে পদোন্নতি বঞ্চিতদের আন্দোলন-সব মিলিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই ঠিকমতো নাগরিকদের সেবা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ আছে।
অতএব, দেশের অন্য এলাকার সরকারি অফিসগুলোর সঙ্গে এ মুহূর্তে বন্যাকবলিত বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর তুলনা করা যাবে না। এসব জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বন্যা পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। দেখার কেউ নেই।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কথিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলের চেয়েও উর্ধ্বমূখী বর্তমান বাজার দর। বাজার নিয়ন্ত্রণে উপদেষ্টা সরকারের ব্যর্থতা জনগণকে সংক্ষুব্ধ করছে। এক্ষুনি এর উপশম না হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব চরম ব্যর্থ বলে প্রতিপন্ন হবে। আবার ছাত্র জনতা মাঠে নামবে ইনশাআল্লাহ।
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ।
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধি তৈরি করে মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)