প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (৪)
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহদি রহমতুল্লাহি আলাইহমি উনাদরে অভমিত
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
{ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ} فَلِلنَّاسِ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَقَالَاتٌ كَـثِيْـرَةٌ جِدًّا لَـيْسَ هٰـذَا مَوْضِعَ بَسْطِهَا وَاِنَّـمَا يُسْلِكُ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَذْهَبُ السَّلَفِ الصَّالِحِ مَالِكٌ وَالْاَوْزَاعِىُّ وَالثَّـوْرِىُّ وَاللَّـيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَالشَّافِعِىُّ وَاَحْمَدُ بْنُ حَنْـبَلٍ وَاِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ وَغَيْـرُهُمْ مِنْ اَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْـنَ قَدِيْـمًا وَحَدِيْـثًا وَهُوَ اِمْرَارُهَا كَمَا جَاءَتْ مِنْ غَيْـرِ تَكْيِـيْفٍ وَلَا تَشْبِيْهٍ وَلَا تَـعْطِـيْلٍ
অর্থ: “ (ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ)। এ স্থানে লোকেরা বহু মতামত পেশ করেছেন এবং বহু জল্পনা-কল্পনা করেছেন। এখানে এগুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমরা শুধুমাত্র পূর্ববর্তী গুরুজনদের মাযহাব অবলম্বন করেছি। উনারা হচ্ছেন হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত আওযায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত লায়েস ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইমাম শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মুসলিম ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম- উনাদের অভিমত হচ্ছে- (ইস্তাওয়া সম্পর্কে) যেরূপ বর্ণিত রয়েছে সেরূপ বিশ্বাস স্থাপন করা কোনো কাইফিয়্যাত বা ধরণ,অবস্থা, সাদৃশ্যত্য ও সংখ্যা নির্ধারণ ছাড়াই।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩/৪২৬-৪২৭)
তাফসীরে বাগভী, মাযহারী, আল আসমা ওয়াছ ছিফাত লিলবাইহক্বী, লাওয়ামি‘উল আনওয়ারসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَسَاَلَ رَجُلٌ مَالِكَ بْنَ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰـى عَنْهُ عَنْ قَـوْلِهٖ ﴿ اَلرَّحْـمـٰـنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى ﴾ كَـيْفَ اسْتَـوٰى؟ فَاَطْرَقَ رَاْسَهٗ مَلِـيًّا وَعَلَاهُ الرُّحَضَاءُ ثُـمَّ قَالَ اَلْاِسْتِوَاءُ غَيْـرُ مَـجْهُوْلٍ وَالْكَـيْفُ غَيْـرُ مَعْقُوْلٍ وَالْاِيْـمَانُ بِهٖ وَاجِبٌ وَالسُّؤَالُ عَنْهُ بِدْعَةٌ وَمَا اَظُـنُّكَ اِلَّا ضَالًّا ثُـمَّ اَمَرَ بِهٖٖٖٖٖٖٖٖٖ فَاُخْرِجَ
অর্থ: “এক ব্যক্তি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- (আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস্তাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন? তখন তিনি উনার মাথা মুবারক অবনত করে সুদীর্ঘ সময় নিশ্চুপ থাকেন। আর উনার অবস্থা এমন হয় যে, প্রচুর পরিমাণ ঘাম ঝড়ে উনার পুরো শরীর ভিজে যায়, তিনি ক্লান্ত হয়ে যান। তারপর তিনি বলেন, ইস্তাওয়াটা সকলের জানা। এর কাইফিয়্যাত বা ধরণ সবার আক্বল বা বুঝের বাইরে। এই বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব। আর এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদা‘য়াত তথা গোমরাহী। আমি তোমাকে গোমরাহ মনে করি। তারপর তিনি সুওয়ালকারীকে বের করে দেয়ার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। তখন তাকে বের করে দেওয়া হয়।” (তাফসীরে বাগবী ২/১৯৭, তাফসীরে মাযহারী ৩/৩৫৯)
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
نُقِرُّ بِاَنَّ اللهَ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى مِنْ غَيْـرِ اَنْ يَّكُوْنَ لَهُ حَاجَةٌ اِلَيْهِ وَاسْتِقْرَار عَلَيْهِ وَهُوَ الْـحَافِظُ لِّلْعَرْشِ وَغَيْـرِ الْعَرْشِ فَـلَوْ كَانَ مُـحْتَاجًا لَـمَّا قَدَرَ عَلٰى اِيْـجَادِ الْعَالَـمِ وَتَدْبِـيْـرُهُ كَالْـمَخْلُوْقِ وَلَوْ كَانَ مُـحْتَاجًا اِلَـى الْـجُلُوْسِ وَالْقَرَارِ فَـقَبْلَ خَلْقِ الْعَرْشِ اَيْنَ كَانَ اللهُ تَـعَالٰـى! تَـعَالَـى اللهُ عَنْ ذٰلِكَ عُلُوًّا كَبِيْـرًاـ
অর্থ: “(হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আল ওয়াছিয়্যাহ’ নামক কিতাবে বর্ণনা করেন,) আমরা স্বীকৃতি দেই যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীমের উপর ইস্তাওয়া হয়েছেন। যদিও আরশে আযীমের উপর ইস্তাওয়া হওয়ার এবং তার উপর স্থির হওয়ার উনার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীম এবং আরশে আযীম ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির হিফাযতকারী। যদি তিনি মুহতাজ হতেন তাহলে তিনি সৃষ্টি জগৎকে অস্তিত্বে আনতে এবং তা পরিচালনা করতে সক্ষম হতেন না। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন- সৃষ্টি জগৎ সক্ষম নয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি বসা এবং অবস্থান করার মুহতাজ হতেন তাহলে আরশে আযীম সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে তিনি কোথায় ছিলেন? মহান আল্লাহ পাক তিনি এটা থেকে বহু উর্ধ্বে ছিলেন।” (আল ওয়াছীয়্যাহ্ ১০পৃ., শারহুল ফিক্বহিল আকবার ৬১ পৃ.,)
‘লাওয়ামি‘উল আনওয়ার’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছে,
وَرُوِىَ عَنِ الْاِمَامِ الشَّافِعِىِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ اَنَّهٗ سُئِلَ عَنِ الْاِسْتِوَاءِ اٰمَنْتُ بِلَا تَشْبِيْهٍ وَصَدَّقْتُ بِلَا تَـمْثِيْلٍ وَاِتَّـهَمْتُ نَـفْسِىْ فِـى الْاِدْرَاكِ وَاَمْسَكْتُ عَنِ الْـخَوْضِ فِيْهِ كُلَّ الْاِمْسَاكِ
অর্থ: “হযরত ইমাম শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে যে, উনাকে ইস্তাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘(মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া হয়েছেন, এই ব্যাপারে) আমি ঈমান এনেছি (তা) তাশবীহ ব্যতীত, বিশ্বাস করেছি (তা) সাদৃশ্যতা ব্যতীত, (এ বিষয়ে) জানার ব্যাপারে আমি নিজেকে অভিযুক্ত করেছি অর্থাৎ এই বিষয়ে আমার জানা নেই এবং এই ব্যাপারে সমস্ত প্রকার অনর্থক কথা-বার্তা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি।” (লাওয়ামি‘উল আনওয়ার ১/২০০, আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ ১/১৮)
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
اِسْتَـوٰى كَمَا ذَكَرَ لَا كَمَا يَـخْطُرُ لِلْـبَشَرِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন, যেমন তিনি আলোচনা করেছেন। ঐ রকম না, যেরূপ মানুষের অন্তরে উদয় হয়।” (লাওয়ামি‘উল আনওয়ার ১/২০০)
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
نَـحْنُ نُـؤْمِنُ بِاَنَّ اللهَ عَلَى الْعَرْشِ كَيْفَ شَاءَ وَكَمَا شَاءَ بِلَا حَدٍّ وَلَا صِفَةٍ يَــبْـلُغُهَا وَاصِفٌ اَوْ يَـحُدُّهٗ اَحَدٌ فَصِفَاتُ اللهِ مِنْهُ وَلَهٗ وَهُوَ كَمَا وَصَفَ نَـفْسَهٗ لَا تُدْرِكُهُ الْاَبْصَارِ
অর্থ: “আমরা বিশ্বাস করি যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীমের উপর আছেন, যেভাবে ইচ্ছা, যেমন ইচ্ছা, কোনো সীমারেখা ব্যতীত যা কেউ নির্দিষ্ট করেছে এবং কোনো ছিফত ব্যতীত যা কোনো বর্ণনাকারী বর্ণনা করে। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফত মুবারক উনার থেকে এবং উনার জন্য। আর তিনি নিজেকে যেমন বর্ণনা মুবারক করেছেন, তিনি তেমন-ই। চক্ষুসমূহ উনাকে দেখেনি।” (তাযকিরাতুল হুফ্ফায)
হযরত ইমাম শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ’ উনার মধ্যে বলেন,
سَاَلَ رَجُلٌ اَلْاِمَامَ مَالِكَ بْنَ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ قَـوْلِه تَـعَالـٰـى اَلرَّحْـمـٰـنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى فَـقَالَ اَلْاِسْتِوَاءُ غَيْـرُ مَـجْهُوْلٍ وَالْكَـيْفُ غَيْـرُ مَعْقُوْلٍ وَالْاِيْـمَانُ بِهٖ وَاجِبٌ وَالسُّؤَالُ عَنْهُ بِدْعَةٌ وَمَا اَرَاكَ اِلَّا مُبْـتَدِعًا وَاَمَرَ بِهٖ اَنْ يَّـخْرُجَ وَقَالَ اِمَامُنَا الشَّافِعِىُّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ لَـمَّا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ اٰمَنْتُ بِلَا تَشْبِيْهٍ وَصَدَّقْتُ بِلَا تَـمْثِيْلٍ وَاِتَّـهَمْتُ نَـفْسِىْ فِـى الْاِدْرَاكِ وَاَمْسَكْتُ عَنِ الْـخَوْضِ فِيْهِ كُلَّ الْاِمْسَاكِ وَقَالَ الْاِمَامُ اَبُـوْ حَنِيْـفَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ مَنْ قَالَ لَا اَعْرِفُ اللهَ اَفِـى السَّمَاءِ هُوَ اَمْ فِـى الْاَرْضِ فَـقَدْ كَفَرَ لِاَنَّ هٰـذَا الْقَوْلَ يُـوْهَمُ اَنَّ لِلْحَقِّ مَكَانًا وَمَنْ تَـوَهَّمَ اَنَّ لِلْحَقِّ مَكَانًا فَـهُوَ مُشَبِّهٌ وَسُئِلَ الْاِمَامُ اَحْمَدُ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ الْاِسْتِوَاءِ فَـقَالَ اِسْتَـوٰى كَمَا اَخْبَـرَ لَا كَمَا يَـخْطُرُ لِلْـبَشَرِ
অর্থ: “এক ব্যক্তি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- (আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস্তাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। জবাবে হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ইস্তাওয়াটা সকলের জানা। এর কাইফিয়াত বা ধরণ সবার আক্বল বা বুঝের বাইরে। এই বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব। আর এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদা‘য়াত তথা গোমরাহী। আমি তোমাকে গোমরাহ মনে করি। তারপর তিনি সুওয়ালকারীকে বের করে দেয়ার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। আর আমাদের সম্মানিত ইমাম হযরত শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যখন ইস্তাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘(ইস্তাওয়ার ব্যাপারে) আমি ঈমান এনেছি (তা) তাশবীহ ব্যতীত, বিশ্বাস করেছি (তা) সাদৃশ্যতা ব্যতীত, (এ বিষয়ে) জানার ব্যাপারে আমি নিজেকে অভিযুক্ত করেছি অর্থাৎ এই বিষয়ে আমার জানা নেই এবং এই ব্যাপারে সমস্ত প্রকার অনর্থক কথা-বার্তা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি।’ আর হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে, আমি জানিনা মহান আল্লাহ পাক তিনি কি আসমানে আছেন, নাকি যমীনে? তাহলে নিঃসন্দেহে সে কুফরী করলো। কেননা এর মাধ্যমে ধারণা করা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার একটি নির্দিষ্ট মাকান বা স্থান রয়েছে। আর যে ব্যক্তি এরূপ ধারণা করবে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার একটি নির্দিষ্ট মাকান বা স্থান রয়েছে, সে মুশাব্বিহা ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।’ হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ইস্তাওয়া’ সম্পর্কে সুওয়াল করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন, যেমন তিনি সংবাদ দিয়েছেন। ঐ রকম না, যেরূপ মানুষের অন্তরে উদয় হয়।” (আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ ১/১৮-১৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)