প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (২)
, ২২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
اَللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمـٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَـيْـنَـهُمَا فِـىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ
অর্থ: “সেই খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমানসমূহ (সাত আসমান) এবং সমস্ত যমীন (সাত যমীন) এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, এই সমস্ত কিছু ছয় দিনে অর্থাৎ ছয় ধাপে সৃষ্টি করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
আবার আরশে আযীম থেকে ঠিক সম উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। অর্থাৎ তাহতাছ ছারা থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত যে পরিমাণ জায়গা; ঠিক আরশে আযীম থেকে সেই পরিমাণ উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। যা খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম মুবারক হওয়া মাত্রই সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, كُنْ فَـيَكُوْنُ অর্থ: ‘হও, হয়ে গেছে।’ সুবহানাল্লাহ!
এখন এখানে যেটা বলা হচ্ছে-
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ
(ছুম্মাস্ তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) মানুষ তো আসলে ফিকির করেনি। অর্থটা খুব সহজ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
هُوَ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمـٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِـىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ
অর্থ: “তিনি সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমান-যমীন ৬ দিনে অর্থাৎ ৬ ধাপে সৃষ্টি করেছেন। (কারণ দিন তো তখন ছিলো না।) ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেক লেখেছে- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন- মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আল্লাহ’ শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।” ঠিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া থেকেও পবিত্র। আসলে ইস্তাওয়ার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো সম্পর্ক নেই। মূল বিষয় হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খলক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি। এটা হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! অন্য কোনো অর্থ না। ‘আমি ইস্তাওয়া করবো। আমি উপরে উঠবো, বসবো কেনো?’ মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ছমাদ-বেনিয়াজ, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বেনিয়াজ।
বুঝতে পেরেছো কি আমার কথা মুবারক? ‘আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি।’ এটা হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَالْـجِبَالَ اَوْتَادًا
অর্থ: “পাহাড়কে আমি পেরেক হিসেবে স্থাপন করেছি।” যমীনকে স্থীর করার জন্য। আর আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের পার্থক্য সূচনা করার জন্য আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চে আরশে আযীমকে আমি স্থাপন করে দিয়েছি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! বুঝতে পারলে অর্থ? এখন কি অর্থ বলতে হবে? কি অর্থ করবে? যেটা করেছি। যেটা বলা হয়েছে।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এই মাসের ৩ তারীখ অর্থাৎ ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুল আহাদ শরীফ (রবিবার) চাশতের সময় আমি দেখলাম- যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদের দুইজনকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারা নিজ থেকে আমাকে জানিয়েছেন। আমি খুঁজতেছিলাম যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কিভাবে? কি হবে? কিন্তু ঐ সময় আমি কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। ঐ সময় আমি জিজ্ঞাসা করিনি। আমি আগেই খুঁজতেছিলাম। এগুলো তো বললে আর পাওয়া যায় না; অনেক মুরাকাবা-মুশাহাদা করতে করতে করতে করতে যদি কোনো সময় পাওয়া যায়। তখন আমাকে উনি জানালেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, ‘আসলে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ এরা যা করে, এটা কোনোটাই এটার সাথে মিল নেই। এরা যা বলে, এটার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তো এটার মুহতাজ না। প্রকৃপক্ষে ইস্তাওয়া হচ্ছে- আলমে খ¦লক্ব আর আলমে আমরের মধ্যে একটা পার্থক্য সূচনা করা। আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চে আরশে আযীমকে স্থাপন করা হয়েছে।’ পাহাড়কে যেমন পেরেক হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এরকম দেয়া হয়েছে। আরশে আযীম সম্মানিত। ঠিকই আছে; জিন-ইনসানের জন্য। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের জন্য তো সেটা না। উনারা নিজের থেকে আমাকে এটা বললেন যে, ‘বিষয়টা হচ্ছে, এরকমই। এটা ইস্তাওয়া। আসলে অর্থ হচ্ছে- আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা এগুলোর মুহতাজ না। এটা ভাষাগত মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রকাশ করছেন। সেটা ভাষাগতভাবেই এরকম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ স্বয়ং খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঈদের দিন। আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আজ শ্রেষ্ঠ দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন। আজ কায়িনাতের সবশ্রেষ্ঠ দিন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করলে উনারা খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘আমরা আমাদের পুরো জিন্দেগী মুবারক ব্যয় করেছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল বুলন্দী শান-মান মুবারক প্রকাশ করার জন্য। আর আপনি সেটা এককভাবে করে যাচ্ছেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফে থাকাকালীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জলীলুল ক্বদর নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের স্বপ্নে কথোপকথনের মুবারক বর্ণনা
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী হুলিয়া মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুস সাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হস্ত) মুবারক উনার বরকতময় মু’জিযাহ শরীফ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ কুল-কায়িনাতের সকল রাত ও দিনের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও ফযীলতপূর্ণ রাত ও দিন মুবারক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ’ পাঠরে গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘যারা চূ-চেরা করে, এরা ধ্বংস হয়ে যাবে’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)