প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
, ২৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে বর্তমানে প্রতিবছর ৬২-৬৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হারবাল সামগ্রী বিক্রি হয়। হারবাল সামগ্রীর আন্তর্জাতিক চাহিদা প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আমাদের নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশ্ববাজারে হারবাল ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তারা প্রতি বছর এ খাতে প্রায় ১ হাজার কোটি রুপি আয় করে থাকে। নেপালও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে হারবাল সামগ্রী রফতানি শুরু করেছে।
আমাদের দেশে স্মরণাতীত কাল হতেই হারবাল ওষুধ ব্যবহƒত হয়ে আসছে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে হারবাল ওষুধ রফতানির কোন উদ্যোগ এখনও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। স্থানীয় চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করা হচ্ছে দেশে উৎপাদিত হারবাল সামগ্রী দিয়ে। ইদানীং আমাদের দেশে হারবাল ওষুধ নিয়ে কিছুটা হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এখন প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হারবাল চিকিৎসার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় গুণ সম্পর্কে বলা হয়, এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া তুলনামূলক স্বল্পমূল্যের কারণে যে কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো আমাদের দেশেও ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
একটি সূত্র মতে, বাংলাদেশ প্রতিবছর ৫ থেকে ৬শ’ কোটি টাকার হারবাল সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করে। এর বেশিরভাগই আসছে ভারত থেকে। অথচ পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে বাংলাদেশ হারবাল সামগ্রী উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে হারবাল সামগ্রী রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেতে পারে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া যে কোন ধরনের হারবাল সামগ্রী উৎপাদনের জন্য খুবই সহায়ক। স্বল্প পুঁজি এবং প্রায় বিনা পরিশ্রমে আমাদের দেশে হারবাল সামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু এখনও বিষয়টি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।
গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে এক সময় প্রায় ৬শ’ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যেত। এখন এদের অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে অথবা বিলুপ্তির পথে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক তা হল, ভেষজ সামগ্রী শুধু যে হারবাল চিকিৎসায় কাজে লাগে তা নয়। এলোপ্যাথিক ওষুধেরও প্রায় ২৫ শতাংশ উপকরণ সংগ্রহ করা হয় ভেষজ সামগ্রী থেকে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনও হারবাল চিকিৎসা বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ৮০ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে হারবাল সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে।
অতি পরিচিত বৃক্ষ নিম গাছকে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই সাধারণ নিমগাছ থেকে প্রায় দেড়শ’ রোগের ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের দেশের ওষুধ শিল্পে ভেষজের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। দেশে অতি সাধারণ অনেক বৃক্ষ আছে যা চমৎকার ঔষধি গুণসম্পন্ন। কিন্তু এগুলো সম্পর্কে আমরা মোটেও জ্ঞাত নই। তাই এদের বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে হারবাল সামগ্রীর চাহিদা যেভাবে বাড়ছে তা বিস্ময়কর।
উল্লেখ্য, আমাদের এখানে উৎপাদিত হারবাল সামগ্রী বিশ্বের যে কোন দেশের হারবাল সামগ্রীর চেয়ে অতুলনীয়। আমাদের এখানে অবহেলা-অনাদরে জন্ম নেয়া হারবাল বৃক্ষ আমলকী, হরতকী, নিম, ঘৃতকুমারি, বহেড়া, চিরতা, শিমুল, পাথরকুঁচি, স্বর্পগন্ধা, কালোমেঘ, বেল, করমচা ইত্যাদি সহজেই আন্তর্জাতিক বাজারে ঠাঁই করে নিতে পারে।
আশার কথা এই যে, আমাদের দেশের কোন কোন স্থানে ইদানীং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হারবাল উদ্ভিদ চাষ শুরু হয়েছে। এই প্রবণতা অব্যাহত রাখা গেলে আগামীতে আমরাও হারবাল সামগ্রী রফতানিতে অংশ নিতে পারব।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক তা হল, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে ইতোমধ্যেই তার সম্ভাবনা জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। এলোপ্যাথিক ওষুধের মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশই এখন স্থানীয়ভাবে মেটানো হয়।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ বিশ্বের ৬৫টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। এখানে বছরে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করি তাহলে হারবাল সামগ্রী রফতানি করেও কয়েকশ’ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
পাশাপাশি ওষুধ শিল্প একটি শ্রমঘন শিল্প বিধায় এতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এ খাত বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
মূলতঃ এসব দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)