সম্পাদকীয় (১)
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
, ১৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ- যে দেশের প্রত্যেকটি খাতে লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে বহুবিধ নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। আর এ সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রেও আলোচিত হচ্ছে, প্রচলিত উৎসের বাইরেও আরো অনেক সমৃদ্ধ উৎসের কথা।
দৈনিক আল ইহসান শরীফের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এ ধরনের ভাসমান সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জন্য কোনো জমি অধিগ্রহণ করতে হয় না। সরকারি নীরাশয়ে নির্বিঘেœ এ ধরনের প্লান্ট স্থাপন করা সম্ভব। অনেকে বাড়ির ছাদে এ ধরনের সৌর প্যানেল বসাতে চায়। কিন্তু স্থানাভাব সেখানে একটি বড় প্রশ্ন। ছোট বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল উপযুক্তভাবে কাজ করতে পারে না। নীরাশয়ের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
বাংলাদেশের পানিভূমির পরিমাণ ৫.২৮ লাখ হেক্টর অর্থাৎ মোট আয়তনের ১১.৫৪%। এর যদি ২০% ব্যবহার করা যায় তাহলে ব্যবহৃত নীরাশয় হবে ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর বা ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩২ একর। প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন অনধিক ৫ একর; তাহলে ২০% নীরাশয়ে ৫২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে; যা ২০৫০ সাল অবধি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাবে। আর বিশেষ করে, বাংলাদেশের নিরাশয়গুলো বেশিরভাগই প্রভাবশালী একটি অসৎ গোষ্ঠীগুলো দখল করে রেখেছে। যদি এই নিরাশয়গুলোতে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে, একদিকে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পুরন হবে অন্যদিকে দেশের নিরাশয়গুলোও দখলমুক্ত রাখা যাবে।
দেশে বৃহৎ পরিসরে এ পদ্ধতিতে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাই ও সমস্যা নিরূপণে ৬৪ কিলোওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারিবিহীন একটি সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট বিসিএসআইআরের অভ্যন্তরীণ গ্রিডের সঙ্গে স্থাপন করেছে বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যায়, স্থাপিত সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট (ব্যাটারিবিহীন) থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইউনিট প্রতি মাত্র ৭ টাকা ৩৭ পয়সা, প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে যা অনেক কম। ব্যয়বহুল ব্যাটারির বিকল্প এই থিন সোলার সেল-এর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব। এ থিন সোলার সেলের আয়ুষ্কাল প্যানেলের সমান হবে। পাশাপাশি এর খরচও কম। সরকার ভাসমান সোলার প্রজেক্টে যদি থিন সোলার সিষ্টেম কাজে লাগায় তাহলে সৌরবিদ্যুৎ বাংলাদেশে অনেক সহজলভ্য হবে।
বলাবাহুল্য, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, ঘুষ লেনদেন আর লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ খাতে প্রতি বছর প্রায় লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। যদি বিদ্যুৎ খাতকে সৌরনির্ভর করা হয়, তাহলে দেশের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট, দুর্নীতি ও গচ্চার হাত থেকে রক্ষা পাবে। বছরে সেচকাজের ১০ লাখ টন ডিজেল এবং প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার টন কেরোসিন তেল সাশ্রয় হবে সরকারের। সেইসাথে বিদ্যুৎ খাতের প্রতিবছর নেয়া নানা রকম অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোর অর্থ দিয়ে সৌরখাতকে উন্নত করে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বিদ্যুৎ সরবরাহ জনগণকে উপহার দেয়া যাবে। পাশাপাশি এই খাতে কর্মংসংস্থানের একটি দ্বার খুলে যাবে দেশে।
সঙ্গতকারণেই আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত- নবায়নযোগ্য জ্বালানির এই ক্ষেত্রটির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া। বিসিএসআইআর-এর গবেষকরা গবেষণা করে সৌরবিদ্যুতের খরচ কমানোর যে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, তা সত্যিই আশাব্যাঞ্জক। যদি এই সৌরবিদ্যুতের খাতে বাজেট বরাদ্দ, গবেষণাগার নির্মাণ, জনশক্তি উন্নয়নে জ্বালানি গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের জনবলের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকরণের গবেষণার সুযোগ আরো বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ শুধু বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকেই চিরতরে মুক্তি পাবেনা। পাশাপাশি নিজের দেশে শিল্পোয়নের জন্য প্রভূত বিদ্যুৎ প্রাপ্তির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশেও রফতানি করা যাবে। ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। দেখার কেউ নেই।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)