সুওয়াল-জাওয়াব
প্রসঙ্গ: বাতিল আক্বিদার লোকের সাথে বিবাহ
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
এক পীরবোন জেদের বশে তার ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিবাহ বসতে চায়। তার ফুফাতো ভাই খারেজী লাইনে লেখা-পড়া করা। তাকে আমাদের সিলসিলায় আসতে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। সে এখনও আসে নাই। এ অবস্থায় অভিভাবকগণ কি করবেন? জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব:
এখন আক্বীদা যদি খারেজী থাকে তাহলে তাহক্বীক্ব করতে হবে। তার আক্বীদাটা কি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যদি তার মত মনে করে তাহলে সে মুসলমান না। তার সাথে তো বিবাহ শুদ্ধ হবে না। আর যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সে মনে করে তিনি হায়াতুন্নবী, মুত্তালা’ আলাল গইব, হাযির- নাযির তাহলে ঠিক আছে। আর না হলে সে মুসলমানই না। তার সাথে বিবাহ জায়িয হবে না। তার সাথে বিবাহ বসা, না বসা একরকম। মুসলমান আর কাফেরের মধ্যে বিবাহ হয় না। তার এভাবে বিবাহ করা ঠিক হবে না। আর এখন যদি ঐ মেয়েটা ঐ আক্বীদার হয়ে যায় তাহলে ঐ দলের হয়ে গেলো। ঈমানদার থাকলো কেমন করে? আক্বীদা দেখতে হবে। এজন্য বিবাহ শাদীর জন্য আমরা প্রায়ই বলি-
إِنَّ الْمَرْأَةَ تُنْكَحُ عَلٰى دِيْنِهَا وَمَالِهَا وَجَمَالِهَا فَعَلَيْكَ بِذَاتِ الدِّيْنِ
এখানে কতগুলি শর্ত দেয়া হয়েছে। চারটা শর্ত দেয়া হয়েছে। এটা পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে দু’জনের জন্য। দু’জন যদি বিবাহ-শাদী করতে চায়, তাকে চারটা জিনিস দেখতে হবে। এক নম্বর হলো- তার নসবটা বা বংশটা কি? দুই নম্বর দেখতে হবে- তার ছূরতটা কি, তার পছন্দ হয়েছে কি-না? তিন নম্বর- তার অবস্থাটা কি? স্বচ্ছল, না অস্বচ্ছল, কেমন? চার নম্বর হচ্ছে- তার দ্বীনদারী দেখতে হবে। আর দ্বীনদারী হচ্ছে মূল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তোমরা দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিবে। অন্যটা কিছু যদি কমও থাকে দ্বীনদারী যদি থাকে তাহলে তুমি ইতমিনান থাকবে। আর দ্বীনদারী না থাকলে তুমি শান্তি জিবনেও পাবে না।
কাজেই দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর আক্বীদাতো দ্বীনদারীর বিষয়। আক্বীদা যার নষ্ট তার সাথে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। আর সে নিজে মুসলমান হয়ে যদি কাফির হয়ে যায় নাউযুবিল্লাহ! তখন করার কিছু থাকবে না। এজন্য বিবাহ-শাদী করার আগে এই বিষয়গুলি দেখতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যেই তাকে দ্বীনদারীটা দেখতে হবে। তার দ্বীনদারী আছে কি-না? যদি দ্বীনদারী থাকে বাকিগুলি কম থাকে তাহলে হয়ে যাবে। আর দ্বীনদারী না থাকলে বাকিগুলি বেশী থাকলে তাহলেতো শান্তি হবে না। নানান ফেতনা-ফাসাদ হবে। অনেক রকম সমস্যা হবে। কাজেই এইভাবে জবরদস্তী বিবাহ বসতে চাওয়াটা ঠিক হবে না। এটা তাহক্বীক্ব করতে হবে। আক্বীদা যদি শুদ্ধ হয় তাহলে ঠিক আছে। সে খারেজী লাইনে পড়াশুনা করছে, তার আক্বীদা শুদ্ধ হয়, তার শর্ত শারায়িত সব ঠিক হয় তাহলে অসুবিধা নেই। আর আমাদের এখানে যেটা বলেছি, বাইয়াত করাতে হবে। ছেলে হোক, মেয়ে হোক আক্বীদা এক রকম না হলে জীবনে সূখ পাবে না। ছেলে একটা বলবে, মেয়ে আরেকটা বলবে। দু’জনের মধ্যে গ-গোল হবে। এটা ঠিক হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কে কি করলো সেটা কখনই দলীল নয়...
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (১৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১)
০৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (৫)
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বেপর্দা হওয়া উভয় পক্ষের প্রতিই লানত বর্ষিত হয়! নাউযুবিল্লাহ!
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবায়ে কিরামগণ উনারা উম্মাহর মাঝে শ্রেষ্ঠতম মর্যাদায় আসীন
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করা জায়েজ নেই
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ক্বায়লা বিনতে মাখরামা আত-তামীমিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)