প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় অপচয়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অপচয় রোধ না করে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স দফায় দফায় বাড়ানো জনগণের সরকারের পরিচয় নয়।
, ২০ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
১
চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)। কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এ সার কারখানার বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৫ লাখ ৬১ হাজার টন। কিন্তু একটি যন্ত্রাংশের (রিঅ্যাক্টর) অভাবে দেড় বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সেখানে। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সিইউএফএল।
সিইউএফএলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের (অ্যাডমিন ও হিসাব) তথ্যমতে, কারখানাটি চালু করতে জাপানি প্রযুক্তির নতুন রিঅ্যাক্টর প্রতিস্থাপনে খরচ হবে ৯০ কোটি টাকা। এজন্য নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনে (বিসিআইসি) প্রায় অর্ধশতবার চিঠি দেয়া হয়েছে। এমনকি রিঅ্যাক্টরটি কেনার বিষয়ে এ পর্যন্ত বিসিআইসির ২৩টি বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত যদি এখনই নেয়া হয়, তাহলেও এটি প্রতিস্থাপনে কমপক্ষে দেড় বছর সময় লাগবে। সে হিসাবে দেড় বছরে আরো প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হবে সিইউএফএল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরকার ও দেশের ক্ষতি হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
২
বিদেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক কলের আয় ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় প্রতিদিনই বাড়ছে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি। এর ফলে এখন পর্যন্ত এ খাতে সরকারের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা। আর কলরেট বাড়িয়ে এবং সরকারসহ অন্য সব পক্ষকে বঞ্চিত করে এই সময়ে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটররা আয় করেছে বাড়তি ৬৫০ কোটি টাকা। দেশে আসা আন্তর্জাতিক কলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির এ চিত্র উঠে এসেছে।
৩
বৈদেশিক অর্থায়ন না পাওয়াসহ নয় কারণে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে ৪০ উন্নয়ন প্রকল্পে। এর মধ্যে ৫টির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মন্থর গতির ৩৫টি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি পাঁচ ভাগেরও নিচে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) থাকলেও কাজ শুরুর আগেই বেশ কিছু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্পগুলো এডিপি থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা। এখন প্রকল্পগুলো বাতিল হলে বড় অংকের অর্থ এবং সময়ের অপচয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪
শুধু নাম পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা অপচয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ একই উদ্দেশ্যে নেয়া বিদ্যমান উন্নয়ন প্রকল্পটি দ্বিতীয় ধাপে রূপান্তর করলে এই গোটা অর্থই সাশ্রয় হতো, দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ চালানো যেত। এ ব্যাপারে প্রকল্পটিতে অর্থায়নকারী বিদেশী সংস্থাটির পরামর্শও এমনই ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাতে কর্ণপাত করেনি। ফলে এখন রাষ্ট্রীয় ৫০০ কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
৫
প্রসঙ্গত উপরের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন হলেও এর থেকে সুস্পষ্টতই একটি ধারণা পাওয়া যায়। তাহলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের অবহেলায়, সিদ্ধান্তহীনতায় এবং অনিয়ম ও অনাচারে প্রতি বছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয়। দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার এক হিসাব মতে প্রতি বছর এ টাকার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকারও বেশি। রাষ্ট্রীয় এ অপচয় রোধে সরকারের কোনো নজরদারি নেই বললেই শেষ হয়না।
বরং দুঃখজনক হলেও সত্যে যে, এ বিষয়ে সরকারের বিন্দু মাত্র সদিচ্ছা এবং সদজ্ঞানও নেই। বরং সরকারের নিষ্ঠুর, নির্মম এবং জাহিল ও জালেম কর্তাব্যক্তিরা যা করে তা হলো জনগণকে শোষণ আর নিপীড়ণ। তাই এরা রাষ্ট্রীয় অপচয় নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে মাত্রাতিরিক্তভাবে জনগণের উপর ট্যাক্স বাড়ায়। গ্যাস বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ায়। জনদুর্ভোগের মাত্রা চরমে উঠায়। অথচ দাবী করে জনগণের সরকার। কিন্তু এটা জনগণের সরকারের পরিচয় নয়। আমরা ঝাঝালো কণ্ঠে বলতে চাই, জনগণের সরকার দাবী করলে জনদুর্ভোগ আর জনশোষণ না বাড়িয়ে রাষ্ট্রীয় অপব্যায় আর অপচয় রোধ করেন। সম্পদের সুষ্ঠ, সৎ ও সুষম ব্যবহার করেন। জনগণকে সুফল দিন। জনগণের মন জয় করুন। সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার হউন।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)