সম্পাদকীয় (১)
পেঁয়াজ নিয়ে গৎবাধা সাংবাদিকতা, রাজনীতি, বিবৃতিবাজি আর কতকাল? সঠিক তথ্য নিরুপন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন, গামারশ্মি দিয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পেঁয়াজ চাষী স্বার্থ রক্ষা ইত্যাদি কর্মসূচীর মাধ্যমে পেঁয়াজে অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও রপ্তানীর সুফল দেশবাসীকে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৮ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
‘অস্থির পেঁয়াজের বাজার। ’ ‘পেঁয়াজের ঝাঁজে মানুষের নাভিশ্বাস। ’ ‘ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দাম বৃদ্ধি’ ‘ব্যাপরোয়া পেঁয়াজের সিন্ডিকেট’, ‘হালিতে পেঁয়াজ বিক্রি’, ‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ’, ‘পেঁয়াজের দাম কমানোতে মন্ত্রীর আশ্বাস’, ‘ভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানীর ব্যবস্থা’, সিন্ডিকেট কারসাজি- পেঁয়াজ নিয়ে এসব কথামালার বৃত্তে দেশের মানুষ আটকে আছে ২০১৯ সাল থেকেই।
তবে এবারে পেঁয়াজের দাম জুলাই মাসেই প্রায় দেড়শ টাকায় উঠেছে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, যা নভেম্বর মাসে কেজি প্রতি আড়াইশো টাকা ছাড়িয়ে যায়।
অথচ বিগত দুই বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়;
পেঁয়াজ বিভিন্ন উপায়ে নষ্ট হয়। সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধরা হলেও ৩৫ লাখ টনে পেঁয়াজ নষ্ট হয় ১০ লাখ ৫০ হাজার টন। সে হিসেবে নিট উৎপাদন দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৫০ হাজার টন।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টনের মতো। সে হিসাবে প্রায় এক লাখ টন ঘাটতি থাকার কথা।
এনবিআরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লাখ মেট্রিক টন।
তাহলে প্রশ্ন ওঠেছে- এতো পেঁয়াজ যায় কোথায়? দৈনিক আল ইহসান শরীফের অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেঁয়াজের চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির তথ্যে গোঁজামিল আছে। প্রকৃত তথ্য না থাকায় পেঁয়াজের সংকট হচ্ছে। তথ্যে ফাঁকির কারণেই পেঁয়াজের বাজারে চলছে হুলস্থুল। বিভ্রান্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টন। প্রথমত দেশে মাথাপিছু পেঁয়াজের ব্যবহার ১৫ কিলোগ্রাম। সেই হিসাবে ১৭ কোটি মানুষের জন্য ২৫ লাখ টন পেঁয়াজই যথেষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশের জনসংখ্যা ২৫ কোটিরও বেশী। সে কারণে পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা থেকেই যায়।
খাদ্য উৎপাদনে সুবর্ণ সময় পার করছে বাংলাদেশ। সোনালি ইলিশেও এসেছে প্রাচুর্য। বহু বছর ধরেই কুরবানির পশুর জন্য বাংলাদেশ আর ভারতের ওপর নির্ভরশীল নয়। চলতি বছরের বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ এখন ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ এবং আলু, আম ও পেঁয়ারা জাতীয় ফল উৎপাদনেও শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সবজি উৎপাদনেও বিশ্বে ৫ম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? কেন পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছে না বাংলাদেশ?
দৈনিক আল ইহসানের তথ্য থেকে জানা গেছে, কৃষিপ্রধান দেশ হয়েও পেঁয়াজের পুরো চাহিদা পূরণ করতে না পারার কারণ সংরক্ষণাগারের অভাব, পণ্যটি নষ্ট হওয়া, বীজের সংকট, কৃষকদের প্রশিক্ষণ না থাকা, অপতুল গবেষণা, দামের ওঠানামা, কৃষকের জন্য প্রণোদনা না থাকা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়াসহ নানা সমস্যা।
এসব সমস্যার সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সদ্য অর্জিত সাফল্যগুলোও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে পেঁয়াজে আশাতীত স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা বারি পেঁয়াজ-২, বারি পেঁয়াজ-৩ এবং বারি পেঁয়াজ-৫ জাতের তিনটি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন চারা মাঠে লাগানোর ৮০ থেকে ৯০ দিনের ভেতর পেঁয়াজ সংগ্রহ করার উপযোগী হয়ে যায়। ফলে জুলাই-আগস্ট মাসের ভেতর সংগ্রহ করে ফেলা সম্ভব। যা শীতকালীন পেঁয়াজ সংগ্রহ করার চার মাস আগেই পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বর্ষাকালেও চাষ করা যায়। জুলাই থেকে আগস্ট মাসে চারা করে সেপ্টেম্বর মাসেই চারা মূল জমিতে লাগানো যায়। এতে করে অন্তত দুই মাস আগেই পেঁয়াজ সংগ্রহ করা যায়। বর্ষাকালে লাগালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ জাতগুলো ৫০ থেকে ৫৫ দিন পরেই সংগ্রহ করা যায়। এ ফলশ্রুতিতে দেশে শতভাগ পেঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব।
অপরদিকে গবেষকরা বলছেন, রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় ৭-৯ মাস পর্যন্ত কৃষক নিজ ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় শুধু বন্ধই হবে না বরং পেয়াজ রপ্তানী করেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঢলও নামবে ইনশাআল্লাহ। বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)