পেঁয়াজে দেড় হাজার কোটি টাকা লোপাট, কুরবানীকে কেন্দ্র করে গরম মসলার বাজারেও হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য তৈরী হচ্ছে সিন্ডিকেট
সিন্ডিকেট নির্মূলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিষ্ঠুরতার শামিল
, ২৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
বাজারে সব ধরনের পণ্যের দামই আকাশচুম্বী। সেখানে কিছুদিন আগেও পেঁয়াজের দামটিই ক্রেতার নাগালের মধ্যে ছিল। ৩০ টাকায় ১ কেজি পেঁয়াজ মিলেছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা দেখল, সবাই যখন সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে অস্বাভাবিক, সেখানে তারা বসে থাকবে কেন। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ক্রেতার পকেট খালি করা যায় যতটা। সে চিন্তা থেকেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা হুট করেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে এভাবে লুটপাট করেছে।
অথচ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে কোনো কমতি নেই। দেশেও বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। তার পরও টালমাটাল পেঁয়াজের বাজার। মাস দেড়েকের মধ্যে হঠাৎ করেই ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে কিছুটা কমে এখন দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। অথচ ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে ১২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫০ টাকারও বেশি বাড়তি মুনাফা করছে। গত ১ মাস ধরেই তারা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে ক্রেতার পকেট ফাঁকা করছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে এভাবে গত ১ মাসে সারা দেশের বাজার থেকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা দেড় হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে।
এদিকে কুরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মসলার বাজার ততই গরম হচ্ছে। আদার কেজি ৫০০ টাকায় ঠেকেছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে সেখান থেকে কমে ৩৫০ টাকায় নেমেছিল। তবে এখন আবার আদার দাম বেড়ে ৪০০ টাকায় ঠেকেছে। ঈদ আসতে আসতে আবারও ৫০০ টাকা কেজি হবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
কুরবানির ঈদে গরম মসলার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। দেশে ৫ ধরনের গরম মসলা কেনাবেচা হয়। এগুলো হলো-এলাচ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গোলমরিচ। এসব মসলা পুরোপুরিই আমদানিনির্ভর।
মে মাসে এবং জুন মাসের বিগত ১৫ দিনে দেশে যে হারে গরম মসলা আমদানি হয়েছে তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। আর চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ২০ দিনে ৭০০ মেট্রিকটন এলাচ, ৩ হাজার ৬০ মেট্রিকটন দারুচিনি, ৬৬১ মেট্রিকটন জিরা, ৪৩৭ মেট্রিকটন লবঙ্গ, ৫২০ মেট্রিকটন গোলমরিচ, ৬৯ মেট্রিকটন জয়ত্রী, ১ হাজার ২১৩ টন মৌরি আমদানি হয়। এ ছাড়া ৩৭ হাজার মেট্রিকটন রসুন, ৯ হাজার মেট্রিকটন আদা আমদানি হয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ঈদ সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ মসলা আমদানি হয়েছে। তবে যে হারে আমদানি হয়েছে সে হারে দাম কমছে না মসলার।
বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৭০ থেকে ৮৫০ টাকায়। বিভিন্ন হাত ঘুরে এই জিরা খুচরা পর্যায়ে ১ হাজার টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানায়, ৩ মাস আগেও ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে জিরা, যা বর্তমান দামের চেয়ে প্রায় ৪৫০ টাকা কম।
একইভাবে কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি মাঝারি মানের এলাচ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভালো মানের এলাচের কেজি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। ৭০০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকা, ১ হাজার টাকা বেড়ে জায়ফল ৩ হাজার টাকা, ২০০ টাকা বেড়ে মিষ্টি জিরা ৩১০ টাকা, ১৫০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ ৬৭০ টাকা, ১৫০ টাকা বেড়ে জয়ত্রী ৭৫০ টাকা, ৭০ টাকা বেড়ে দারুচিনি ৩২০ টাকা, ৬০ টাকা বেড়ে ধনিয় ১৮০ টাকা, ৫০ টাকা বেড়ে সরিষা ১০৫ টাকা এবং ২০ টাকা বেড়ে তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
বিগত কয়েক বছর ধরে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা একেকবার একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে বিপদে ফেলছে, লুটপাট করছে। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। এখানে সরকারের বা সরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতার ঘাটতি আছে। সরকার চাইলেই এই বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে। কারণ সরকার এর চেয়েও অনেক বড় বড় বিষয় বেশ ভালোভাবেই সামলেছে। তা হলে বাজার সিন্ডিকেট কেন ভাঙতে পারবে না। সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই সম্ভব।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)