পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
হাদীছ শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে-
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاقٌّ ، وَلاَ مَنَّانٌ ، وَلاَ مُدْمِنُ خَمْرٍ
তিন ব্যক্তি বেহেশ্তে প্রবেশ করতে পারবে না, এক ব্যক্তি হচ্ছে مَنَّانٌ যে মানুষকে উপকার করে উপকারের খোটা দেয়, অর্থাৎ যে উপকার করে বলে তোমার অনেক কিছু করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি বলে খোটা দেয়, কষ্ট দেয়ার জন্য খোটা দেয় وَلاَ مُدْمِنُ خَمْرٍ শরাব পানকারী, অর্থাৎ শরাব পানকারী জান্নাতে যাবে না।
পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান,عَاقٌّ পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারী জান্নাতে যাবে না এবং পরকে উপকার করে যে খোঁটা দেয় সে কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সমস্ত গোনাহ’র জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি হয়তো দেরী করবেন ক্বিয়ামতের জন্য, কিন্তুوَلَا يُؤَخِّرُ اللهُ মহান আল্লাহ পাক তিনি দেরী করবেন না সেই ব্যক্তির শাস্তির জন্য, যে পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়েছে, তাকলীফ দিয়েছে।
فِى الْحَيٰوةِ قَبْلَ الْمَمَاتِ
দুনিয়াবী জিন্দেগীতে তার মৃত্যুর পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা ঘটিয়ে দিবেন। যা দেখা যাবে ঘটনার কারণে তার ইহ্কালও নষ্ট হয়ে গেছে এবং পরকালও নষ্ট হয়ে গেছে। তার অর্থাৎ ইহকাল এবং পরকাল উভয়টাই নষ্ট হয়ে গেছে।
এইজন্য অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ثَلَاثةٌ لَا يَقْبَلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا: عَاقٌّ، وَمَنَّانٌ، وَمُكَذِّبٌ بِالْقَدَرِ
তিন ব্যক্তির ফরজ এবং নফল কোন ইবাদতই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কবুল হবে না। عَاقٌّ পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, مَنَّانٌ পরকে যে উপকার করে খোটা দেয়, مُكَذِّبٌ بِالْقَدَرِ তক্বদীর সম্পর্কে যে মিথ্যারোপ করে, তক্বদীরকে যে মানে না সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের ফরজ এবং নফল কোন ইবাদত-বন্দেগী কবুল হবে না।
মৃত্যুর পূর্বেই তারা গযবে পড়ে যাবে যারা পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে থাকে, খাওয়া-পরা দেয় না ঠিকমত, আচার- আচরণ ভাল করে না, সদ্ব্যবহার করে না, ইহসান করে না। মৃত্যুর পূর্বেই তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে। মৃত্যুর পর তো হবেই। যেমন সে লোকের আকৃতি গাধার মত আকৃতি হয়ে গেছে। মূলতঃ মৃত্যুর সাথে সাথে তার আকৃতি গাধার মত হয়ে গিয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, এক লোক ছিল, সে মূলতঃ দ্বীনদার ছিল। পিতা-মাতাকে যে কষ্ট দেয়, তাকে যে মহান আল্লাহ পাক তিনি মৃত্যুর পূর্বেই শাস্তি দিয়ে দেন। সে ঘটনাটিই উল্লেখ করা হয়েছে কিতাবে।
এক লোক ছিল সে মোটামুটি ধার্মিক, দ্বীনদার, পরহেযগার, নামাজ-কালাম ইবাদত-বন্দেগী তার কোন ত্রুটি ছিল না, তার আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল। কিন্তু তার একমাত্র মা ছাড়া আর কেউ ছিল না। আর তার মা’র জন্য সে ছাড়া আর কেউ ছিল না। তার মা জঈফ (বৃদ্ধা) হয়ে গিয়েছিল, মায়ের খেদমত করার জন্য আর কেউ ছিল না।
তবে তার আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল। সে তার মাকে বার বার বলতো যে, আমি হজ্বে যাব। তার মা বলতো যে, দেখ বাবা! তুমি যে হজ্বে যাবে, আমার তো আর কেউ নেই। আমি চলতে পারি না, ফিরতে পারি না, খেতে পারি না। তুমি আমাকে কাজগুলি সমাধা করে দাও। তুমি যদি হজ্বে চলে যাও তাহলে আমার এগুলি করবে কে? তুমি অপেক্ষা করো, আমি আর বাঁচবো না বেশী দিন। আমি হয়তো আগামী হজ্বের পূর্বেই মারা যেতে পারি। আমি মারা গেলে তুমি হজ্বে যেও।
তার মা প্রায়ই এ কথা বলতো। সন্তান হজ্বের জন্য প্রস্তুত থাকতো। দেখা গেল, তার মা আর মারা যায়নি। এক বছর, দুই বছর, তিন বছর, চার বছর, পাঁচ বছর, বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হয়ে গেল।
অনেক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সে ছেলে বললো যে, আপনি তো প্রত্যেক বছরেই বলেন, মারা যাবেন আর আপনি তো মারা যান না। আর আমারও হজ্ব নছীব হয় না। এখন আপনি মারা যান আর না-ই যান তাতে কোন অসুবিধা নেই, আমি এবার হজ্বে যাবই।
তার মা খুবই কাকুতি-মিনতি করলো, খুব অনুরোধ করলো যে, তুমি হজ্বে যেওনা। কারণ যেহেতু তুমি ছাড়া আমার খেদমত করার কেউ নেই। আমাকে ধরার বা আমার কোন কাজ করার বা আমার যে দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে সেগুলি সমাধা করার জন্য তুমি ছাড়া কেউ নেই। কাজেই তুমি হজ্ব করো না, আমি ইন্তেকাল করলে তুমি হজ্বে যেও।
কিন্তু যেহেতু তার ইলিমের অভাব ছিল। কারণ এই অবস্থায় তার জন্য হজ্ব ফরজ নয়। তারপরেও তার মায়ের অবাধ্য হয়ে সে রওয়ানা হয়ে গেল। কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেল।
তখন তার মা বদদোয়া করলো যে, মহান আল্লাহ পাক! সে আমাকে যেমন কষ্টে ফেলেছে, আপনি তাকে তদ্রুপ কষ্টে ফেলুন। সে আমার কথা শুনলো না। আপনি তার থেকে রহমত তুলে নিন, সে যেমন আমার থেকে রহমত তুলে নিয়েছে। সে যখন আমার উপকার থেকে বিরত রয়েছে, আপনি তার উপকার থেকে বিরত থাকুন। ইত্যাদি কতকগুলি বদদোয়া করলো তার মা ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কষ্টে পড়ে।
যেহেতু তার মা’র চলার বা বলার, কাজ করার কোন ক্ষমতা ছিল না। সে সন্তান তার মা’র অবাধ্য হয়ে চলে আসলো। এদিকে রাত্র হয়ে গেল। যখন রাত্র হয়ে গেল, সে এক মসজিদে প্রবেশ করলো থাকার জন্য। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে রাত্রে উঠে সে নামাজ-কালাম শুরু করলো।
এদিকে দেখা গেল, মসজিদের যে প্রতিবেশী তার ঘরে চুরি হলো। চুরি হওয়ার কারণে লোকজন টের পেল। চোরকে তারা তাড়া করলো। চোরটা যে মাল-সামানা নিয়ে এসেছিল, সে দেখলো সেটা সামলাতে সে পারবে না। চোর শেষ পর্যন্ত দেখলো, মসজিদে একটা লোক নামাজ পড়তেছে। যে পোটলাটা চোর আনলো এবং পোটলাটা এনে তার পিছনে রেখে চোরটা পালিয়ে গেল।
লোকেরা পিছন থেকে লক্ষ্য করলো যে, চোরটা কোথায় গেল। চোরটাকে তারা পেলো না। কিন্তু দেখলো, পোটলাটা মসজিদে রয়েছে। তারা তায়াজ্জুব হয়ে গেল যে, এটা আবার কেমন চোর। যে চুরি করে মসজিদে নামাজ পড়তে শুরু করলো। লোকেরা বাইরে দাঁড়িয়ে রইল ফজর হওয়া পর্যন্ত এবং তারা চিন্তা করলো যে, দেখি সে কি করে।
সে লোকটা ফজর পর্যন্ত নামাজ পড়লো। নামাজ থেকে যখন সে অবসর হলো। লোকেরা তাকে পাকড়াও করে ধরলো যে, কি ব্যাপার? তুমি চুরি করেছো, দ্বিতীয়তঃ মসজিদে তুমি প্রবেশ করে নামাজ পড়ছো! আর তোমার পোশাক দেখে মনে হচ্ছে তুমি ভাল লোক, তুমি মানুষকে প্রতারণা করতেছো।
তাকে লোকজন ধরে নিয়ে মারধর করলো। শেষ পর্যন্ত তাকে কাজীর কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। কাজী সাহেব তাকে দেখে বলল যে হ্যাঁ, যেহেতু সে তিনটা অপরাধ করেছে। প্রথমতঃ চুরি করেছে। দ্বিতীয়তঃ চুরি করে চুরির মাল নিয়ে সে মসজিদে প্রবেশ করেছে। আর তৃতীয়তঃ সে আল্লাহ্ওয়ালা লোকদের পোশাক পড়ে মানুষকে প্রতারণা করেছে। তাকে তিনটা শাস্তি দিতে হবে।
এক নাম্বার হচ্ছে, চুরি করার দায়ে তার হাত দু’টা কেটে দাও। দুই নাম্বার হচ্ছে, সে মসজিদে চুরির মাল নিয়ে প্রবেশ করেছে, তার পা দুটো কেটে দাও। আর তিন নাম্বার, সে যেহেতু আল্লাহ্ওয়ালাদের পোশাক পরে প্রতারণা করেছে, তার চোখ দু’টো তুলে দাও। এবং তাই করা হলো।
এরপর বললো, এক কাজ করো, তাকে একটা বাহনের মধ্যে নিয়ে সারা শহরে ঘোষণা করে দাও। যারা চুরি করে মসজিদে প্রবেশ করে এবং মানুষকে প্রতারণা করে, দ্বীনদার আল্লাহ্ওয়ালাদের পোশাক পরিধান করে, তার এই শাস্তি। তোমরা সকলেই সাবধান হয়ে যাও।
যখন ঘোষণা করতে যাবে তখন সেই লোক, যে এতক্ষণ পর্যন্ত চুপ করে ছিল, সেই লোক তখন বললো যে, দেখ কথাটা সত্য নয়। ঘোষণা করে দাও যে, পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে হজ্ব করতে গেলে তার শাস্তি কত কঠোর, তোমরা এটা দেখে নাও, সাবধান হয়ে যাও।
সে যখন এ কথাটা বললো, বলার সাথে সাথে লোকজন ভীড় জমালো কি ব্যাপার, সে এতক্ষণ পর্যন্ত কোন কথা বলেনি, সে কি বোবা? এখন সে মুখ খুলেছে।
তারা বললো, তুমি কি বললে? আবার স্পষ্ট করে বল, সে চুপ হয়ে গেল। আর কোন কথাই বলে না। তাকে ধরে আবার কাজী সাহেবের কাছে নেয়া হল। কাজী সাহেব! সে যেন কি বলতে চাচ্ছে? তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তুমি কি বলতে চাচ্ছো?
সে বললো যে, দেখ, তোমরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা করেছ, আসলে সেটা সত্য নয়। আমি যেটা বলেছি যে, পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে কোন সন্তান হজ্বে গেলে তার যে কঠোর শাস্তি হয়, এটাই সেটা। তোমরা সেটা দেখে সাবধান হয়ে যাও। হাক্বীক্বত আমি চোর নই। আমি আমার মা’র অবাধ্য হয়ে হজ্ব করতে এসেছিলাম, মা বদ-দোয়া করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমার হাত গেল, পা গেল, চোখ গেল। আমার সবই গেল। ইহ্কালে আমি তার শাস্তি ভোগ করলাম। হ্যাঁ, যে ব্যক্তি পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে যায়, তার ইহ্কালে শাস্তি, فِى الْحَيٰوةِ قَبْلَ الْمَمَاتِ
মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াবী জিন্দেগীতে তার শাস্তি হয়ে যায়। কাজেই প্রত্যেককেই সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বোচ্চ সম্মানিত ভাষায় সম্বোধন মুবারক করতে হবে
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র সুন্নত যিন্দাকারী অর্থাৎ মুহ্ইউস সুন্নাহ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুন্নতী খাবার পরিচিতি
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছাহিবায়ে নেয়ামত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক-এ স্বয়ং রহমত মুবারক উনার মালিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করা যায়
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিষিদ্ধ মহিলা জামায়াত নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছু’দের বিভ্রান্তিকর ও জিহালতী বক্তব্যের জবাব (১)
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বুখারী শরীফে বর্ণিত জাল হাদীছের খন্ডন (১)
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কুফরী আক্বীদা পরিহার না করলে চির জাহান্নামী হতে হবে
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যার-তার থেকে দ্বীনি ইলিম গ্রহণ করা যাবে না
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ মুবারক বাস্তবায়নে হযরত মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের বেনযীর দৃষ্টান্ত
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যারা অনুসরণ করবেন উনারাও হাছিল করবেন সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি মুবারক
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)