পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (৫)
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ
অর্থ : হযরত মুগীরা বিন শু’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন তোমাদের মাতার প্রতি নাফরমানী, অবাধ্যতা। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা হারাম করে দিয়েছেন। অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই তোমাদের মাতার অবাধ্য হওয়া বা নাফরমানী করা চলবে না। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে নিষেধ করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে নিষেধ করে দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা হারাম করে দিয়েছেন।
ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, পিতা-মাতার প্রতি সৎ ব্যবহার করা ফরজ। বিশেষ করে মায়ের সাথে। কারণ যে কোন সন্তানের জন্য অর্থাৎ ছেলেদের জন্য সবচাইতে বেশী হক্বদার হচ্ছেন তার মা। আর মেয়েদের জন্য সবচাইতে বেশী হক্বদার হচ্ছেন তার আহাল বা স্বামী।
এ প্রসেঙ্গ বলা হয়, পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি সুলত্বানুল আরেফীন ছিলেন। তিনি একটা ওয়াকিয়া উল্লেখ করে জানিয়েছেন যে, মাতার কতটুকু হক্ব রয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, তিনি হজ্ব করেছেন অনেকবার। একবার হজ্ব সমাধা হওয়ার পর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! হজ্ব তো হয়ে গেল। অনেক লোক অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ লোক হজ্ব করেছেন। এখন কার হজ্ব কবুল হলো, আর কার হজ্ব কবুল হলো না, যদি দয়া করে সেটা আমাকে জানাতেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হে সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি! যেহেতু আপনি আমার ওলী, আমার বন্ধু, আপনি আরজু করেছেন, আপনাকে সেটা জানানো হবে। আপনি জেনে রাখুন, ছয় লক্ষ লোক হজ্ব করেছে এ বৎসর। সকলেরই হজ্ব কবুল হয়েছে। একটা লোকের হজ্ব কবুল হয়নি।
যখন এ কথা বলা হলো, তখন সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আয় মহান আল্লাহ্ পাক! সমস্ত লোকের হজ্ব কবুল হলো, একটা লোকের হজ্ব কবুল হলো না। সে লোকটা কে? এমন বদ নছীব, বদ বখ্ত কে? আপনি যদি দয়া করে তার ঠিকানাটা আমাকে জানিয়ে দিতেন এবং তার নামটা আমাকে বলে দিতেন, তাহলে আমার জন্য এতমিনান হতো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন জানালেন যে, হ্যাঁ সে অমুক এক পাহাড়ের পাশে রয়েছে। অর্থাৎ পাহাড়ের পিছনে সে রয়েছে। যার হাত এবং পা চারটাই কাটা। তার নাম হচ্ছে মুহম্মদ বিন হারুন বখলী। (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কারো মতো নন; উনারা বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার অধিকারিণী
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)