পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (৪)
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
تخلقوا باخلاق الله.
অর্থ : মহান আল্লাহ্ পাক উনার চরিত্র মুবারকে চরিত্রবান হও। ”
সেই আল্লাহ্ পাক উনারর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া প্রত্যেক পিতা-মাতা ইচ্ছায় আর অনিচ্ছায় সেই চরিত্রে গুণে কিছুটা গুণান্বিত হয়।
যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, كما ربيانى صغيرا. যেমন তারা আমাদেরকে লালন-পালন করেছেন ছোট বেলায়। যে মহান আল্লাহ পাক তিনি তো রব, মূল খালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি রাব্বুল আলামীন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তানদের জন্য তার পিতা-মাতাকে সেই রুবুবিয়াতের (رببيات) দায়িত্বটা দিয়ে দিয়েছেন লালন-পালন করার জন্য তারা সে দায়িত্ব পালন করে আল্লাহ্ পাক উনার চরিত্রে চরিত্রবান হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন বান্দাদেরকে তাদের হক্ব যথাযথ আদায় করেন ঠিক পিতা-মাতা সন্তানের প্রতি যে হক্ব রয়েছে, সেটা তারা যথাযথ পালন করবে এবং করেছে সেই পালন করার জন্যেই আল্লাহ্ পাক উনার কাছে দোয়া করার নির্দেশ মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন।
যেমন তোমাদেরকে ছোট বেলায় অর্থাৎ আমাদেরকে ছোটবেলায় যেমন লালন-পালন করা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এখন তাদেরকে লালন-পালন করুন। তাদের প্রতি (احسان) ইহছান করুন। যত অসুবিধা রয়েছে সব অসুবিধা দূর করে দিয়ে তাদেরকে এতমিনান দান করে দিন।
কাজেই এই আয়াত শরীফ প্রত্যেক সন্তানের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ করে কয়েকটা নির্দেশ দিয়েছেন-
এক নাম্বার হচ্ছে-
পিতা-মাতার কোন কাজের মধ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে (اف) উফ শব্দ বলা যাবে না।
দু’নাম্বার হচ্ছে-
তাদেরকে ধমক দিয়ে কর্কশ সূরে বা কঠোর ভাষায় কোন ব্যবহার করা যাবেনা।
তিন নাম্বার হচ্ছে-
খুব নরম সুরে, সম্মানিত ভাষায়- সম্মানিত সুরে তা’যীম-তাকরীমের সহিত কথা বলতে হবে।
চার নাম্বার হচ্ছে-
সবসময় তাদের জন্য অনুগত থাকতে হবে। তাদের ভালাইয়ের জন্য কোশেশ করতে হবে।
আর পঞ্চম হচ্ছে-
সব সময়েই সন্তান যতদিন জীবিত থাকবে, সন্তান যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন পিতা-মাতার জন্য সে দোয়া করবে। এটা তার দায়িত্ব-কর্তব্য।
কোন কোন মুফাস্সিরীনে কিরাম, ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়া-ই-কিরাম বলেছেন, সন্তানের জন্য ওয়াজিব তার পিতা-মাতার জন্য যেন সে দোয়া করে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। পিতা-মাতা চাই হায়াতে থাকুন অথবা ইন্তেকাল করুন, যে কোন অবস্থাতেই হোকনা কেন, দোয়া করা তার জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কারো মতো নন; উনারা বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার অধিকারিণী
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)