পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১৬)
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ২৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন যে, একবার উনি মিসরের নীল নদে নৌকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, নৌকাটা ছিল বেশ বড়, উনার সাথে অনেক লোক ছিল।
হঠাৎ একটা লোকের একটা মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেল। যখন হারিয়ে গেল তখন প্রত্যেকে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলো যে, তুমি কি সেটা পেয়েছ? আমার অমুক জিনিসটা হারিয়ে গিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে পর্যায়ক্রয়ে হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার পাশে একটা লোক ছিল, দেখতে ছূরতে, আকার-আকৃতিতে তাকে কৃতদাস বলে মনে হচ্ছিল।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ভদ্রতার সহিত যে, আচ্ছা ভাই, তুমি কি সেটা পেয়েছ?
আমি জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে মনে হলো সে লোকটা কিছু মনে করেছে। সাথে সাথে সে সেই পানির মাছগুলিকে হুকুম করলো- হে মাছেরা! তোমরা এক কাজ করো, প্রত্যেকে একটা করে মনি-মুক্তা আমাকে এনে দাও।
এটা বলার সাথে সাথেই দেখা গেল- সমস্ত মাছ একটা করে মনি-মুক্তা, মূল্যবান পাথর নিয়ে নৌকার সামনে ধরেছে। সে আস্তে করে নৌকা থেকে নেমে গেল। পানি দিয়ে হেঁটে যেতে লাগলো এবং বলতে লাগলো-
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
“আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনারই ইবাদত করি, আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। ”
এটা সে বলে হাঁটতে লাগলো। হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন উনার যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল। উনি বলেন, আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। আমি তাজ্জব হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে ব্যক্তি! তোমার এই অবস্থা কেন? কি কারণে তোমার এই অবস্থা হলো অর্থাৎ তুমি এই অবস্থায় পৌঁছেছো কি করে? কিসের মাধ্যমে?
সে বললো- “মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত এবং আমার পিতা-মাতার খেদমতের মাধ্যমে। ” সুবহানাল্লাহ!
সে “মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত এবং মাতা-পিতার খেদমতের মাধ্যমে পৌঁছেছে। লোকটা এ কথা বলে-
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
এই আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করে সে অদৃশ্য, গায়েব হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!
মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনি পিতা-মাতার দোয়ার বদৌলতে সন্তানদেরকে অনেক নিয়ামত দিয়ে থাকেন। সেটা বেমেছাল। যেটা সাধারণভাবে সন্তানদের জন্য সংগ্রহ করা, বা হাছিল করা খুবই কঠিন ও দূরহ ব্যাপার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)