পাহাড়ে মাদক চাষ করে দেশকে বিতর্কিত করছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
মাদকের বিক্রির অর্থ ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রমে। সরকারের উচিত, এ ব্যাপারে সক্রিয় ও শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
, ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর
চাঁদাবাজির পাশাপাশি উপজাতি সন্ত্রাসী দুর্গম পাহাড়ে চাষ করছে নিষিদ্ধ গাঁজা। মূলত লোকচক্ষুর অন্তরাল করতেই গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেছে নিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। রীতিমত গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দেখিয়ে পাহাড়ের নিরীহ বাঙালিদেরও এই গাজা চাষে বাধ্য করছে। আর এই গাজা চাষের অর্থ দিয়ে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কিনছে উন্নতমানের মরণাস্ত্র। ফলে ধীরে ধীরে পাহাড়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।
জনমানব শূন্য, নির্জন ও দুর্গম এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করেই পাহাড়ের চিহিৃত উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো মাদকের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল, যা সেনাবাহিনীর দক্ষ ভূমিকায় ভেস্তে গেছে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী, পাহাড়ের ভূমি সমস্যার সমাধান করতে সরকারের প্রয়াসে গঠন করা পার্বত্য ভূমি কমিশনের সুবিধা লুটে এসব সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের আনাছে-কানাছে থাকা সরকারী খাস ভূমি, বিভিন্ন সময়ে পরিত্যক্ত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ভূমিসমূহ ও বাঙ্গালীদের বেদখল হওয়া ভূমি ব্যবহার করেই নতুন করে তাদের মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করার চেষ্টা ও অস্ত্র ক্রয় করে তা সরকারের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করার চক্রান্ত করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করে, পাশ্ববর্তী মিয়ানমারের বিভিন্ন সরকার বিরোধী/বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেমন তাদের অর্থের যোগান দিতে বিভিন্ন মাদক চাষ করে তা অন্য দেশের কাছে বিক্রি করছে, ঠিক তেমনি পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোও নিজেদের আর্থিক যোগান মেটাতেই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অনুসরণ করছে। ফলে, নিজেরা সাবলম্বী, স্থানীয় ও পাহাড়ে আগত হাজার-হাজার পর্যটকের মাধ্যমে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের যুব সমাজকে মাদকের ছোবলে গ্রাস করার পাঁয়তারা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক রাজনীতিতে অনেকটা কোনঠাসা উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বর্তমানে নিজেদের অনেকটা আড়ালে রেখেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। মাদকের আখড়া থেকে তারা লক্ষ-লক্ষ টাকা আয় করছে, যা তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা, অস্ত্র ক্রয়, প্রশাসনিক কাজে ব্যয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লবিং ও তাদের পক্ষের দেশীয় রাজনৈতিক এজেন্টদের পেছনে ব্যয় করছে। তাদের যেসব নেতা-কর্মী অস্ত্র, হত্যা, অপহরণসহ নানা মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আছে, তাদের জামিনে বের করতেও এসব অর্থ ব্যয় করছে সংগঠনগুলো।
সর্বোপরি জানা গেছে, বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমি কমিশন নিয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো স্থানীয় বাঙ্গালীদের ক্ষতি ও সংবিধান বিরোধী হলেও মূলত লাভের সিংহভাগই ঘরে তুলবে পাহাড়ের এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। ধারা অনুযায়ী ভূমি কমিশনের সংবিধান বিরোধী ধারাগুলো বাস্তবায়ন হলে এসব রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিলও করতে পারবে না। এই সুযোগে নিজেদের সৃষ্ট স্বাক্ষীর মাধ্যমে দুর্গম এলাকার ভূমিগুলো সরকারের গঠন করা কমিশনের রায়ে নিজেদের কব্জায় নিয়ে সেসব জমিতে এরকম হাজারো মাদকের বিচরণ ভূমি বা প্রজননে ক্ষেত্র তৈরী করবে পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব সশস্ত্র সংগঠনগুলো। আর তা হবে সরকারের সুবিধা লুটে সরকারেরই আলোচিত ঘোষনা “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” সেøাগানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষনার শামিল।
প্রসঙ্গত, উপজাতি সন্ত্রাসীদের এই দেশবিরোধী কর্মকান্ডের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত। জানা গেছে, উপজাতি সন্ত্রাসীরা এই মাদক চাষের অর্থ দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকেই অস্ত্র আমদানি করছে। আর ভারত ও মিয়ানমার থেকে কৌশলে নানা উন্নত অন্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে এনে পৌছাচ্ছে। ভারতের এই পৃষ্ঠপোষকতা নতুন কোনো বিষয় নয়, এর ইতিহাসও অনেক পূরনো। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার পথে মূল কাটা হলো সেখানে বসবাসরত বাঙালিরা। তাই বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। বঙ্গবন্ধুর সময়েই উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙালি গণহত্যার ছক একেছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় তৎপরতার কারনে তারা সে সাহস তখন পায়নি। ভারতও তখন তাদের সহযোগীতা করেনি। কিন্তু পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ভারতের পূর্ণ সহযোগীতায় হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। হাজার-হাজার বাঙালি, সেনাবাহিনী, বিডিআর, আনসার, ভিডিপি, বনরক্ষীসহ বহু সরকারি ও বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী খুন ও অপহৃত হয় উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে। পার্বত্যঞ্চলকে ‘বিদ্রোহ উপদ্রুত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষনা দেয় সরকার। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়-
“বাংলাদেশের সংহতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী এই বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে আশ্রয়, প্রশ্রয়, প্রশিক্ষণ, রেশন, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। এর আগে যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে খোদ উপজাতি সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র বিমল চাকমা। সে জানিয়েছে- ভারতই তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও সহযোগীতা করছে”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার। কিন্তু এসব উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেশদ্রোহী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কোনো শক্ত ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে। অথচ ধীরে ধীরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের উচিত হবে, তড়িৎ এই দেশবিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার না করে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা, টহল বৃদ্ধি করা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছিন্নমুল বাঙালিদের নিয়ে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূনর্বাসিত করা। বিশেষ করে, বাংলাদেশের উপজাতি সন্ত্রাসীদের সহযোগীতার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করা। আর এটাই দেশের ৩০ কোটিরও বেশি জনগন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের কাছ থেকে আশা করে থাকে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ফিলিস্তিন ও ভারতসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি অন্যায় জুলুম বন্ধ করে ইনসাফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার ১৭ দফা দাবী
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুজাহিদ বাহিনীর স্নাইপিং টার্গেটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ইসরাইলী সন্ত্রাসী সেনাদের
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বছরে উৎপাদন ১ টন: কফি চাষে সফল টাঙ্গাইলের ছানোয়ার
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মিয়ানমার সীমান্ত আবারও অশান্ত, রাতভর গোলার শব্দ
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রেস্তোরাঁ ব্যবসায় মন্দা
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন -আসিফ নজরুল
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আমরা পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না -হাফিজ
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার?
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৮০ টাকার নিচে নেই সবজি, আলু-পেঁয়াজের খবর কী? -নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল ক্রেতারা -নাগালের বাইরে সবজি, মাছ-গোশতের বাজারও চড়া -নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ -‘দুই-তিনটা সবজি কিনলেই ৫০০ টাকা শেষ’
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদেরকে পরশপাথর মনে করলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন -দুদু
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন ছুটি
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফেলে দেয়া ঝুট কাপড়ে দিনবদলের কথা
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)