সম্পাদকীয়-২
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
, ০৩রা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এক লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সারাদেশে দুই লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখল করে রেখেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
দখল করা এই বনভূমি রয়েছে ২৮টি জেলায়। বন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কক্সবাজারে। এই জেলায় মোট দখল হওয়া জমির পরিমাণ ৫৯ হাজার ৪৭১ একর।
পাশাপাশি শেরপুরের তিনটি উপজেলায় বনভূমি দখলের যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তা খুবই হতাশার এবং দুঃখজনক। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বনের জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি শত শত একর জমিতে চাষাবাদ করছে। এককালে যেখানে গভীর অরণ্য ছিল এখন সেখানে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। শাল ও গজারিসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষে ভরা গভীর অরণ্যটি দিনে দিনে উজাড় হয়ে গেছে। প্রকাশিত সংবাদে বন ধ্বংসের যে বিবরণ জানা যায়, তাতে প্রতীয়মান হয় বাংলাদেশের বনভূমি তদারকি ও সংরক্ষণ করার দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের, তাদের এদিকে যথাযথ দৃষ্টি ও মনোযোগ নেই।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এক লাখ ৬০ হাজার একর বনভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে দেওয়া হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৫ একর জমি। এছাড়াও, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ২২১ একর বনভূমি।
সংসদীয় কমিটির কাছে দাখিলকৃত নথি অনুসারে, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৩ হাজার ৯২৩ একর বনভূমি।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বনভূমি দখলকারীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বনভূমি দখলকারীদের একটি সম্পূর্ণ এবং বিস্তারিত তালিকা করা হয়েছে। এটি পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার এক বিশাল নথি।’ দখলকৃত এসব বনভূমি দ্রুত উদ্ধারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
প্রসঙ্গত আমরা স্মরণ করতে পারি, ২০১৯-এ বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির তৎকালীন সভাপতি বলেছিলেন, আমরা দেখতে চাই, কারা বনভূমি দখল করে রেখেছে। সে সময়ে কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯০ হাজার অবৈধ দখলদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছিল। ওই তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলেও বলা হয়েছিল। সেই তালিকা তখন আলোর মুখ দেখেনি।
এখন আবার নতূন করে স্বচ্ছ তালিকা করা হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে। কিন্তু আসল কাজ হচ্ছে বেদখল বনভূমি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি আবারও যাতে বেদখল হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। সেটা করতে হলে বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও কার্যকর করতে হবে। অবৈধ দখলদাররা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে, বিশেষত রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয় এবং তাদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা যথাযথভাবে কাজ করে না। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বন দখলদারদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বন বিভাগের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের যোগসাজশও বন্ধ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অবিলম্বে বেসরকারি দখলে থাকা বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর ও ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তা করা না গেলে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রতিবেশ যেমন সুরক্ষিত থাকবে না, তেমনি পানিবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে না।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)