পবিত্র লাইলাতুল বরাতে সংশয়বাদী ও নাসীকারীরা বালহুম আদল। ওদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে। পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারেনা। মহিমান্বিত লাইলাতুল বরাত উনাকে উপলব্ধি ও উদযাপনের সর্বোত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ।
, ১৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সম্মানিত হারাম মাস সমূহের মাঝে পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র শবে বরাত’। এ রাতের ফযীলত, নাযাত ও বরকতের কথা, দোয়া কবুলের বা দোয়া দ্বারা স্বীয় তাক্বদীর পরিবর্তন করার কথা প্রায় সকলেই অবগত।
আখিরী উম্মতের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার যেসব অমূল্য নিয়ামত মুবারক রয়েছে তার মধ্যে পবিত্র শবে বরাত একটি। বরাত বা তাক্বদীর ফায়সালার রাত হিসেবে এ রাতটি বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত। কাজেই বিশেষ আমল, দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে এ রাতের ফযীলত হাছিলে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত।
নামধারী অনেক ধর্মব্যবসায়ী মালানা তথা উলামায়ে ‘সূ’রা হক্কানী রব্বানী উলামা, উলামায়ে মুহাক্কিক, মুদাক্কিক উনাদের ফতওয়ার বিরোধিতা করবে, এটাই ক্বিয়ামতের বড় আলামত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এদেরকে ‘কাযযাবদের চেলা’ বলা হয়েছে। এই চেলারা নতুন চমক তৈরির লক্ষ্যে এখন প্রচার করছে- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে ‘শবে বরাত’ (তথা লাইলাতুল বরাত) বলতে কিছুই নেই। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ ‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’সহ অনেক অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র লাইলাতুল বরাত তথা পবিত্র ‘শবে বরাত’ উনার কথা সুস্পষ্টভাবেই বর্ণিত রয়েছে।
তারপরেও ইহুদী ও ওহাবীদের নেপথ্য মদদে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার বিরোধীরা মুসলিম মন-মানসিকতা থেকে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার চেতনা উঠিয়ে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু তার বিপরীতে মহিলাদের জুমুয়াহ ও ঈদের জামায়াত, মহিলা মসজিদ, মহিলা জামায়াত, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম- এসব কাজের জন্য তারা বড়ই উজ্জীবিত ও নিবেদিত। নাঊযুবিল্লাহ!
এক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে যে- যেসব বিষয় মুসলমানকে আমলমুখী করে, সেসব বিষয়কে তাদের খুব ভয়। তারা সেগুলোর ঘোর বিরোধী। আর যেসব কাজ তাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতি তথা তাদের ধর্মব্যবসার সহযোগী বলে তারা মনে করে- সেসব কাজের জন্য তারা খুব উদ্যোগী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১লা রজবুল হারাম মুবারক রাত্রি উনার কথা অনেকেই জানে না। দুই ঈদের রাতেও মানুষ থাকে অন্য কাজে ব্যস্ত। অপরদিকে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরেরও তারিখ অনির্দিষ্ট থাকে। কেবলমাত্র পবিত্র লাইলাতুল বরাতেই দোয়া কবুলের পাশাপাশি তাক্বদীর পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে মানুষের কাছে অবারিত।
আখিরী উম্মতের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার যেসব অমূল্য নিয়ামত মুবারক রয়েছে তার মধ্যে পবিত্র লাইলাতুল বরাত একটি। বরাত বা তাক্বদীর ফায়সালার রাত হিসেবে এ মুবারক রাতটি বিশেষ তাৎপর্যম-িত। কাজেই বিশেষ আমল, দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে এ বরকতময় রাতের ফযীলত হাছিলে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তাক্বদীর খুব স্পর্শকাতর বিষয়। তাক্বদীর সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর আলোচনা অতীতের অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। তবে তাক্বদীর দোয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয় তাও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনারই কথা।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদাভুক্ত সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদের সবারই জানা আছে, ১৪ই শা’বান শরীফ উনার মুবারক রাত্রিতে মানুষের জন্ম-মৃত্যু, রিযিক বণ্টনসহ খাছ রহমত নাযিল করা হবে। তাই আজ বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থেকে স্বীয় তাক্বদীরকে মুবারক ও বরকতময় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে এখানে উল্লেখ যে, পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনাকে উদযাপনের জন্য যমীনের মধ্যে একমাত্র উত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! কারণ এখানে অবস্থান করছেন যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি সম্মানিত সুন্নতী তরীক্বায় পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উদযাপন করেন। মহিমান্বিত ও বেমেছাল মকবুল মুনাজাত শরীফ পরিচালনা করেন।
সঙ্গতকারণেই এখানে বর্ষিত হয় বেমেছাল ও অপার রহমত, বরকত ও ফযীলতের ধারা। যে কেউ এখানে আসলে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত লাভে ধন্য হয়ে আজীবনের জন্য হিদায়েতপ্রাপ্ত ও নিয়ামত লাভে ধন্য হতে পারেন। সবার জন্যই এ নিয়ামতের দ্বার খোলা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)