সম্পাদকীয়-২
পতিত সরকারের আমলের চেয়ে আরো উর্ধ্বগতি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের আমদানী শুল্ক কমানো নয় বরং সঠিক চাহিদা নিরূপণ ও উৎপাদন এবং সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যথাযথ করার মাধ্যমেই দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ২৬শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দ্রব্যের উচ্চ মূল্য মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। তখন সরকার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে শুধু মৌখিক প্রচারণা চালাত আর সিন্ডিকেটের সাথে আতাত করে জনগণের সাথে প্রতারণা করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নানা খাতে সংস্কারের কথা প্রচার করছে। কিন্তু আসল কাজ, দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের পদক্ষেপ নাই বললেই চলে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বাজার চলে গিয়েছিল সিন্ডিকেটের হাতে। ছাত্র-জনতা রক্তমূল্যে হটিয়েছে সেই সরকারকে। সাধারণ মানুষ ভেবেছিল এখন ছাত্রশক্তি নিয়ে নতুন সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্নীতিমুক্ত করবে; বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে খান খান করে ফেলবে। কিন্তু প্রচ- আশাভঙ্গ হলো। সিন্ডিকেট তো ভাঙল না, আরও সক্রিয় হলো। নাভিশ্বাস উঠল সাধারণ মানুষের। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মিছেই দৌড়ঝাঁপ করতে লাগলেন। ফসল ফলল না কোথাও। চাঁদাবাজি কমেছে এ সাক্ষ্য কোনো ব্যবসায়ী দিতে পারছে না। সরকার ডিম, আলু আমদানি করে সম্ভবত তা সিন্ডিকেটের হাতেই তুলে দিয়েছে। কারণ গত সপ্তাহে সব ধরনের খরচ ও শুল্ক মিটিয়ে আমদানিকৃত প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার মতো। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা। আবার আমদানিকৃত আলুর মূল্য দেখানো হচ্ছে প্রতি কেজি ২১ টাকা। এ আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। তাহলে বিশাল মুনাফার কোটি কোটি টাকা কোন কোন ঘাটে জমা হলো এ তথ্য কি মানুষ জানতে পেরেছে? এখন পরিসংখ্যান করে দেখার বিষয় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় আওয়ামী লীগ সরকারকে কতটা হারিয়ে দিচ্ছে বর্তমান সরকার।
বাজারে শাকসবজি, চাল-ডাল, মাছ-মুরগি-কোন পণ্যে হাত দেওয়া যায়? উত্তাপে কোনো ক্রেতার হাতে ফোসকা পড়ে, কারও হাত পুড়ে যায়। হাঁকডাক করে টিসিবি ট্রাকে করে স্বল্পমূল্যে কিছু ভোগ্যপণ্য বিক্রি করে। সংবাদমাধ্যমে ক্রেতার লাইন দেখতে পাই। আমাদের জানতে ইচ্ছে হয়, এদেশের ক্রেতাসাধারণের কত শতাংশ এ সীমিত সুবিধা পান? সংখ্যাটি অতি নগণ্য। দুর্ভাগ্য, নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছ থেকে তেমন কিছুই শুনতে পাচ্ছি না!
আমাদের মতো দেশে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎপাদনকৃত পণ্যের জোগান স্বল্পতা। বাজারে পণ্যের দাম ঠিক রাখতে আমদানি করা কিছু পণ্যে কখনো কখনো সরকার শুল্ক ছাড় দিয়ে থাকে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ পণ্য ক্রয়ে এর কোনো সুফল পায় না। শুল্ক হ্রাস করার পরও অনেক সময় আগের দামে পণ্য কিনতে হয়। আমরা যদি কৃষিকে লাভজনক করতে পারতাম, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হতো। অর্থনীতির সাধারণ সূত্র পণ্যের জোগান বাড়া মানে পণ্যমূল্য কমে যাওয়া। ধরুন, আমাদের যে পরিমাণ পেঁয়াজ দরকার, সেই পরিমাণ যদি উৎপাদন করা সম্ভব হতো, তাহলে আমাদের আমদানির প্রয়োজন হতো না। হঠাৎ করে দাম বাড়ার আশঙ্কাও তৈরি হতো না। কোনো দেশের ওপর দাম বাড়া কিংবা কমার সুযোগ তৈরি হতো না। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেখা যায়, স্বল্প দূরত্বেও পণ্যমূল্যের ব্যবধান অনেক বেশি। এই ব্যবধান কমাতে হবে। প্রথমে আমাদের চাহিদা নির্ধারণ করতে হবে। এ বছর কী পরিমাণ পেঁয়াজ, রসুন, ডাল ও আলু দরকার, তার চাহিদা নির্ধারণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে বাংলাদেশে সব কিছুই প্রচুর উৎপাদন হয়। এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে খরচ কমাতে হবে। সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যথাযথ করতে হবে। তাহলে দ্রব্যমূল্য খুব সহজেই সুলভ হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খেজুর নিয়ে ভূল পদক্ষেপে বিগত পতিত সরকারের মত দুরাবস্থাই তৈরী করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রোযাদারদের শুধু কমমূল্যে নয় বরং বিনামূল্যেও খেজুর প্রদান সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা শিশুরাও এখন মাদকের বাহক, ক্রেতা, এমনকি মওজুদ কারক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় মদ ও মাদকের প্রতি কঠিন ঘৃণাবোধের সঞ্চার সম্ভব
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: আলু ও আলু বীজের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট আমদানী বাদ দিয়ে উৎপাদন খরচ কম ও উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে অতীতের মত বর্তমান সরকারেরও নজর নেই কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত প্রজ্ঞা ও পরিক্রমা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বানুল নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছাহিবু রসূলিল্লাহি ফিল গার, মুছাদ্দিকুল হুসনা, আশ শাহিদু আলান নাস, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যে আসন্ন রোযার প্রস্তুতি ভালো নয় রোযা-ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা বরদাশতের বাইরে যাবে দায়িত্ব নিতে হবে বর্তমান সরকারকেই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজুন নবুওয়াহর পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নদী রক্ষায় অনেক সংস্থা আছে কিন্তু সমন্বিত পদক্ষেপ নেই, সক্রিয় তৎপরতা নেই নদী রক্ষায় কার্যকর নদী আদালত গঠন ও প্রয়োগ করে প্রতিকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ঝুঁকিই হতে পারে অমিত সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধির পূজি।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)