নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শ্রবণ মুবারক
, ০৬ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّىْ اَرٰى مَا لَا تَرَوْنَ وَاَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُوْنَ اَطَّتِ السَّمَاءُ وَحُقَّ لَهَا اَنْ تَئِطَّ وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهٖ مَا فِيْهَا مَوْضِعُ اَرْبَعَةِ اَصَابِعَ اِلَّا وَمَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَهٗ سَاجِدٌ لِلّٰهِ
অর্থ: “হযরত আবূ যার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি যা দেখতে পাই আপনারা তা দেখতে পান না। আর আমি যা শুনতে পাই আপনারা তা শুনতে পান না। (ভারী ওযনে) আসমান কড়মড় করছে, আর এরূপ শব্দ করা তার জন্য মানানসই। ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যাঁর কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুদরত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক) আসমানের মধ্যে চার অঙ্গুলি পরিমাণ জায়গাও খালি নেই, যেখানে একজন না একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি উনার কপাল মুবারক অবনত করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য সিজদারত নন অর্থাৎ সমস্ত জায়গায় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য সিজদারত রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ حَكِيْمِ بْنِ حِزَامٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ اَصْحَابِهٖ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ اِذْ قَالَ لَهُمْ تَسْمَعُوْنَ مَا اَسْمَعُ قَالُوْا مَا نَسْمَعُ مِنْ شَيْءٍ قَالَ اِنِّىْ لَاَسْمَعُ اَطِيْطَ السَّمَاءِ وَمَا تَلَامُ اَنْ تَئِطَّ مَا فِيْهَا مَوْضِعَ شِبْرٍ اِلَّا وَعَلَيْهِ مَلَكٌ سَاجِدٌ اَوْ قَائِمٌ
অর্থ: “হযরত হাকীম ইবনে হিযাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে সম্মানিত ছোহবত মুবারক দান করা অবস্থায় ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন, যা আমি শুনতে পাচ্ছি? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা বললেন, আমরা তো কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আসমানের চড়চড় শব্দ শুনছি। কোনো কোনো সময় কোন কোন অংশ থেকে এরূপ শব্দ শোনা যায়। কেননা আসমানে অর্ধহাত পরিমাণ জায়গাও এমন নেই, যেখানে কোনো একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি সিজদারত অথবা দ-ায়মান অবস্থায় নেই অর্থাৎ সব স্থানেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সিজদারত রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ নাঈম)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে যখন আমি বদদো‘আ করি, প্রতিদিন আমি দেখতে পাই যে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেনই, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। উনারা বলেন যে, ‘এদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের জন্য আরো দো‘আ করা হোক’
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (২)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৯)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৪)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৮)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৩)
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার পরশে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার পরশে পাথর নরম হয়ে যাওয়া
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৭)
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (২)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)