নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক লেখার সময় পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (২)
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত ফযীলত মুবারক:
অপর বর্ণনায় রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ فِيْ كِتَابٍ لَمْ تَزَلِ الصَّلَاةُ جَارِيَةً لَهُ مَادَامَ اِسْمِيْ فِيْ ذَالِكَ الْكِتَابِ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কিতাবে আমার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ লিখবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ কিতাবে আমার সম্মানিত নাম মুবারক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ জারী থাকবে। অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি দায়িমীভাবে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার ফযীলত লাভ করবে। ” সুবহানাল্লাহ! (আত তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৩১, আল ক্বওলুল বাদী’ ২৪৮ নং পৃষ্ঠা, ত্ববাক্বাতুশ শাফিয়িয়্যাহ ১/১৮০ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يَجِيْءُ أَصْحَابُ الْحَدِيْثِ مَعَهُمُ الْمَحَابِرَ فَيَقُوْلُ اللهُ لَهُمْ أَنْتُمْ أَصْحَابُ الْحَدِيْثِ طَالَ مَا كُنْتُمْ تَكْتُبُوْنَ الصَّلَاةَ عَلَى نَبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْطَلِقُوْا إِلَى الْجَنَّةِ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে তখন মুহাদ্দিছগণ দোয়াতসহ সেখানে উপস্থিত হবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে বলবেন, আপনারা আছহাবে হাদীছ অর্থাৎ হাদীছ শরীফ সংরক্ষণ করেছেন, তাতে দীর্ঘ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ লিখেছেন। কাজেই আপনারা দ্রুত জান্নাতে প্রবেশ করুন। ” সুবহানাল্লাহ! (ত্ববারানী, আল ক্বওলুল বাদী’ ২৪৮ নং পৃষ্ঠা)
পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কিত অনেক ওয়াক্বেয়াহ মুবারক সংঘটিত হয়েছে। সেখান থেকে নিম্নে কয়েকখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উল্লেখ করা হলো-
পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার কারণে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নামাযে ইমামতী করার দায়িত্ব লাভ:
কিতাবে একটি মশহূর ওয়াক্বেয়াহ বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَعْفَرَ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَأَيْتُ حَضْرَتْ اَبَا زُرْعَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِي الْمَنَامِ وَهُوَ فِي السَّمَاءِ يُصَلِّيْ بِالْمَلَائِكَةِ فَقُلْتُ لَهُ بِمَ نِلْتَ هَذَا فَقَالَ كَتَبْتُ بِيَدِيْ أَلْفَ أَلْفَ حَدِيْثٍ إِذَا ذَكَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ مَرَّةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
অর্থ: “হযরত জা’ফর ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (হযরত আবূ যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফের পর) আমি উনাকে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আসমানে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেসহ নামায আদায় করছেন। অর্থাৎ নামাযে উনাদের ইমামতী করছেন। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে এই ফযীলত হাছিল করলেন? তিনি বললেন, আমি আমার নিজ হাতে ১০ লক্ষ হাদীছ শরীফ লিখেছি। যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক উল্লেখ করতাম, তখন অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ লিখতাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর ১ বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর দশটি রহমত মুবারক বর্ষণ করবেন। অর্থাৎ উনার সম্মানিত নাম মুবারক উনার সাথে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ লেখার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে এই মাক্বাম মুবারক হাদিয়া করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল ক্বওলুল বদী’ ২৫০ নং পৃষ্ঠা) (অসমাপ্ত)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (১)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৪)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৬)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক (৩)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)