সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে, উনার সুমহান সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক (১)
, ০২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক। আর উনাকে পাওয়ার কারণে ঈদ বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
সমগ্র জগতে রহমত হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনাকে রহমত হিসেবেই প্রেরণ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ ۖ فَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنتُم مِّنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ: “তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)
এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী পাকিস্তানের মুফতে শফী তার “মাআরেফুল কুরআন” লিখেছে “আর হাদীছ শরীফ উনার ভিত্তিতে আযাব অবর্তীণ না হওয়াটা যেহেতু হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকত। কাজেই কোন কোন তাফসীরকারক হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফকেই আল্লাহ পাক উনার রহমত ও করুনা বলে বিশ্লেষন করেছেন। ” (তাফসীরে মারেফুল কুরআন : সূরা বাকারা শরীফ উনার ৬৪ নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীর)
বর্তমান সময়ে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতাকারীদের অন্যতম মুরুব্বী মুফতে শফীর তাফসীর থেকে পাওয়া গেলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনকে রহমত ও অনুগ্রহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সেই বিষয়টা স্পষ্ট করে বলে দিলেন-
قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে পাওয়ার কারণে তোমরা খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ-এ بفضل এবং برحمته দ্বারা কাকে বুঝানো হয়েছে। এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, যা ‘তাফসীরে রূহুল মায়ানী ৬ষ্ঠ খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ্য রয়েছে-
اخرج ابو الشيخ عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما ان الفضل العلم و الرحمة محمد صلى الله عليه وسلم
অর্থ: হযরত আবুশ শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত “নিশ্চয়ই “ফদ্বল” দ্বারা উদ্দেশ্য ইলম, আর ‘রহমত’ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ” (দলীল: তাফসীরে দূররুল মানছুর, সূরা ইউনূস শরীফ ৫৮ আয়াত শরীফ, তাফসীরে কবীর)
উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে ‘রহমত’ দ্বারা কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে। অর্থ দাড়াচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ এবং রহমত মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের কারনে খুশি বা ঈদ পালন করো।
উপরোক্ত পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ১০৭ নং আয়াত শরীফ ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ৬৪ নং আয়াত শরীফ থেকে আমরা জানতে পারলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং “রহমত”। সুবহানাল্লাহ! (অসমাপ্ত)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বগল মুবারক উনার শুভ্রতা মুবারক
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)