সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব থেকে দলীল (১)
, ১৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
স্বয়ং হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই বলেছেন, ‘খাছ মু’মিন উনাদের জন্য প্রতিটি দিনই ঈদ। ’ সুবহানাল্লাহ! এবং তিনি আরো বলেছেন, ‘খাছ মু’মিন উনাদের জন্য দুনিয়ার যমীনে এবং পরকালে প্রত্যেকটা সময় ঈদ। ’ সুবহানাল্লাহ!
যেমন- হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘লাত্বায়িফুল মা‘আরিফ’ কিতাবের ২৭৮ নং পৃষ্ঠায় বলেন,
كُلُّ يَوْمٍ كَانَ لِلْمُسْلِمِيْنَ عِيْدًا فِى الدُّنْيَا فِاِنَّهٗ عِيْدٌ لَّهُمْ فِى الْجَنَّةِ يَجْتَمِعُوْنَ فِيْهِ عَلٰى زِيَارَةِ رَبِّهِمْ وَيَتَجَلّٰى لَهُمْ فِيْهِ وَيَوْمُ الْجُمُعَةِ يُدْعٰى فِى الْجَنَّةِ يَوْمَ الْمَزِيْدِ وَيَوْمُ الْفِطْرِ وَالْاَضْحٰى يُجْتَمَعُ اَهْلُ الْجَنَّةِ فِيْهِمَا لِلزِّيَارَةِ
অর্থ: “সম্মানিত মুসলমান উনাদের জন্য দুনিয়াতে যে দিনগুলি ঈদ, সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যেও উনাদের জন্য সেই দিনগুলি ঈদের দিন হবেন। সুবহানাল্লাহ! কারণ এই সমস্ত দিনে সম্মানিত মুসলমান উনারা উনাদের রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক উনার উদ্দেশ্যে একত্রিত হবেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি এই দিনগুলিতে উনাদের জন্য প্রকাশ পাবেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার দিন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে দাওয়াত দেয়া হবে। (এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক হচ্ছেন-) ইয়াওমুল মাযীদ। সুবহানাল্লাহ! আর সম্মানিত রোযার ঈদ এবং সম্মানিত কুরবানীর ঈদ- এই দুই দিন সম্মানিত জান্নাতবাসী উনাদেরকে পরস্পর সাক্ষাতের জন্য একত্রিত করা হবে। ” সুবহানাল্লাহ!
তারপর হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘লাত্বায়িফুল মা‘আরিফ’ কিতাবের ২৭৮ নং পৃষ্ঠায় বলেন,
فَهٰذَا لِعُمُوْمِ اَهْلِ الْجَنَّةِ فَاَمَّا خَوَاصُّهُمْ فَكُلُّ يَوْمٍ لَّهُمْ عِيْدٌ يَزُوْرُوْنَ رَبَّهُمْ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ بُكْرَةً وَّعَشِيًّا اَلْخَوَاصُّ كَانَتْ اَيَّامُ الدُّنْيَا كُلُّهَا لَهُمْ اَعْيَادًا فَصَارَتْ اَيَّامُهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ كُلُّهَا اَعْيَادًا قَالَ حَضْرَتْ اَلْحَسَنُ الْبَصْرِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كُلُّ يَوْمٍ لَا يُعْصَى اللهُ فِيْهِ فَهُوَ عِيْدٌ كُلُّ يَوْمٍ يَقْطَعُهُ الْمُؤْمِنُ فِىْ طَاعَةِ مَوْلَاهُ وَذِكْرِهٖ وَشُكْرِهٖ فَهُوَ لَهٗ عِيْدٌ
অর্থ: “সুতরাং এটা হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাতবাসী সাধারণ মানুষের জন্য। সুবহানাল্লাহ! আর সম্মানিত জান্নাতবাসী বিশেষ ব্যক্তিত্ব উনাদের জন্য প্রত্যেক দিনই ঈদ। সুবহানাল্লাহ! উনারা প্রত্যেক দিন সকাল-সন্ধ্যা দুইবার উনাদের রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! বিশেষ ব্যক্তি উনাদের জন্য দুনিয়াতে প্রত্যেক দিনই ঈদ, তাই পরকালেও উনাদের জন্য প্রত্যেক দিনই ঈদ হবেন। সুবহানাল্লাহ! ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘প্রত্যেক ঐ দিন, যেই দিনে মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করা হয় না, সেদিন ঈদ। প্রত্যেক ঐ দিন, যেই দিনে মু’মিন ব্যক্তি তিনি উনার মাওলা তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্যে, উনার যিকিরে বা স্বরণে এবং উনার শুকুরগুজারীতে কাটিয়েছেন, সেদিন উনার জন্য ঈদ’। ” সুবহানাল্লাহ! (লাত্বাইফুল মা‘আরিফ ২৭৮ নং পৃষ্ঠা, লাওয়ামি‘উল আনওয়ার ২/২৫০)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বীয় তাফসীরগ্রন্থ ‘রওয়াই‘উত তাফসীর’ এবং উনার লিখিত বুখারী শরীফ উনার শরাহগ্রন্থ ‘ফাত্হুল বারী’ এই দুই কিতাবে বলেন,
وَاَمَّا خَوَاصُّ الْمُؤْمِنِيْنَ فَكُلُّ يَوْمٍ لَّهُمْ عِيْدٌ كَمَا قَالَ بَعْضُ الْعَارِفِيْنَ وَرُوِىَ عَنْ حَضْرَتْ اَلْحَرِمِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كُلُّ يَوْمٍ لَا يُعْصَى اللهُ فِيْهِ فَهُوَ عِيْدٌ
অর্থ: “আর খাছ মু’মিন উনাদের জন্য প্রত্যেকটি দিনই ঈদ। যেমনটা কতিপয় আরিফীন অর্থাৎ হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন। হযরত হারিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন, ‘প্রত্যেক ঐ দিন, যেই দিন মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করা হয় না, সেদিন ঈদ’। ” সুবহানাল্লাহ! (রওয়াই‘উত তাফসীর ১/৩৯৪-৩৯৫, ফাতহুল বারী লি ইবনে রজব ১/১৭৬)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বগল মুবারক উনার শুভ্রতা মুবারক
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)