নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক-এ যাঁদের নাম রাখা হবে এবং যাঁরা নাম রাখবে উনারা প্রত্যেকেই জান্নাতী (৪)
, ০৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত কিতাব ‘আল ফিরদাউস লিদ দায়লামী শরীফ’ উনার ৫ম খ-ের ৪৮৫ ও ৫৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوْقَفُ عَبْدَانِ بَيـْنَ يَدَىِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَاْمُرُ بِـهِمَا اِلَـى الْـجَنَّةِ فَيَقُوْلَانِ يَا رَبَّنَا بِـمَا اسْتَاْهَلْنَا مِنْكَ الْـجَنَّةَ وَلَـمْ نَعْمَلْ عَمَلًا يُـجَازِيْنَا الْـجَنَّةَ فَيَقُوْلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَـهُمَا عَبْدَانِ اُدْخُلَا الْـجَنَّةَ فَاِنّـىْ اٰلَيْتُ عَلـٰى نَفْسِىْ اَنْ لَّايَدْخُلَ النَّارَ مَنِ اسْـمُهٗ اَحْـمَدُ وَمُـحَمَّدٌ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দুই বান্দাকে দাঁড় করানো হবে। (যাদের একজনের নাম ‘মুহম্মদ’ এবং অপর জনের নাম ‘আহমদ’) মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করবেন। উনারা উভয়ে বলবেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আমরা কি কারণে সম্মানিত জান্নাত মুবারক লাভ করলাম, আমরা তো সম্মানিত জান্নাত মুবারক লাভের উপযুক্ত কোন আমল করিনি। কিভাবে আমরা আপনার পক্ষ থেকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক লাভের যোগ্যতা রাখি? আমরা তো এমন কোনো আমল করি নি, যার বদলা হিসেবে আমরা সম্মানিত জান্নাত মুবারক লাভ করতে পারি! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের দুইজনকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করবেন, হে আমার বান্দারা তোমরা দুজন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করো। কেননা, নিশ্চয়ই আমি আমার মহাসম্মানিত যাত মুবারক উনার উপর ক্বসম করেছি যে, যাঁদের নাম ‘আহমদ’ এবং ‘মুহম্মদ’ হবে, উনারা কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। ” সুবহানাল্লাহ! (আল ফিরদাউস লিদ দায়লামী ৫/৪৮৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ السَّادِسِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ جَعْفَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) يُنَادِىْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا مُـحَمَّدُ فَيَـرْفَعُ رَاْسَهٗ فِى الْـمَوْقِفِ مَنْ اِسْـمُهٗ مُـحَمَّدٌ فَيَقُوْلُ اللهُ جَلَّ جَلَالُهٗ اُشْهِدُكُمْ اَنِّــىْ قَدْ غَفَرْتُ لِكُلِّ مَنِ اسْـمُهٗ عَلٰى اِسْمِ مُـحَمَّدٍ نَّبِــىّٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন। ক্বিয়ামতের দিন ‘ইয়া মুহম্মদ’ বলে অর্থাৎ বরকতময় ‘মুহম্মদ’ নাম ধরে ডাকা হবে। যে সকল ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ উনারা সকলেই উনাদের মাথা উত্তোলন করবেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, তোমরা সাক্ষী থাক, যাঁরা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক অনুযায়ী নাম রেখেছেন, উনাদের প্রত্যেককে আমি ক্ষমা করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ! (আদ্ দুররুছ ছামীন ওয়াল মাওরিদুল মু‘ঈন ১৬ নং পৃষ্ঠা)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)