নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক-এ যাঁদের নাম রাখা হবে এবং যাঁরা নাম রাখবে উনারা প্রত্যেকেই জান্নাতী (৩)
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادٰى مُنَادٍ يَا مُحَمَّدُ قُمْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ فَيَقُوْمُ كُلُّ مَنِ اسْـمُهٗ مُحَمَّدٌ وَيَتَوَهَّمُ اَنَّ النِّدَاءَ لَهٗ فَلِكَرَامَةِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُـمْنَعُوْنَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন- ‘হে মুহম্মদ’! উঠো, অতঃপর বীনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করো। তখন যাঁদের নাম ‘মুহম্মদ’ উনারা প্রত্যেকেই দাঁড়াবেন এই ধারণা করে যে, নিশ্চয়ই তাঁকেই সম্বোধন করা হয়েছে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক উনার সম্মানার্থে উনাদের কাউকেই (সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে বিনা হিসাবে যেতে) বাধা দেওয়া হবে না অর্থাৎ উনারা সকলেই বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
كَانَ الشَّيْخُ اَبُو الْـمَوَاهِبِ الشَّاذِلِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَقُوْلُ بَلَغَنَا اَنَّهٗ يُؤْتٰى بِـمَنِ اسْـمُهٗ مُحَمَّدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُوْلُ اللهُ لَهٗ اَمَا اِسْتَحْيَيْتَ عَصَيْتَنِـىْ وَاَنْتَ سَـمِـىُّ حَبِيْبِـىْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لٰكِنْ اَنَا اَسْتَحْىٖ اَنْ اُعَذِّبَكَ وَاَنْتَ سَـمِىُّ حَبِيْبِـىْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذْهَبْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ
অর্থ: “শাযালী ত্বরীক্বার ইমাম হযরত শায়েখ আবুল মাওয়াহিব শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের নিকট (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ) পৌঁছেছেন যে, নিশ্চয়ই যাঁদের নাম ‘মুহম্মদ’ হবে, ক্বিয়ামতের দিন তাঁদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট নিয়ে আসা হবে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাঁদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কি আমার নাফরমানী করতে লজ্জাবোধ করো নি? অথচ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক অনুযায়ী তুমি নাম ধারণ করেছো। কিন্তু আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক অনুযায়ী তুমি নাম ধারণ করায় আমি তোমাকে শাস্তি দিতে লজ্জাবোধ করছি। কাজেই তুমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করো। ” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বলুছ ছলাওয়াত ‘আলা সাইয়্যিদিস সাদাত, আত ত্ববাক্বাতুল কুব্রা লিশ শা’রানী ৩৮৮)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)