নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক-এ যাঁদের নাম রাখা হবে এবং যাঁরা নাম রাখবে উনারা প্রত্যেকেই জান্নাতী (১)
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় দুইখানা মূল নাম মুবারক উনাদের মধ্যে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক হচ্ছেন যাহিরী, একখানা বাত্বিনী, একখানা যমীনে, একখানা আসমানে। যেটা বলা হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক হচ্ছেন যমীনে এবং যাহিরী নাম মুবারক। আর ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক হচ্ছেন আসমানে এবং বাতিনী নাম মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলু বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যাহিরী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক উনার অর্থ হচ্ছেন চরম প্রশংসিত। আর বাতিনী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক উনার অর্থ হচ্ছেন চরম প্রশংসাকারী। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ اُمَّتِـىْ مِنْ اَحَدٍ رَزَقَهُ اللهُ وَلَدًا ذَكَرًا فَسَمَّاهُ مُحَمَّدًا وَعَلَّمَهٗ{تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ} اِلَّا حَشَرَهُ اللهُ عَلـٰى نَاقَةٍ مِّنْ نُّوْقِ الْـجَنَّةِ مُدَبَّـجَةِ الْـجَنْبَيْـنِ خِطَامُهَا مِنَ اللُّؤْلُؤِ الرَّطِبِ عَلـٰى رَاْسِهَا تَاجٌ مِنْ نُّوْرٍ وَاِكْلِيْلٌ يُفْتَخَرُ بِهٖ فِـى الْـجَنَّةِ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের কোনো ব্যক্তিকে যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি ছেলে সন্তান দান করেন। অতঃপর সে তার নাম ‘মুহম্মদ’ রাখে এবং ঐ সন্তানকে নি¤েœাক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ বা সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুল্ক শরীফ শিক্ষা দেয়-تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ ‘তিনি পূণ্যময়, বরকতময় সেই মহান সত্ত্বা উনার সম্মানিত কুদরতী হাত মুবারক-এ সমস্ত কায়িনাতের কর্তৃত্ব মুবারক। ’ অর্থাৎ দ্বীনী ইলিম শিক্ষা দেয়। তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তিকে এমন জান্নাতী উটনীতে করে হাশরের ময়দানে উঠাবেন যার দুই পাশ থাকবে সুসজ্জিত, তার লাগাম হবে আকর্ষণীয় মোতির, তার মাথায় থাকবে নূরের মুকুট এবং গলায় থাকবে নূরের মালা বা হার। এর দ্বারা তাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ গৌরবান্বিত করা হবে। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ لَهٗ حَـمْلٌ فَنَوٰى اَنْ يُّسَمِّيَه مُحَمَّدًا حَوَّلَهُ اللهُ ذَكَرًا وَاِنْ كَانَ اُنْثٰى وَمَنْ كَانَ لَهٗ اِبْنٌ فَسَمَّاهُ مُحَمَّدًا فَلْيُكْرِمْهُ وَلَا يَضْرِبْهٗ اَمَّا يَسْتَحِىْ اَحَدُكُمْ اَنْ يَّقُوْلَ يَا مُحَمَّدُ ثُـمَّ يَضْرِبَهٗ نَـجَا
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো ব্যক্তির আহলিয়া হামেলা অর্থাৎ সন্তানসম্ভবা হলে ঐ ব্যক্তি যদি নিয়ত করে যে, তার সন্তানের নাম রাখবে ‘মুহম্মদ’। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ সন্তানকে ছেলে সন্তানে রূপান্তরিত করে দিবেন, যদিও সেই সন্তানটা মেয়ে সন্তান হয়ে থাকুক না কেন্? আর যদি কোনো ব্যক্তির একজন ছেলে সন্তান হয়, অতঃপর সেই সন্তানের নাম রাখে ‘মুহম্মদ’, তাহলে তার জন্য আবশ্যক হচ্ছে ঐ সন্তানকে সম্মান করা এবং ঐ সন্তানকে প্রহার না করা। পক্ষান্তরে তোমাদের কেউ যদি (ঐ সন্তানকে) ‘হে মুহম্মদ!’ বলে সম্বোধন করতে লজ্জাবোধ করে, তারপর ঐ সন্তানকে প্রহার করতে লজ্জাবোধ করে, তাহলে অবশ্যই সে নাজাত লাভ করবে। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللهُ تَعَالـٰى وَعِزَّتِـىْ وَجَلَالِـىْ لَا اُعَذِّبُ اَحَدًا تُسَمّٰى بِـاِسْـمِكَ فِـى النَّارِ
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার ইয্যাত এবং জালালিয়াত মুবারক উনাদের ক্বসম! (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক অনুযায়ী কারো নাম রাখা হলে, আমি তাঁকে কস্মিনকালেও জাহান্নামে শাস্তি দিবো না। ” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/১৩৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ نَبِيْطِ بْنِ شَرِيْطٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَتَانِـىْ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقْرَاُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُوْلُ وَعِزَّتِىْ وَجَلَالِـىْ لَا اُعَذِّبُ اَحَدًا سُـمِّىَ بِاسْـمِكَ بِالنَّارِ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “হযরত নাবীত্ব ইবনে শারীত্ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একদা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়ে বললেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে সালাম মুবারক জানিয়েছেন এবং ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার সম্মানিত ইয্যাত ও জালালিয়াত মুবারক উনাদের ক্বসম! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক-এ যাদের নাম রাখা হবে, আমি তাদের কাউকেই দোযখে শাস্তি প্রদান করবো না। ” সুবহানাল্লাহ! (নুস্খাতু নাবীত্ব ইবনে শারীত্ব ১১৯ পৃষ্ঠা)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (২)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কণ্ঠস্বর মুবারক
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শ্রবণ মুবারক
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (১)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্ধকারে-আলোতে, দিনে-রাতে এবং সামনে-পিছনে সমান দেখতেন
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৪)
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)