নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
, ২৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উবাইদাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অথবা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হযরত হাফছাহ আলাইহাস সালাম) উনার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম হিসেবে গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
تَزَوَّجَ بَعْدَ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ الرَّابِعَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اِبْنَتِ اَبِيْهَا عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اُمَّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلْـخَامِسَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِنْتَ خُزَيْـمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَلْـهِلَالِيَّةَ اُمَّ الْـمَسَاكِيْـنِ عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আল হিলালিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ গ্রহণ করেন। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ওলীমা মুবারক সম্পর্কে হযরত ইমাম যুবাইর ইবনে বাক্কার ইবনে আব্দুল্লাহ কুরাইশী আসাদী মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ২৫৬ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত ‘আল মুন্তাখাবু মিন কিতাবি আযওয়াজিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে বলেন,
وَاَوْلَـمَ عَلَيْهَا جَزُوْرًا فَكَثُرَ الْمَسَاكِيْـنُ فَتَرَكَهُمُ النَّاسُ وَالطَّعَامَ ثُـمَّ غَدَا النَّاسُ عَلَى النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ خَلَا لَـهُمْ وَجْهَهٗ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَاْتِـىْ بِالْـهَرِيْسَةِ فَلَمْ يَـجْتَمِعْ لَـهُمْ اِلَّا الْـهَرَائِسُ فَدَعَا النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ يُّــبَارِكَ لَـهُمْ فِيْهَا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উট যবেহ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ওলীমা মুবারক উনার মেহমানদারী মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহাসম্মানিত ওলীমা মুবারক-এ অসংখ্য গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা’, নিঃস-অসহায় ও দরিদ্র লোক উপস্থিত হন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা’, নিঃস-অসহায় ও দরিদ্র সকলকে (প্রস্তুতকৃত সমস্ত) খাদ্য খাওয়ায়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত হন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের প্রতি মনোযোগী হন। তখন একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ‘হারীসাহ্’ নামক (গম চূর্ণ ও গোশত দ্বারা তৈরী) এক প্রকার খাদ্য নিয়ে আসেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনাদের জন্য ‘হারীসাহ্’ নামক খাদ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাদ্য মুবারক উপস্থিত ছিলো না। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সম্মানিত খাদ্য মুবারক-এ বরকত দানের জন্য সম্মানিত দো‘আ মুবারক করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মুনতাখাবু মিন কিতাবি আযওয়াজিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ, ছূফী, ফক্বীহ, আশেক্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শাইখুল ইসলাম হযরত ইমাম আল্লামা আবুল ফারাজ নূরুদ্দীন আলী ইবনে ইবরাহীম ইবনে আহমদ ইবনে আলী ইবনে উমর হালাবী মিছরী ক্বাহিরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৯৭৫ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ১০৪৪ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ শরীফ’ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ওলীমা মুবারক সম্পর্কে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা হচ্ছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرُوْسًا بِاُمِّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ الْـخَامِسَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْـمَسَاكِيْـنِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فَعَمَدَتْ حَضْرَتْ اُمُّ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا اِلـٰى تَـمَرٍ وَسَــمَنٍ وَاَقْطٍ فَصَنَعَتْ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِـىْ تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا حَضْرَتْ اَنَسُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اِذْهَبْ بِـهٰذَا اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْ بَعَثَتْ بِـهٰذَا اِلَيْكَ اُمِّىْ وَهِىَ تُقْرِئُكَ السَّلَامَ فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُدْعُ لِـىْ فُلَانًا وَفُلَانًا رِجَالًا سَـمَّاهُمْ وَادْعُ لِـىْ مَنْ لَقِيْتَ فَدَعَوْتُ مَنْ سَـمّٰى وَمَنْ لَقِيْتُ فَرَجَعْتُ فَاِذَا الْبَيْتُ غَاصٌّ بِاَهْلِهٖ قِيْلَ لِـحَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مَا عَدَدُهُمْ قَالَ كَانُوْا ثَلَاثَـمِائَةٍ فَرَاَيْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَدَهُ الشَّرِيْفَةَ عَلـٰى تِلْكَ الْـحَيْسَةِ وَتَكَلَّمَ بِـمَا شَاءَ اللهُ ثُـمَّ جَعَلَ يَدْعُوْ عِنْدَهٗ عَشَرَةً عَشَرَةً يَاْكُلُوْنَ مِنْهُ وَيَقُوْلُ لَـهُمْ اُذْكُرُوا اللهَ وَلْيَاْكُلْ كُلُّ رَجُلٍ مِّـمَّا يَلِيْهِ فَاَكَلُوْا حَتّٰـى شَبِعُوْا كُلُّهُمْ ثُـمَّ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِــىْ يَا حَضْرَتْ اَنَسُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اِرْفَعْ فَرَفَعْتُ فَمَا اَدْرِىْ حِيْـنَ وُضِعَتْ كَانَتْ اَكْثَرُ اَوْ حِيْـنَ رَفَعْتُ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন, তখন (আমার সম্মানিতা আম্মাজান) হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি গিয়ে খেজুর, মাখন/ঘি এবং পনির মিশ্রিত করে ‘হাইস্’ নামক এক প্রকার খাবার তৈরী করে একটি পিতলের পাত্রের মধ্যে (গামলার মতো মোটামোটি একটি বড় পাত্রের মধ্যে) রাখেন। তারপর বলেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি এই সম্মানিত খাবার মুবারক নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ গিয়ে বলুন, এই সম্মানিত খাবার মুবারক আপনার জন্য আমার সম্মানিতা আম্মাজান তিনি পাঠিয়েছেন এবং তিনি আপনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত সালাম মুবারক পেশ করেছেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেকের নাম মুবারক উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন, আমার নিকট আপনি অমুক, অমুক এবং যাঁদের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হয় উনাদেরকে ডেকে আনুন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যাঁদের নাম মুবারক উল্লেখ করেছেন এবং আমার সাথে যাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে উনাদেরকে ডেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ ফিরে আসলাম। হঠাৎ দেখলাম যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার আশপাশ লোক দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেলেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, উনাদের সংখ্যা কত ছিলেন। তিনি বলেন, উনারা ৩০০ জন ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,) অতঃপর আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) সেই খাবারের পাত্রের মধ্যে রেখে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইরাদা বা ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী কিছু বাক্য মুবারক উচ্চারণ করলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবার খাওয়ার জন্য উনার নিকট ১০ জন ১০ জন করে লোক ডাকলেন এবং উনাদেরকে বললেন, আপনারা ‘বিসমিল্লাহ শরীফ’ বলে প্রত্যেকেই পাত্রের নিজ নিজ দিক থেকে খাবার মুবারক গ্রহণ করুন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা প্রত্যেকেই তৃপ্তি সহকারে খেলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি ঢাকনা মুবারক তুলুন। অতঃপর আমি ঢাকনা মুবারক তুললাম। আমি জানি না যে, যখন পাত্র মুবারক-এ খাবার রাখা হয়েছে তখন বেশি খাবার মুবারক ছিলো, না কি যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম তখন বেশি (খাবার মুবারক ছিলো। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ পাত্র মুবারক-এ যখন খাবার মুবারক রাখা হয়েছে তখন যে পরিমাণ খাবার মুবারক ছিলো, যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম তখনও ঠিক সেই পরিমাণই খাবার মুবারক ছিলো। খাবার মুবারক একটুও কমেনি। ” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ শরীফ ৩/৪০৯)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন ৩য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৬শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার)। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩০ বছর ২ মাস ৬ দিন। তিনি ৩ মাস ১ দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার মহাসম্মানিত মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
فَقَرَّرَ عَلـٰى خَـمْسِ مِائَةِ دِرْهَمٍ مَهْرَهَا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে ৫০০ দিরহাম মহাসম্মানিত মোহরানা মুবারক দেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মুক্বতাফা মিন সীরাতিল মুস্ত¡ফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আর স্বর্ণ হিসেবে মহাসম্মানিত মোহরানা মুবারক উনার পরিমাণ ছিলেন সাড়ে ১২ আউকিয়া। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَاَصْدَقَهَا ثِنْتَـىْ عَشْرَةَ اَوْقِيَةً وَنَشًّا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বাামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে সাড়ে ১২ আউক্বিয়াহ্ মহাসম্মানিত মোহরানা মুবারক দেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরতুন নুবুবিয়্যাহ্ লি ইবনে কাছীর ৩/১৭৩)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
اَلنَّشُّ نِصْفُ اَوْقِيَةٍ وَهُوَ عِشْرُوْنَ دِرْهَـمًا
অর্থ: “আন নাশ্শু হচ্ছে অর্ধ আউক্বিয়াহ্। আর সেটা দিরহাম হিসেবে বিশ দিরহাম। ” সুবহানাল্লাহ! (আন নিহায়াহ্ লি ইবনে আছীর ৫/১৩০, আল কাশ্শাফ লিত্ ত্বীবী ৮/২৫৩৫)
কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম যা স্বর্ণ হিসেবে সাড়ে ১২ আউকিয়া। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পর ৩য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৬শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম হিসেবে গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩০ বছর ২ মাস ৬ দিন। তিনি ৩ মাস ১ দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। ” সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)