নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করার কারণে, হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে
, ২৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই শা’বান শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন- “নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার যে বিষয়টা তিনি যে বিচার চাইবেন। আমি উনাকে বলেছিলাম যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা, সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা। আমি বলেছিলাম, আমি যদি একটা বিষয় বিচার চাই, সেটা কি ফয়সালা হবে? তিনি বলেছিলেন, আরশে আযীম উনার কাছে আসার মত যোগ্যতা কারো নেই, একমাত্র আমরা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্ব-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু‘মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ছাড়া সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা কারো নেই। আমি বলেছিলাম- ‘যদি আপনারা সহায়তা ও সাহায্য করেন, তাহলে হয়তো সম্ভব হবে। ’ তিনি বললেন, এখানে যারা বিশেষ করে আরশের অধিবাসী ফেরেশতা উনারা আবৃত থাকেন। এতো নূর মুবারক বর্ষণ করা হয়, সেই নূর মুবারক বরদাস্ত করা কারো পক্ষে সম্ভব না। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি কিন্তু সিদরাতুল মুনতাহা পার হতে পারেননি। এক চোখ পলক গেলেই তিনি পুড়ে যাবেন। এবং হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যিয়ারত মুবারক করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু যিয়ারত তো হয়নি। নূর মুবারক বর্ষণ করা হয়েছে, আরশে আযীমের। এক বর্ণনায় ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ। আরেক বর্ণনায় একটা সূচের মাথা পরিমাণ। এটা যখন বর্ষণ করা হলো, যেটা বলা হচ্ছে-
فَـلَمَّا تَـجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا
‘যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পাহাড়ে তাজাল্লা মুবারক, নূর মুবারক নিক্ষেপ করলেন, পাহাড়টা টুকরা টুকরা হয়ে গেলো। আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন। ’
কিভাবে পড়লেন? বর্ণনায় বলা হয়- তিনি একটা পাথরের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পাথরটা উল্টিয়ে দেওয়া হলো। কারণ সরাসরি এই নূর মুবারক উনার জিসিম মুবারক-এ যদি লাগে, তাহলে তিনি হয়তো আর থাকতে পারবেন না। এটা এমন হতে পারে, যেটা আমরা বলেছিলাম- ফয়েয-তাওয়াজ্জু এতো কঠিন! যেটা হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক দৃষ্টিতে উনার খলীফার যে খলীফা, তিনি গলে পানি হয়ে গেছেন, গায়েব হয়ে গেছেন। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে হিফাযত করার জন্য যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পাথরটাকে উল্টিয়ে দিলেন। যাতে সেই নূরের স্পর্শ উনার জিসিম মুবারক-এ না লাগে। কিন্তু তাতেও তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পরে হুঁশ মুবারক ফিরে আসলেন। তিনি উপলব্ধি করলেন বিষয়টা। এটা হচ্ছে- ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ অথবা একটা সূচের মাথা পরিমাণ ছিদ্র যেই নূর বর্ষণ করা হয়েছে তাতে এই অবস্থা। তাহলে আরশের যারা অধিবাসী- এটা তো একটা কঠিন অবস্থা। আরশে যারা ফেরেশতা আছেন ৮ জন, ১২ জন আরো যারা আছেন। আবৃত অবস্থায় আছেন। বরদাস্ত করা সম্ভব না। উনাদেরকে আল্লাহ পাক আলাদা হেফাযত করেন। সবসময় আবৃত অবস্থায় থাকেন। সেখানে যাওয়া সম্ভব না। আমি যখন বলেছিলাম যে, একটা বিষয়। সেটা হচ্ছে, আমার বলার বিষয়টা ছিলো যে, কাফির-মুশরেকগুলি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এতো বিদ্বেষ পোষণ করে, উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক এদের ভাষায় ১৩ নম্বর। এই ১৩ নম্বরকে তারা এতো বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে, এরা চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করে, তাহলে এই বিষয়টা বিচার চাইতে হবে। তখন তিনি সেই কথাগুলি বলেছেন এবং তিনি বলেছেন, ঠিক আছে। মনে হচ্ছে চোখের পলকে উনার থেকে একটা ফয়েয-তাওয়াজ্জু আমার শরীর মুবারক-এ এসে পৌঁছলো। এ সময় এমন হয়েছে সমস্ত শরীর মনে হচ্ছে একদম জর্জরিত হয়ে গেলো। কিন্তু বেহুঁশী হাল হলেও আবার হুঁশ ছিলো। অনেক্ষণ সময় ব্যয় হয়েছে সেই অবস্থাটা কাটতে, ৬/৭/৮ ঘন্টা।
এই যে বিষয়টা এখন উনাদের যে হাল-হাক্বীক্বত, উনারা যে আসলে হাক্বীক্বী নূর মুবারক এবং এই সমস্ত নূর মুবারক বরদাস্ত করতে পারেন এবং বরদাস্ত করেই উনারা ফায়সালা করবেন এবং উনাদের সহযোগীতা, ফায়েয-তাওয়াজ্জু যদি থাকে সেটা বরদাস্ত করা সহজ হয় এবং সম্ভব হয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখন এই যে বিষয়গুলি এগুলি ফিকিরের বিষয়। নিসবত-কুরবত, মুহব্বত। এখন উনাদের হাল-হাক্বীক্বত উনাদের শান-মান, মর্যদা এগুলি সৃষ্টির পক্ষে উপলদ্ধি করা কখনো সম্ভব না।
সেটাই আমি চেয়েছিলাম যে, এটা তো কঠিন বিষয়। তিনি বলেন, এটা আমরা ছাড়া কেউ বরদাস্ত করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, তাহলে আপনি আমাকে সহযোগীতা করেন। তিনি সহযোগীতা করলেন। এমন এক নূর মুবারক উনার থেকে বিচ্ছুরিত হলো, হওয়ার সাথে সাথে মনে হয় সমস্ত কিছু চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। যাই হোক, প্রায় ৬-৮ ঘন্টা। এরপর অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছি। তবে একটা তাছীর তো আছে। তাছীর রয়ে গেছে এখনো কম-বেশি। বলেন, এটা বরদাস্ত করতে পারলে পারা যাবে। আমি বলছিলাম যে, তাহলে আমি এই কাফেরদের বিরুদ্ধে বিচার চাইবো। এই কাফেরদের যে এতো বিদ্বেষ, এতো হিংসা কেন্? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ এতো হিংসা কেন এগুলির? এদের বিরুদ্ধে আমি বিচার চাইবো। তিনি বলেন- আমরা ছাড়া ঐখানে তো কেউ যেতে পারবে না। আমি বললাম যে, আপনি সহযোগীতা করলে যেতে পারবো? তিনি বললেন- হ্যাঁ, সহযোগীতা করলে যেতে পারবেন। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)