নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
, ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “হযরত যিয়াদ ইবনে আবূ মারইয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমি জেনেছি- যদি কোনো মহিলার আহাল উনার ইন্তিকালের পর সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ যান, আর উনার আহলিয়া দ্বিতীয় বিয়ে না করেন, তাহলে আল্লাহ পাক তিনি সেই আহলিয়াকেও আহালের সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ স্থান দান করবেন। এই অবস্থা পুরুষের জন্যও। যদি তাই হয়, তাহলে আসুন আমরা অঙ্গীকার করি, আপনি আমার পরে আর শাদী মুবারক করবেন না, আর আমিও আপনার পরে আর শাদী মুবারক করবো না। হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আপনি কি (দয়া করে) আমার কথা শুনবেন? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, অবশ্যই আমি আপনার কথা শুনবো। হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, আমি যখন সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো, তখন আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ হবেন। তারপর হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দো‘আ মুবারক করেন, ‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আমার পরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে আমার চেয়েও ভালো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যাওজুম মুর্কারাম হাদিয়া করুন!’ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যখন হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন আমি মনে মনে বলতাম, হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে উত্তম আর কে হবেন? (এর কিছুদিন পরেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ!) (ইবনে সা’দ ৮/৭০)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি খুব খুশী মনে নূরে মুুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক থেকে সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ আসেন। তারপর বলতে থাকেন, আজ আমি নূরে মুুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনেছি, যা আমাকে খুবই খুশি করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, কোনো বিপদগ্রস্থ মুসলমান যদি তিনি উনার বিপদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হয়ে বলেন, আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে এই বিপদে সাহায্য করুন এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করুন। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার দো‘আ ক্ববূল করেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আমিও ঐ দো‘আ মুবারক করলাম যে,
اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلُفْنِي خَيْرًا مِنْهُ
“আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে এই বিপদে সাহায্য করুন এবং আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবর্তে উনার থেকে উত্তম উত্তরাধিকারী হাদিয়া করুন!” সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু আমি আবার আমার মনে মনে বললাম যে, হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবর্তে উনার থেকে উত্তম আর কে হতে পারেন? আমার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক আসেন, তখন আমি বুঝলাম মহান আল্লাহ পাক তিনি উত্তম বিনিময়ের ব্যবস্থা করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল ৪/১২৭)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে আরজী মুবারক করেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এখন কি করবো? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্যে করে ইরশাদ মুবারক করেন,
قولي اللهم اغفر لنا وله وأعقبني منه عقبى حسنة فأعقبني الله عز و جل منه رسول الله صلى الله عليه وسلم
অর্থ: “আপনি বলুন, আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি ঈমানদার উনাদেরকে ইহসান করুন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার উপরও ইহসান করুন। আর আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবর্তে উনার থেকে উত্তম উত্তরাধিকারী দান করুন! সুবহানাল্লাহ! তারপর যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবর্তে আমাকে স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেন। ” সুবাহনাল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার বিষয়ে সান্তনা মুবারক দেয়ার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন, আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি উনার দু:খ-কষ্টকে মিটিয়ে দিন, উনার বালা-মুছীবত দূর করে দিন এবং উনাকে এই কঠিন মুছীবতের পরিবর্তে তার চেয়ে উত্তম বিষয় মুবারক হাদিয়া মুবারক করুন। (রাবী) তিনি বলেন, তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার দু:খ-কষ্ট মিটিয়ে দিলেন, উনার বলা-মুছীবত দূর করে দিলেন এবং এর পরিবর্তে সর্বোত্তম বিষয় মুবারক হাদিয়া মুবারক করলেন। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৮৯)
এক বর্ণনা মতে, “সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার ইদ্দত মুবারক পূর্ণ হলে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক দেন, তিনি সম্মতি প্রকাশ করেননি। সুবহানাল্লাহ! তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি প্রস্তাব দেন, তখনও তিনি সম্মতি প্রকাশ করেননি। ” সুবহানাল্লাহ!
একাধিক বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছেন। এক বর্ণনা মতে, স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ মুবারক উনার প্রস্তাব মুবারক নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! আরেক বর্ণনা মতে, স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ মুবারক উনার প্রস্তাব মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! আরেক বর্ণননা মতে, স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ মুবারক উনার প্রস্তাব মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
তারপর ৪র্থ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেন। অতঃপর আমাকে স্থানান্তর করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করান। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম। সুবাহনাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আ’যীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর ৯ মাস। সুবহানাল্লাহ! তিনি ৬ বছর ৪ মাস ১৮ দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ মুবারক উনাদের স্পর্শ মুবারক লাভ করে, উনাদের ধূলি-বালি মুবারক পেয়ে সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আরো পবিত্রতা হাছিল করলেন, ইয্যত-সম্মান, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাছিল করলেন (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যারা জীবিত আছে, তাদের দায়িত্ব হলো- মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করা। কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পিবত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধী থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি সুগন্ধীময় এবং যাঁরা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (২)
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পিবত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধী থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি সুগন্ধীময় এবং যাঁরা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (২)
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আমাকে তোমরা জানো? চিনো? আমি হলাম ‘সুলত্বনুন নাছীর’ মনে রেখো। পৃথিবীর কোনো ক্ষমতা নেই আমার সাথে পারবে না
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক এবং উনার বিশেষ হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পবিত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধী থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি সুগন্ধীময় এবং যাঁরা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (১)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আবূ সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বড় মাক্বাম মুবারক প্রকাশ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ঊলা বা প্রথমা, কুবরা বা মূল, বড়, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনারও মূল
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার নিয়ত করার কারণে মৃত্যুদ- থেকে মুক্তিলাভ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ স্বয়ং খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঈদের দিন। আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আজ শ্রেষ্ঠ দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন। আজ কায়িনাতের সবশ্রেষ্ঠ দিন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)