নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
, ২৬ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার পূর্বাভাস মুবারক:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আসার পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি হযরত সুহাইল ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত ভাই হযরত সাকরান ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নিকট ছিলেন। তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি একবার সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক-এ দেখেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেটে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করে উনার সম্মানিত ঘাড় মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পা মুবারক) কোমলভাবে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক উনার সম্মানিত আহাল উনার নিকট ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আপনি যদি সত্যিই এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দেখে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমি সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করবো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দেখার পর আরো একখানা বরকতময় স্বপ্ন মুবারক দেখেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুান হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অন্য রাতে আরো একখানা সম্মানিত বরকতময় স্বপ্ন মুবারক দেখেন যে, তিনি কাত হয়ে শুয়ে আছেন, এমন সময় আকাশের চাঁদখানা ছুটে এসে উনার উপর পড়লেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি উনার এই সম্মানিত বরকতময় স্বপ্ন মুবারকখানা উনার সম্মানিত আহাল উনাকে জানালেন। উনার সম্মানিত আহাল বললেন, যদি সত্যিই আপনি এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দেখে থাকেন, তাহলে আমি খুব তাড়াতাড়ী সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করবো এবং আমার পর আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ হবেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত সাকরান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সে দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, ইবনে সা’দ)
আল্লামা দিয়ার বাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ ৯৬৬ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘তারীখুল খমীস শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণনা করেন, “তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুান হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অন্য রাতে আরো একখানা সম্মানিত বরকতময় স্বপ্ন মুবারক দেখেন যে, তিনি হেলান দিয়ে বসে আছেন, এমন সময় আকাশের চাঁদখানা ছুটে এসে উনার উপর পড়লেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি উনার এই সম্মানিত বরকতময় স্বপ্ন মুবারকখানা উনার সম্মানিত আহাল উনাকে অবহিত করলেন। উনার সম্মানিত আহাল তিনি বললেন, যদি সত্যিই আপনি এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দেখে থাকেন, তাহলে আমি অতিশীঘ্রই সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করবো এবং আমার পর আপনি অপর একজন অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ হবেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত সাকরান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এই দিন থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কিছু দিন পর সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১০ম বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক এবং উনার সম্মানিত সম্মতি মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন হযরত ‘উছমান ইবনে মায‘ঊন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার যাওজাতুম মুকাররমাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করবেন না? অর্থাৎ আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করুন! তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, কাকে? তিনি বললেন, আপনার সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী- আপনি যদি চান অকুমারী গ্রহণ করতে পারেন অথবা যদি চান কুমারীও গ্রহণ করতে পারেন। (এখন আপনি যাকে পছন্দ মুবারক করেন।) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, অকুমারী কে? তিনি বললেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি আপনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন এবং আপনাকে পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত ইতা‘য়াত অর্থাৎ অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করে থাকেন, আপনার আনীত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর চলে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
فَاذْهَبِي فَاذْكُرِيهَا عَليَّ
আপনি যান আমার পক্ষ থেকে উনার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৫/৪১৩, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ৩০/২৪)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে বললেন,
فَاذْهَبِي فَاذْكُرِيهَا عَلِيَّ
‘আপনি যান আমার পক্ষ থেকে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম) উনার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা মুবারক করুন।’ সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম মুবারক উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক নিয়ে যান। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “(সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন,) আমি বের হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুান হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট গেলাম। আমি উনাকে বললাম, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম! যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে কতোই না সম্মানিত খইর (ভালাই, কল্যাণ) এবং বরকত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, সেটা কী? তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন আমি যেন উনার পক্ষ থেকে আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক পেশ করি। সুবহানাল্লাহ! তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি এটাই চাই। আপনি আমার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার নিকট যান এবং উনার নিকট এ বিষয়ে আলোচনা মুবারক করুন! আমি বললাম, তিনি তো অনেক বয়স্ক লোক। তারপর আমি উনার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার নিকট গেলাম এবং উনাকে বললাম, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে পঠিয়েছেন উনার পক্ষ থেকে (আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহাস সালাম) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করার জন্য। সুবহানাল্লাহ! তখন তিনি বললেন, অত্যন্ত সম্মানিত কুফু মুবারক। আপনার যিনি বান্ধবী তিনি কী বলেন? সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বললেন, তিনি এটা পছন্দ মুবারক করেছেন। তিনি বললেন, উনাকে আমার নিকট ডেকে আনুন। আমি উনাকে ডেকে আনলাম। তিনি উনাকে বললেন, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম! তিনি এটা উপস্থাপন করেছেন যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক পেশ করেছেন আর তিনি অত্যন্ত সম্মানিত কুফু মুবারক। আপনি কি এটা পছন্দ করেন যে, আমি আপনাকে উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ দেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ।” সুবহানাল্লাহ! (আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৫/৪১৩, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ৩০/২৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ পড়ান উনার মহাসম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত যাম‘আহ্ ইবনে ক্বইস আলাইহিস সালাম তিনি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত খুতবাহ মুবারকও তিনি নিজেই পাঠ করেন। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান উনার সম্মানিত মোহরানা মুবারক ছিলো ৫০০ দিরহাম। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১০ম বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাব্ত শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের ৯ দিন পর অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালত মুবারক প্রকাশের ১০ম বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৬শে রমাদ্বান শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতু ইছনাইনিল আযীম শরীফ) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪৯ বছর ৬ মাস ১৪ দিন আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ৪ বছর ২৫ দিন এককভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেননি।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)