নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চিকিৎসা পদ্ধতি- ঝাড়-ফুঁক ও তাবীয (৬)
, ২৯ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
ঝাড়-ফুঁক করা জায়িয ও খাছ সুন্নত মুবারক। একইভাবে তাবীয ব্যবহার করাও সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই তার পারিশ্রমিক গ্রহণ করাও জায়িয ও সুন্নত মুবারক। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদল ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম একবার সফরে বের হলেন। এক পর্যায়ে উনারা আরবের গোত্রগুলোর মধ্যে এক বিশেষ গোত্রের নিকটবর্তী হলেন। তাদের নিকট মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু সে গোত্র মেহমানদারীর ব্যাপারে সম্মত হলো না। ঘটনাক্রমে সে গোত্রের সরদারকে সাপে দংশন করলো। লোকজন তাকে সুস্থ করার জন্য সব রকম চেষ্টা করলো। কিন্তু কোন ফল হলো না। তখন তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি বললো, তোমরা ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের কাছে যেতে পারো যারা তোমাদের নিকট এসেছিলেন। হয়তো উনাদের কারো কাছে কোন ঔষধ থাকতে পারে। তখন তারা সেই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাছে এসে বললো, হে দলের লোকেরা! আমাদের সরদারকে সাপে দংশন করেছে। আমরা সব রকম চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি। আপনাদের কারো নিকট কোন তদবীর বা ব্যবস্থা আছে কি? একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হ্যাঁ; মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, আমি ঝাড়-ফুঁক করি। তবে আমরা তোমাদের নিকট মেহমান হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা রাজি হওনি। কাজেই আমি ততক্ষণ পর্যন্ত ঝাড়-ফুঁক করবো না, যতক্ষণ না তোমরা আমাদেরকে পারিশ্রমিক নির্ধারণ না করবে।
তখন তারা তাদের এক পাল ছাগল দিতে রাজী হলো। তারপর সেই হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সেখানে গেলেন। পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পড়ে ফুঁক দিতে লাগলেন। এক পর্যায়ে সে ব্যক্তি এমনভাবে সুস্থতা লাভ করলো, যেন বন্ধন থেকে মুক্তি পেল। এমনভাবে সে চলাফেরা করতে লাগলো, যেন তার কোন রোগই হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
তখন তারা যে মজুরী চুক্তি করেছিল, তা আদায় করলো। তারপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের একজন বললেন, এগুলো বন্টন করে দিন। যিনি ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন, তিনি বললেন, আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে যাবো এবং ঘটনা বিস্তারিত বলবো। তিনি যে আদেশ মুবারক দিবেন সে অনুযায়ী আমল করবো বা ভাগ করবো।
তারপর উনারা এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ঘটনাটি জানালেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি কি করে জানলেন যে, পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা যায়? আপনারা ঠিক করেছেন। আপনারা এগুলো বন্টন করে নিন। আর আমার জন্য এক ভাগ রাখুন। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত বিবি শা’ওয়ানাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১৯)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইলিম চর্চায় কতবেশি মনোযোগ!
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিশু সন্তান জন্ম গ্রহণের ৭ম দিনে সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেনমোহর নিয়ে কিছু কথা.... (১)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (১)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইতিহাস কথা বলে: নারী নির্যাতনের সাথে বিধর্মীদের সম্পৃক্ততার অনুসন্ধানে
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাত-পা, চেহারা খোলার মাধ্যমে অবশ্যই সৌন্দর্য প্রকাশ পায়
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইতিহাস কথা বলে- ‘বোরকা’ বাঙালি মুসলমানদের আদি সংস্কৃতি
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আপনি চান, আপনার সন্তান সুশ্রী এবং সুন্দর হয়ে জন্মগ্রহণ করুক?
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)