নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনা, উনার গোলামী মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা সমস্ত সৃষ্টির উপর ফরয (২)
, ১৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
وَيْحَكِ يَا حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَفْنَيْتِ شَبَابَكِ فِىْ عِبَادَةِ الشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالَتْ يَا نَبِىَّ اللهِ دَعْ مَا مَضٰى فَالْاٰنَ قَدْ دَخَلْتُ فِىْ دِيْنِكَ وَقُلْتُ بِـمَقَالَتِكَ وَشَهِدْتُّ بِشَهَادَتِكَ غَيْرَ اَنِّىْ اَرٰى خَاتِمَكَ مَنْقُوْشًا بِلَا حَفْرٍ وَلَا كِتَابَةٍ فَمَا الَّذِىْ عَلٰى خَاتِمِكَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَآ اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْهَا السَّلَامُ مَنْ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ فِىْ اٰخِرِ الزَّمَانِ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَلِمَ صَارَ اِسْمُهٗ عَلٰى خَاتِمِكَ دُوْنَ اِسْمِكَ فَقَالَ لِاَنَّهٗ اَكْرَمُ عَلَى اللهِ مِنِّىْ وَلَنْ يَّنْفَعَكِ الْاِيْمَانُ وَلَنْ يَّقْبَلَ اللهُ مِنْكِ صَرْفًا وَّلَا عَدْلًا حَتّٰى تُؤْمِنِىْ بِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاٰمَنَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَمَنْ مَّعَهَا بِنَبِيِّنَا سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَبْلِ اَنْ يُّوْلَدَ بِدَهْرٍ طَوِيْلٍ
অর্থ: “হে হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম! আপনার জন্য আফসোস! আপনি আপনার যৌবনকালটা (জীবনের মূল সময়টা) মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী না করে সূর্যের উপাসনা করে কাটিয়েছেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম! যেটা অতীত হয়ে গেছে, সেটার জন্য আমি লজ্জিত এবং তাওবা-ইস্তিগফার করছি। এখন তো আমি আপনার সম্মানিত দ্বীন গ্রহণ করেছি, আপনার নছীহত মুবারক অনুযায়ী কথা বলছি এবং আপনার সাক্ষ্য অনুযায়ী সাক্ষ্য দিয়েছি অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান এনেছি। তবে আমি আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর নক্বশাকৃত একটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি যা খোদাই করাও নয়, লিখিতও নয়। আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে যেই নকশা মুবারক, এটা মূলত কী? হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, (এটা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ-)لَآ اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার সম্মানিত নক্বশা মুবারক। হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কে?’ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘তিনি আখিরী যামানায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিবেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘তাহলে আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে আপনার সম্মানিত নাম মুবারক না হয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক হলেন কেন?’ তখন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘কারণ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমার চেয়ে অনেক সম্মানিত। আর ঈমান আপনাকে কস্মিনকালেও ফায়দা দিবে না এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলসহ যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী রয়েছেন, সমস্ত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী এবং তাওবা-ইস্তিগফার কোনো কিছুই কস্মিনকালেও ক্ববূল করবেন না; যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আপনি সম্মানিত ঈমান না আনবেন।’ অতঃপর হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার সাথে যাঁরা ছিলেন সকলেই আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক) প্রকাশের অনেক পূর্বেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনেন।” সুবহানাল্লাহ! (দারজুদ দুরার ফী তাফসীরিল আয়ি ওয়াস সুওয়ার ৩/১৩৪০-১৩৪১)
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনা, উনার গোলামী মুবারক করা, উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক এবং ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা সমস্ত সৃষ্টি উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ! যাঁরা এটা করতে পারবেন, উনাদের জন্য রয়েছেন ইহকাল ও পরকালে সর্বোচ্চ নিসবত-কুরবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর যারা এটা করবে না এবং বেয়াদবী করবে, তাদের জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালে অত্যন্ত ভয়াবহ কঠিন পরিণতি। না‘ঊযুবিল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুর রগ্বাইব শরীফ
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
এক নযরে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)