নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১৯)
, ০১ লা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
বিবাহের পূর্বে মেয়ে ও ছেলের যে সকল গুণ তালাশ করা সুন্নত
বিবাহের জন্য মেয়ে বা ছেলের যে সব গুণ ও স্বভাব-চরিত্র তালাশ-অন্বেষণ করা সুন্নত তা প্রধানত সাতটি-
১. দ্বীনদারী
২. উত্তম চরিত্র
৩. ছূরত বা সৌন্দর্য
৪. অল্প মোহরানা
৫. বংশ
৬. কুমারীত্ব
৭. বিবাহের অযোগ্য হওয়া থেকে মুক্ত।
১. দ্বীনদারী: মেয়ে অথবা ছেলে দ্বীনদার, সৎস্বভাববিশিষ্ট হওয়া। এটা প্রধান গুণ এবং অত্যাবশ্যকীয়। যদি কেউ স্বভাব-চরিত্র এবং দ্বীনদারীর দিক দিয়ে দুর্বল হয় তাহলে সে তার আহলিয়া ও আহালের মুখকে ছোট করে থাকে। যার কারণে আহাল ও আহলিয়া উভয়ে পেরেশানীতে পড়ে যায়। তাদের দাম্পত্য জীবন হয় দুর্বিষহ। কেননা আহাল কিংবা আহলিয়া যদি কোন অসন্তুষ্টিমূলক বা অবাঞ্ছিত পথ অবলম্বন করে তবুও তারা বিপদ থেকে মুক্তি পায় না। আর যদি তারা কঠিন না হয়ে সহজ পথে চলে তাহলে দ্বীনদারী ও সম্মানের হানি ঘটে। উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক তা কোন ক্রমে অক্ষুন্ন থাকে না। এরূপ অবস্থায় আহাল কিংবা আহলিয়া যদি খুবসুরত ও সম্পদশালী হয় তাহলে বিপদ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। কেননা আহলিয়া তার আহালকে তখন তালাক দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর আহালও বিনা কারণে আহলিয়াকে তালাক দেয়ার রাস্তা খোঁজে। এ পরিস্থিতিতে আহাল বা আহলিয়া ভীষণ দুর্বিপাকে পড়ে যায়। একদিকে একজন অপরজনের বিচ্ছেদ যাতনায় অস্থির হয়ে পরে, অন্যদিকে ঐ আহলিয়া বা আহালের সাথে বসবাস করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাদের অবস্থা ঠিক ঐ ব্যক্তির মত, যে একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে হাজির হলেন। বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার আহলিয়া বা স্ত্রী কোন স্পর্শকারীর হাতকে ফিরিয়ে দেয় না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি উনাকে তালাক দিতে পারেন। সে ব্যক্তি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি উনাকে অত্যধিক মুহব্বত করি। তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তাহলে উনাকে রেখে দিন। (আবু দাঊদ শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত আছে, যারা রূপ-সৌন্দর্য এবং অর্থ-সম্পদ দেখে বিবাহ করে তারা রূপ-সৌন্দর্য ও অর্থ-সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়। আর যারা দ্বীনদার-আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হওয়ার জন্য বিবাহ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে রূপ-সৌন্দর্য ও অর্থ-সম্পদের মধ্যে বরকত দান করেন। সুবহানাল্লাহ্! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা শুধু রূপ-সৌন্দর্য দেখে বিবাহ করো না, কেননা হয়তো সেই রূপ-সৌন্দর্যই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। আর শুধু অর্থ-সম্পদ দেখেও বিবাহ করবে না। কেননা, হয়তো এই ধন-সম্পদের কারণে ফিতনা-ফাসাদে পড়ে যাবে। (ইহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন-১/৪১০)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)