নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১)
, ১১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বিবাহ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। আহাল-আহলিয়া (স্বামী-স্ত্রী) হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এক বিশেষ নিদর্শন-নিয়ামত। দ্বীনদার আহাল ও দ্বীনদার আহলিয়া দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ।
যারা দ্বীনদার আহাল (স্বামী) দ্বীনদার আহলিয়া (স্ত্রী) পান তারা দুনিয়াবী শ্রেষ্ঠতম সম্পদ পান। দ্বীনদার আহাল, দ্বীনদার আহলিয়া মানষিক-শারীরিক সবদিক দিয়ে প্রশান্তির কারণ।
নিকাহ বা বিবাহ পরহেযগার- মুত্তাক্বী হওয়ার পথকে সুগম করে। নেক কাজের রাস্তা খুলে দেয়, যা সাধারণত ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকে। আর স্বাভাবিকভাবে তা কখনো বন্ধ হয় না।
নেককার-পরহেযগার আহাল ও আহলিয়ার ঘরে সাধারণত নেককার- আল্লাহওয়ালা সন্তান-সন্ততিই জন্মগ্রহণ করে। যারা স্বীয় পিতা-মাতার অনুগত হয়, পিতা-মাতা ইন্তিকাল করলে তারা পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে। ফলশ্রুতিতে পিতা-মাতার প্রশান্তির কারণ হয়। গুনাহখতা ক্ষমা হয়। তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
আর যে সকল পিতা-মাতা জান্নাতী হন নেককার সন্তানের দোয়া ও ছাওয়াব রেসানীর কারণে জান্নাতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরম নৈকট্য-কুরবত, তায়াল্লুক, নিছবত মুবারক লাভ হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمِنْ اٰيَاتِهٖ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُوْنَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ নিদর্শন হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের আহলিয়া (স্ত্রী)। যাতে তোমরা তাদের নিকট ইতমিনান লাভ করতে পারো। আর তোমাদের পারস্পরিক মুহব্বত ও দয়া-ইহসান পয়দা করে দিয়েছেন। চিন্তাশীল লোকদের জন্য ইহাতে অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে। ” (পবিত্র সূরা রূম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
পূর্ববর্তী মহাসম্মানিত সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক গ্রহণ করেছেন। সাধারণ লোকদের ক্ষেত্রে যাকে নিকাহ বা বিবাহ বলে। মহাসম্মানিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকে উহাকে “নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ” বলা হয়।
-আল্লাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কারো মতো নন; উনারা বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার অধিকারিণী
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)