সম্পাদকীয়-১
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অবমাননা এবং মুসলিমবিদ্বেষ তথা মুসলমানদের উগ্রবাদী, দেশবিরোধী এবং সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রদর্শন করা নতুন কোনো বিষয় নয়। ভারতের বর্তমান সরকার এবং ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি টিকেই আছে মুসলিমবিদ্বেষের প্রচার-প্রসার করে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মুসলমানদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক এবং আক্রমণাত্মক চলচ্চিত্র ভারতে অহরহ তৈরী হচ্ছে। ভারতের মুসলিম শাসক, যাদের মাধ্যমে আধুনিক ভারতের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে তাদের নিয়েও ইতিহাস বিকৃত করে বানানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী সিনেমা। ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানির মতো পুরোদমে মুসলমানদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে নেমেছে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি।
মুসলিমবিরোধী এসব সিনেমার পেছনে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে মুসলিম দেশগুলোতে এসবের প্রচার প্রসার করে মুসলিম মননে তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে বিরুপ ধারণা দিচ্ছে, দ্বীন ইসলামবিরোধী মতভেদ উস্কে দিচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। চলচ্চিত্রের অবাধ প্রবেশ এবং প্রসারের কারণে বাংলাদেশের কথিত চলচ্চিত্র মহলও এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে নারীবাদের নাম দিয়ে হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে কটূক্তি করে সিনেমা তৈরীর দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কুটকৌশলে মুসলমানদের মধ্যে দ্বীন ইসলামবৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতেও চলচ্চিত্র ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। যে কাতার ভারতীয় সিনেমা নিষিদ্ধ করেছে সেই কাতারকে বলা হয় ভারতীয় সিনেমার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। সৌদিতে পূর্বে সিনেমা হল না থাকলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পবিত্র ভূমিতেও সিনেমা হল তৈরী করে ভারতীয় নাটক সিনেমার অবাধ প্রবেশের সুযোগ তৈরী করে দেয়া হয়েছে। সিনেমা শুধু জায়েজই করা হয়নি আগামী বছর থেকে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে সিনেমা হল চালু করার জন্যে। প্রথমেই মার্কিন চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান এএমসি এন্টারটেইনমেন্ট হোল্ডিং’এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটিতে সিনেমা প্রদর্শনের জন্যে। অর্থাৎ বিধর্মীরা সুক্ষ কৌশলে মুসলমানদের বিরুদ্ধেই চলচ্চিত্র তৈরি করে সেটা মুসলিম দেশগুলোতেই প্রচার প্রসার করে তাদের ইসলামবিরোধী স্বার্থসিদ্ধি করছে।
অথচ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এবং সম্মানিত শরীয়ত অনুসারে গান-বাজনা, নাটক-সিনেমা সম্পূর্ণরূপেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং এগুলোকে জায়েজ মনে করা কাট্টা কুফরী এবং ঈমান হারানোর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্রের বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি। ছবি নির্মাণের বিষয়ে হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ছবি নির্মাতাদের কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং সে যা তৈরী করেছে তাদের জীবন দিতে বলা হবে। (বুখারী শরীফ) আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যারা মহিলাদের কণ্ঠের এবং তাদের নিমিত্তে রচিত গান-কবিতা শুনবে তারা জাহান্নামী। অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে চলচ্চিত্র, গান-বাজনার মতো এসব কর্মকান্ডকে শক্তভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যতদিন পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ চলচ্চিত্র, গান-বাজনা, অশ্লীলতা থেকে দূরে ছিলো ততদিন তারা সমুন্নত চরিত্রের অধিকারী এবং সমৃদ্ধশালী ছিলো। কিন্তু যখনই তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার থেকে দূরে সরে গিয়ে বিধর্মীদের এসব কৃষ্টি-কালচার গ্রহণ করে নিজেদের কলুষিত করেছে সেদিন থেকেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পতন শুরু হয়ে গেছে। মুসলমানরা মেতে আছে সিনেমা, নাটক-গান বাজনায়। আর মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা দখল করে নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদী ইসরাইল। মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমারা আগ্রাসন চালাচ্ছে। দেশে দেশে মুসলিম নারীদের হিজাব পড়তে বাধা দেয়া হচ্ছে। মুসলমানদের এক ঘরে করে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু মুসলমানরা এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারছে না। যা ভবিষ্যতে মুসলিম উম্মাহর জন্য ভয়াবহ পরিণাম বয়ে নিয়ে আসবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই মাহে রজবুল হারাম শরীফ আজ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আহলান সাহলান মহিমান্বিত ৬ই রজবুল হারাম শরীফ! আজ কুতুবুল মাশায়িখ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজায়ে খাজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অতীতের সব সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারও চালের দাম বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসছে না। কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না একমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র প্রজ্ঞাতেই চালের দাম সর্বোচ্চ সস্তা হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক এক টুকরো বাগান ও ছদকায়ে জারিয়ার খামার। সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের তৎপরতা দরকার। খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় এ নিয়ামত লাভ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল বরকতময় ৩রা রজবুল হারাম শরীফ! সাইয়্যিদাতুন নিসা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আর রবিআহ আলাইহাস সালাম এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনাদের মহিমান্বিত পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ যিকরুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, আস সিরাজুম মুনীর, সাইয়্যিদুল আরব, মালিকুল জান্নাহ, যাবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বরকতময় আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস এবং লাইলাতুর রগাইব শরীফ।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)