দ্বীন ইসলাম বিরোধী নারীবাদের কবলে নৈতিকতা ধ্বংস হচ্ছে
, ১৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৯ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
একজন গবেষক তার বইয়ে পশ্চিমা অমুসলিম বিশ্বে বিবাহ, সংসার ও পারিবারিক জীবন সংক্রান্ত ব্যাপারে এরকম চরম অধঃপতনে পৌঁছানোর পেছনে কতিপয় কারণ তুলে ধরেছেন:
জীবনে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে ধারণ করা কোন সমাজব্যবস্থায় তো নয়ই, এমনকি পশ্চিমা সমাজব্যবস্থায়ও হয়তো সত্যিকার বিশ্বস্ততা সহকারে, নারীদের অধিকারের বিষয়াবলী নিয়ে কেউ ভাবতে চাইলে, ব্যাপারটা আর এত জটিল সমস্যার পর্যায়ে যেতো না। এখানে সমস্যাটা মূলত ভ্যালু সিস্টেম নিয়ে। পুরুষের সাথে সকল পার্থক্য দূর করে ফেলার চেষ্টায় উগ্র নারীবাদী নারী, তার নারীত্বকে বিসর্জন দিয়ে, নিজেকে তথা গোটা প্রজাতিকে নিশ্চিহ্ন হবার সম্ভাবনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে এই যে, পৃথিবীতে এ ধরনের উগ্র নারীবাদীদের সংখ্যা, পৃথিবীর সমগ্র জনসংখ্যার তুলনায় উল্লেখযোগ্য কিছু নয়, আর মুসলিম দেশসমূহে সঙ্গত কারণেই অত্যন্ত নগণ্য। আর যেখানে এসবের প্রভাব সবচেয়ে প্রবল ছিল, সেখানেও অনেক নারীরা নারীত্ব, মাতৃত্ব ইত্যাদির কোমল, সুন্দর, স্নেহময় গুণাবলী হারিয়ে ‘সব খোয়ানোর’ হতাশা নিয়ে ঘরে ফেরার চিন্তা করছে। ৬০ এর দশক থেকে শুরু করে, যারা উগ্র নারীবাদের উদ্যোক্তা ছিলো, তাদের অনেকেই দেরীতে হলেও তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে- বুঝতে পেরেছে বান্ধবী নয় বরং মাতৃত্ব হচ্ছে নারী জীবনের চরম সার্থকতা। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এমনি এমনি “মায়ের পায়ের তলায় বেহেশতের” ঘোষণা দেন নি।
যাহোক, বর্ণ বৈষম্যের বেলায় যেমন সাদাকে কালো বা কালোকে সাদায় রূপান্তরিত করে সব ‘পার্থক্য’ দূর করার প্রয়োজন নেই বরং প্রয়োজন ছিল মূল্যায়নের মাপকাঠি শুদ্ধ করা। তেমনি, নারীর প্রতি (কতিপয়) পুরুষের অবিচারের প্রতিকার ও এটা নয় যে, নারী পুরুষের মত হয়ে যাবে বা প্রকারান্তরে পুরুষের মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ভূমিকা অস্বীকার করে, “কিসের বর কিসের ঘর যা খুশী তাই কর” বলবে। বরং সমাজে নারীকে যে চোখে দেখা হয়, মানব সভ্যতাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেও নারীর অবদানকে যে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি - সে ব্যাপারটা বদলানোর চেষ্টা করা যেত এবং নতুন {বা মুসলিমদের জন্য সনাতন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক প্রদত্ত ভ্যালু সিস্টেম প্রচলনের চেষ্টা করা যেত। (বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিবাহ ও নারীবাদ) (সংকলিত)
-আহমদ মুবাশশ্বিরা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)