সম্পাদকীয় (১)
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
, ০৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মাটিকে বলা হয় খাদ্য শস্যের ভান্ডার। এখানে শস্য জন্মায় এবং সেই খাদ্য আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের পুষ্টি ও শক্তি যোগায়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্যেও চরম অবক্ষয় হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য হলো মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাগুণের সর্বাধিক সমন্বয়। একসময় বাংলাদেশের মাটির উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখে এমন গুণগত মানের বৈশিষ্ট্যাবলি রক্ষায় কাজ করা হতো। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় গুণগত মানকে খুব কম বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা করা হয় না। একতরফা ফসল উৎপাদনে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং জৈব সার ব্যবহারে কৃষকের অনীহার কারণে প্রতিনিয়ত দেশের মাটির স্বাস্থ্য দুর্বল হচ্ছে। দেশে বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ ফসলি জমির জৈব পদার্থ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশের নিচে। এমনকি বহু জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে দেশের ফসল উৎপাদনে।
৬ দশক আগে ফসলি জমিতে হেক্টরপ্রতি ৮.৮ কেজি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হতো, বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বেড়ে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬৬০ কেজি রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য ফসলের উৎপাদন বাড়লেও ফসলি জমির দীর্ঘমেয়াদী উর্বরতা শক্তি বহুগুণে কমিয়ে দিয়েছে।
তাই কৃষিজমিতে জৈব সার ব্যবহার প্রয়োজনে আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশে উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু মিলে ৭৫ ভাগ কৃষিজমি হয়। তাতে প্রতি হেক্টরে ১০ টন সাদামাটা হিসেবে, ৬০-৬২ মিলিয়ন টন জৈবসারের চাহিদা রয়েছে। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব সারের উপকরণ কোথায় পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো- বাংলাদেশে জৈবসারের উপকরণের অভাব অতীতেও ছিলোনা এবং বর্তমানেও নেই। দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসের পশুপাখির মল (গরু, মুরগি, হাঁস), শহরাঞ্চলের জৈব বর্জ্য, গৃহস্থালির আবর্জনা, কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নিটিং শিল্পের বর্জ্য, চিনিকলের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা জৈব সারের কাঁচামালের পরিমাণ বছরে ১৩০-১৫০ মিলিয়ন টন। সে পরিমাণ কাঁচামাল যথাযথ প্রক্রিয়ায় কম্পোস্ট করলে তা থেকে ৪৫-৫৫ মিলিয়ন টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব।
সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, দেশের মাটির স্বাস্থ্য অটুট রাখতে প্রয়োজন রাসায়নিক সারের মতো জৈব সারের জন্য বিশেষ শিল্প গড়ে তোলা। তথ্যমতে, সরকার রাসায়নিক সার খাতে ৮০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করে। অথচ, জৈব পদার্থ তথা জৈব সার তৈরী, বিপনন এবং মাঠপর্যায়ে সরবরাহে যদি বছরে ৩০০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখে তাহলেই দেশের মাটির স্বাস্থ্য অটুট রাখা সম্ভব।
এতে মাটির স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন হবে, শহরের বর্জ্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় বর্জ্য কমে যাবে ও পরিবেশ দূষণ কমবে। উদ্যমী তরুণদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন হবে। অধিকন্তু জৈব সারের পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে জৈব কৃষির অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের সহযোগীতার অভাব সমালোচনার ঝড় তুলছে প্রবল বৃষ্টি, খড়া, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনে সত্ত্বর মনোযোগী হউন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রচারণা দেশের উন্নয়নের চিত্র নয়। বর্তমানে আয়বৈষম্য স্বাধীনতার চেতনার মূলে কুঠারাঘাত।
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিত্য নৈমত্তিক সড়ক দুর্ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক হত্যার অপরাধ ইসলামী অনুভূতির উজ্জীবনই সরকারকে হত্যার দায় থেকে রক্ষা করতে পারে
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)