দেশের অধিকাংশ গ্যাস সিলিন্ডারই যেন এক একটা মারাত্মক গ্যাস বোমা।
পর্যাপ্ত জনবল দিয়ে বিস্ফোরক অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে হবে। অর্থমন্ত্রনালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের গাফলতি গ্রহণযোগ্য নয়।
, ২৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
পরিবেশ দূষণ কমাতে যানবাহনে গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। ব্যবহার দ্রুত বাড়ে ২০০৫ সালের পর। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (আরপিজিসিএল) তথ্যমতে, গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ ৭ হাজার গাড়ি সিএনজিতে রূপান্তর হয়েছে। রান্নার কাজে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার শুরু হয় ২০০৫ সালে। পাইপলাইনের গ্যাসের ঘাটতির কারণে ২০১৫ সালের পর এটি দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দেশে এখন প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে। বাসাবাড়ি ছাড়াও পরিবহনে ও ক্ষুদ্র শিল্পের জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে অনেকেই। এ দুই খাতের বাইরে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ৩০ হাজারের মতো।
সম্প্রতি পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে বেরিয়ে যাওয়া গ্যাস জমে বাড়ির বেজমেন্ট ও আবদ্ধ স্থানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ রকম ঘটনা আরও বাড়বে। কারণ, আবাসিক গ্যাস-পাইপলাইনে ছিদ্রের অভাব নেই। একইভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণও থেমে নেই। পরিবহন ও রান্নার কাজে সিলিন্ডারের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। রান্নার কাজ ও পরিবহনে এ দুর্ঘটনা এতটাই বেড়েছে যে অনেকে সিলিন্ডারকে গ্যাসবোমা হিসেবে বলে থাকেন। মানহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি না বাড়ালে সিলিন্ডার গ্যাসেও প্রাণহানি মারাত্মকভাবে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়িয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার, অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ ব্যবহারের ফলে বিপদ বাড়ছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ব্যবসায়ী কোনো অনুমোদন ছাড়া নিজেরাই সিলিন্ডার ভরে গ্যাস বিক্রি করছে। এটাকে বলা হচ্ছে ক্রস ফিলিং। এটি অনিরাপদ। কারণ, এলপিজি কোম্পানিগুলোতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হয়। সিলিন্ডার পরীক্ষা করে বাল্ব ও সেফটি ক্যাপ বসানো হয়। আর ক্রস ফিলিংয়ে হাতের সাহায্যে বাল্ব বসানো হয়। তাই সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ঈদগাহ কলেজ রোডে বিভিন্ন বড় কোম্পানির সিলিন্ডার থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দোকানের কর্মীরা দগ্ধ হয়।
ব্যবহারে অসতর্কতার কারণে সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। পরিবহনের সময় সিলিন্ডার কাত করে রাখলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। ট্রাকে তোলার সময় অনেক সময় শ্রমিকরা সিলিন্ডার ছুড়ে দেয়। এতে সিলিন্ডারের নিরাপত্তা বেষ্টনী দুর্বল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
এলপিজি সিলিন্ডারের দুর্ঘটনার বড় কারণ মানহীন রেগুলেটর ও পাইপের ব্যবহার। সিলিন্ডারের বাল্ব কোম্পানিগুলো সরবরাহ করে। রেগুলেটর ও পাইপ গ্রাহক নিজে ক্রয় করে। এসব পণ্যের মান সম্পর্কিত কোনো নীতিমালা নেই। রেগুলেটরের ত্রুটির কারণে গ্যাস লিকেজ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে এলপিজি সিলিন্ডারজনিত ১০ ঘটনার মধ্যে ৭টিই ছিল রেগুলেটর-সংক্রান্ত।
যানবাহনে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার দায়ী। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাপক চাহিদার কারণে অননুমোদিত সিএনজি কনভার্সন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে অদক্ষ কারিগর দিয়ে সিএনজিচালিত গাড়ির রূপান্তর কার্যক্রম চলে, যা গাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। নিম্নমানের কম পুরুত্বের সিলিন্ডার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। নিয়মিত পরীক্ষা না করার কারণেও সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে সিলিন্ডারের ভেতরে অনেক ক্ষয় হয়ে থাকে। এই ক্ষয় থেকেও ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এ জন্য নিয়মিত সিলিন্ডারের পরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু তা করা হয় না। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন দেশে দেড় থেকে দুই লাখ মানহীন সিলিন্ডারযুক্ত গাড়ি চলছে রাস্তায়। গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লার রিভারভিউ সিএনজি স্টেশনে একটি বাসের দুর্ঘটনার তদন্তে জানা যায়. সিলিন্ডারের মাঝের অংশের পুরুত্ব কম থাকায় গ্যাস ভরার সময় চাপ সহ্য করতে না পেরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়।
পাশাপাশি, মেলাগুলোতে গ্যাস বেলুন বিক্রেতারা যে সিলিন্ডার ব্যবহার করে, তা খুবই বিপজ্জনক। মানহীন সিলিন্ডারে হাইড্রোজেন ভরতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) তথ্যমতে, দেশে সিএনজি সিলিন্ডার পরীক্ষার জন্য আটটি ল্যাব আছে। দুটি আরপিজিসিএলের আর ছয়টি বেসরকারি কোম্পানির। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নাভানা, সাউদার্ন, ইন্ট্রাকো ইত্যাদি।
বিস্ফোরক অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাদের সীমিত লোকবল দিয়ে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে সিলিন্ডার নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে তাদের ১০৮ জন জনবল।
বিস্ফোরক অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানো হবে। বিদেশি পরামর্শক দিয়ে জরিপ করিয়ে জনবৃদ্ধি এবং আধুনিক অফিস নির্মাণের প্রস্তাব অনেক আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রাশসন মন্ত্রণালয়ে আছে।
এছাড়া সংযোজনের ৫ বছর পূর্ণ হওয়া গাড়িগুলোকে রি-টেস্ট সার্টিফিকেট ছাড়া বিআরটিএ ছাড়পত্র দেবে না- এমন একটি আইনও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আইন প্রণয়ন করতেই যদি সরকার ১৮ মাসে বছর পার করে, তবে আইন বাস্তবায়নে সরকারের কত সময় লাগাবে। মূলত, সরকার এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। অথচ বিষয়টি ভীষণ ভয়াবহ।
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, প্রত্যেকেই রক্ষক। তাকে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন সরকারকে মনে রাখতে হবে, সেই জনগণের জান-মালের অভিভাবক। কাজেই সিলিন্ডারের অব্যবস্থাপনায় ক্ষয় ক্ষতির দায়ভার তাকেই নিতে হবে। পাশাপাশি বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারের নিরাপদ বিকল্পের ব্যবস্থাও ক্ষমতাসীন সরকারকেই করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)