দেশেই তৈরী হতে পারে মোটর, গাড়ি, উন্নত যুদ্ধজাহাজ, আধুনিক ট্রেন ইঞ্জিন। বাংলাদেশ হতে পারে মোটরশিল্পের অন্যতম রফতানিকারক দেশ।
প্রয়োজন শুধু সরকারের দুর্নীতিমুক্ত পদক্ষেপ ও সততাপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা।
, ১৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত রফতানিতে এগিয়ে গেলেও দেশের মোটরগাড়ি শিল্প এখনো আমদানিনির্ভরই রয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের সিংহভাগ গাড়িই রিকন্ডিশন। তবে এই আমদানিনির্ভরতা কাটাতে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি মোটরগাড়ি প্রস্তুতকরণ কোম্পানি। দেশে ওয়ালটন, প্রগতিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উপায়ে গাড়ি উৎপাদন করছে। ওয়ালটন বর্তমানে তাদের তৈরী মোটরসাইকেল ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলে বিদেশে রফতানিও করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি শিল্পমন্ত্রী বলেছে‘ বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদনে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে খুব শিগগির অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশে গাড়ি বানানো হলেও সেগুলোর পার্টস বিদেশ থেকে আনানো। ফলে এখানে নিজস্ব কিছু নেই। এখন সরকার পরিকল্পনা করছে নিজেরা কিছু পার্টস তৈরি করে, কিছু পার্টস ভেন্ডরদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি বানানোর। বিশ্বের নামকরা কোম্পানিগুলোও তাই করে। নিজস্ব ডিজাইন ও মানের পার্টস তৈরি করে নিয়ে গাড়ি বানানো হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতির সেই সক্ষমতা রয়েছে। ইতোমধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ চালু এবং অত্যাধুনিক সংযোজন কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোটরগাড়ি শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা পূর্বেও ছিলো এখনো আছে। কিন্তু এই সক্ষমতা কাজে লাগানোর মতো পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। যেখানে বাংলাদেশে যুদ্ধজাহাজ তৈরী করা হচ্ছে, পণ্যবাহী বড় জাহাজ তৈরী করা হচ্ছে- বাংলাদেশ মাত্র ৫টি বৃহৎ পণ্যবাহী জাহাজ রফতানি করে ৫ বছরে ১৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, দেশের সৈয়দপুরের রেলের ওয়ার্কশপে রেলের ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বগি পর্যন্ত তৈরী হতো। যদিও এখন তৈরী না হলেও সক্ষমতা রয়েছে। দেশে এখন পানি দিয়ে চলার মতো বাইক তৈরী করছে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা, ওয়াটার সি প্লেন তৈরী করা হচ্ছে। রাজধানীর সবচেয়ে অবহেলিত এলাকা কিন্তু ব্যাপক সম্ভাবনাময় সুপরিচিত জিঞ্জিরার অঘোষিত বিজ্ঞানীরা সুই থেকে হেলিকপ্টার পর্যন্ত তৈরী করার সক্ষমতা রাখছেন। একটু প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এই জিঞ্জিরা থেকে হাজার হাজার কারিগর বেরিয়ে আসতে পারে। যেখানে দেশে এতকিছু তৈরী হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে গাড়ি তথা মোটরশিল্প বিকশিত না হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা। মূলত নানা বাধা ও সরকারের অবহেলার কারণে দেশে মোটরশিল্প নিজের পায়ে দাড়াতে পারছেনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ভুল পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মোটরশিল্প/অটোমোবাইল খাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছেনা। সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল দেশের গাড়ি শিল্পের উন্নয়ন না করে ভারত থেকে নি¤œমানের গাড়ি আমদানি করছে। নি¤œমানের ট্রেন আমদানি করছে, শীতপ্রধান দেশের জন্য তৈরী অকার্যকর ডেমু ট্রেন আমদানি করছে। এতে করে বিপুল পরিমাণের মুনাফা তাদের পকেটস্থ হচ্ছে অন্যদিকে দেশীয় গাড়ি ও অটোমোবাইল শিল্পও অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানির কারণে শুধু যে দেশের গাড়ি শিল্প অকার্যকর থাকছে তা নয় এর পাশাপাশি দেশের পরিবেশের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিদেশে যেসব গাড়ি চলতে পারে না, পরিবেশের জন্য নিরাপদ না, তারা যেসব গাড়ি ধ্বংস করে, সেই গাড়িগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত পুরোনো গাড়ি দিয়ে দেশের পরিবেশ বিষাক্ত হচ্ছে। জাপানে যে গাড়ি চলতে পারবে না, সে গাড়ি আজকে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা স্বাধীনতার পর বিদেশিরা নিয়ে যাচ্ছে পুরোনো গাড়ি দিয়ে।
প্রসঙ্গত, একটি মহল অপপ্রচার করছে যে, ‘বাংলাদেশের শিল্প সক্ষমতা নেই। তাই বাংলাদেশে গাড়ি তৈরী সম্ভব নয়’। এই মহলটি মূলত আমদানিকারক মহল। এই মহল কখনোই চায় না দেশের মোটরশিল্প-অটোমোবাইল খাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। তাই তারা এমন অপপ্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ, শিল্প হোক আর কৃষি হোক কোনো সক্ষমতাই কোনো দেশের আপনা-আপনি থাকেনা। সেই সক্ষমতা তৈরী করে নিতে হয়। হংকং, তাইওয়ান, চীন, মালেশিয়াসহ যেসব দেশ বর্তমানে মোটরশিল্প-অটোমোবাইল খাতে উন্নতি করছে, রফতানিনির্ভর হয়েছে তারা সবাই নিজ উদ্যোগ, নিজ পরিকল্পনাই আত্মসক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি সুবিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে সরকার থেকে এ বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়ার পরও ইতোমধ্যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলে গাড়ি রফতানি করার মতো সক্ষমতা তৈরী হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার যদি পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তাহলে বাংলাদেশে শুধু মোটরগাড়িই নয় পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ, উন্নত ট্রেন, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ইত্যাদি সবই তৈরী করতে পারবে এবং রফতানিও করতে পারবে।
এজন্য সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে, দেশের মোটরশিল্প-অটোমোবাইল খাতে আলাদা নীতিমালা করে গাড়ি শিল্পের জন্য অর্থনৈতিক জোনে জায়গা প্রদান করা। পিএইচপি, ওয়ালটন, প্রগতিসহ যেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ি তৈরীর সক্ষমতা রয়েছে তাদের সর্বপ্রকার পৃষ্ঠপোষকতা করা, ঋণসুবিধা প্রদান করা এবং উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য সহযোগীতা করা।
বলাবাহুল্য, এসবকিছুর জন্যই প্রয়োজন দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা কর্মঠ জনশক্তি এবং প্রেরণা। এসকল কিছুই বাংলাদেশে রয়েছে। বাংদেশের সিংহভাগ মানুষই পরিশ্রমী ও সৃষ্টিশীল। তাই সরকারের সামান্য পৃষ্ঠপোষকতা ও সৎ পদক্ষেপই পারে গাড়ি রফতানির জগতে বাংলাদেশকে প্রবেশ করাতে। অন্যান্য পণ্যের মতো মোটরখাতের পণ্যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল লাগাতে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)