দুধ এবং গরু আমদানীর ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ সেক্টরে আমদানী নয় বরং রফতানী করা সম্ভব।
, ২৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় গরুর উপর নির্ভরশীলতায় বিগত কুরবানীতে বিপাকে পড়েছিল দেশ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় গরুর উপর অতি নির্ভরশীলতার কারণে দেশ প্রয়োজনীয় গোশত ও দুগ্ধ উৎপাদন সক্ষমতা থেকেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সরকারী তেমন কোনো উদ্যোগও নেই। সে জন্য আমদানির মাধ্যমে গরুর গোশত এবং গরুর দুধের চাহিদা মেটাতে হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুই কোটি ৮৬ লাখ গরু রয়েছে। এসব গরুর মধ্যে ব্যক্তিমালিকানায় আছে দুই কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার আর খামারপর্যায়ে আছে চার লাখ ১০ হাজার। তবে আমরা মনে করি, প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কার্যকর একটি উদ্যোগ নিলে অতি সহজেই এই সংখ্যাকে দ্বিগুণ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও গোশত ব্যবসায়ীদের হিসাবে দেশে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখের মতো গরু ও মহিষ জবাই হয়। এর মধ্যে ৮০ লাখই গরু। দুই ঈদে প্রায় ৬০-৭০ লাখ গরুর চাহিদা রয়েছে। যা দেশিয় যোগানের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানিকৃত গরু দিয়ে এ চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। অথচ দেশে পর্যাপ্ত গরুর খামার গড়ে তুলতে খামারীদের সরকারীভাবে যদি প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়, তাহলে গরু আমদানী করতে হবেনা বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গোশত রফতানীতে সক্ষম হবে দেশ। পাশাপাশি পরিবারভিত্তিক গাভী পালনে যদি উৎসাহিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক যোগান দেয় সরকার, তাহলে দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলি লিটার দুধ পান করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুধ পানের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিলিটার।
দেশে দুধ উৎপাদনে চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে দুগ্ধ উৎপাদনের তুলনায় বিপুল ঘাটতি মেটাতে গুঁড়াদুধ আমদানিতে প্রতি বছর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। অথচ সরকার এ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা দিলে একদিকে দুধের উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে আমদানি বন্ধ হলে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আর এই আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের কারণে দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলোর দাবি, দেশীয় শিল্পকে নীতি সহায়তা দিলে দেশের খামারি ও কোম্পানিগুলোই গুঁড়াদুধ ও তরল দুধের পুরো চাহিদা মেটাতে পারে। এজন্য দেশে ডেইরী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গাভী পালনে পুনঃঅর্থায়ন কার্যক্রমে ২০০ কোটি টাকার স্কিম চালু করেছে। কিন্তু আমরা মনে করি, দুইশ কোটি টাকা খুবই সামান্য। বরং এ খাতে দুই হাজারেরও চেয়ে বেশি বরাদ্দ করা উচিত। কারণ বর্তমানে শুধু গুড়া দুধ আমদানীতেই ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকা।
কারণ ডেইরি শিল্প শুধু দুগ্ধ উৎপাদনেই সীমিত নয়। এর সঙ্গে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসংস্থান ও শিল্প সম্ভাবনা জড়িত। যেমন দেশব্যাপী ডেইরি ফার্মের মাধ্যমে গাভী পালন হলে বেকার যুবক-যুবতীরা বিদেশগামী হবে না বা চাকরির পেছনে ছুটবে না। স্থানীয়ভাবে ছোট-বড় ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠলে গ্রামীণ উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। ডেইরি ফার্মের খাদ্য চাহিদাকে কেন্দ্র করে আরও ব্যবসা ও কর্মসংস্থান হবে। গাভী পালনের ফলে দেশে গরু উৎপাদন বাড়বে, এতে দেশে গোশতের চাহিদা পূরণ হবে। ভারতীয় গরু নির্ভরতা বন্ধ হবে। বিকশিত হবে আমাদের চামড়া শিল্প। তরল দুধের পাশাপাশি গুঁড়াদুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। আরও একটি বিরাট পরিবেশবান্ধব লাভ আছে। আর সেটি হলো ডেইরি ফার্ম বিকশিত হলে প্রচুর গোবর উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে।
মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সততা। এই সততা ও সদিচ্ছা আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম, চেতনা ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)