সম্পাদকীয় (১)
দায়মুক্তির আইন সব সময়ই দায় এড়ানোর জন্যই হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ‘দায়মুক্তির আইনে’ জনশোষণ চলতে পারে না
, ১৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে সরকার যা খুশি তাই করতে পারে। দরপত্র ছাড়াই যে কোনো চুক্তি করা যায়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতেও যাওয়া যাবে না। অপরাধ করলে বিচার করা যাবে না। এটি দায়মুক্তি আইন। এ আইন সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থি। কোনো সভ্য সমাজে এমন আইন চলতে পারে না। অথচ এই আইনের মেয়াদ বারে বারে বেড়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে।
দায়মুক্তি আইনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎকে ক্রমশ ব্যয়বহুল করে তোলা হয়েছে। এই খাতে স্বেচ্ছাচারিতা-অদক্ষতা-অযোগ্যতা-দুর্নীতি-জবাবদিহিহীনতার মধ্য দিয়ে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও লুণ্ঠনমূলক মুনাফা বাড়িয়ে ভোক্তার সর্বনাশ করা হচ্ছে। দেশের বাজারকে আমদানি নির্ভরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভোক্তার অধিকারকে রুদ্ধ করা হচ্ছে।
আমাদের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ইতিহাসে নানারকম দায়মুক্তির আইন রচনার ইতিহাস আছে। আবার সময়ে সময়ে আদালতে সেসব বাতিলেরও নজিরও আছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিতে সেই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ অরডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় সংসদ সেটি বাতিল করে এবং খুনিদের বিচারে আইনগত বাধা দূর হয়। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন ২০০৩’ পাস করা হয়েছিল। ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে পরিচালিত অভিযানকে দায়মুক্তি দিতে এ আইন পাস করা হয়। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আইন বাতিল করে দেয়। এর ফলে যৌথ বাহিনীর ওই অভিযানের সময় যারা হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
আলোচিত এই অধ্যাদেশ ও আইন থেকে এটা বোঝা যায়, দায়মুক্তি কোনো সাধারণ বা নিরীহ বিষয় নয়। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, বড় ধরনের কোনো অপরাধকে ধামাচাপা দিতে এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি না করার কৌশল হিসেবেই দায়মুক্তি অধ্যাদেশ ও আইন ব্যবহৃত হয়েছে।
আর এ কারণেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে যে ‘দায়মুক্তি’ আইন করা হয়েছে, সেটি নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট মোকাবিলার কথা বলে যে আইন করা হয়েছিল, তা এ খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে ভুল নীতি-কৌশল অবলম্বন করা, দেশের স্বার্থের চেয়ে বিদেশি কোম্পানির স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া এবং নানা রকম অর্থনৈতিক দুর্নীতির যে অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে, ‘দায়মুক্তি’ আইন সেগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে।
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা এখন জোরদার জনদাবী। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতের সব অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করাও কঠিন জনপ্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ যিকরুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, আস সিরাজুম মুনীর, সাইয়্যিদুল আরব, মালিকুল জান্নাহ, যাবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বরকতময় আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস এবং লাইলাতুর রগাইব শরীফ।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। +
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ছে আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা দগ্ধ রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় দগ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দশ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিস্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)