ফতওয়া
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৮)
, ০৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) ফতওয়া বিভাগ
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১১৪)
সুওয়াল: যায়েদ সুবংশীয় আলেম, কিন্তু দাড়ি ছেটে ছোট করে রাখে। (উনারূপ অবস্থায়) যায়েদের ইমামতী জায়েয হবে কিনা? আর দাড়ি কি পরিমাণ লম্বা রাখতে হবে?
জাওয়াব: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মুশরিকদের বিপরীত করো, দাড়ি লম্বা করো, মোঁছ ছোট করো। অন্যত্র বর্ণিত আছে- “মোঁছ ভালরূপে ছোট করো এবং দাড়ি লম্বা করো। (মুত্তাফিকুন আলাইহি)
উক্ত হাদীছ শরীফের দ্বারা দাড়ি লম্বা করা এবং মোঁছ ছোট করার কথা প্রমাণিত হয়েছে। আর যেহেতু দাড়ি মু-ন করা এবং একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে ছাটা হারাম, সেহেতু যায়েদ যদি হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, অর্থাৎ দাড়ি একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে ছাটে অথবা মু-ন করে, তবে সে ফাসিক আর ফাসিক ব্যক্তির ইমামতী মাকরূহ তাহরীমী। (আযীযুল ফতওয়া ১ম খ-, ২০১ পৃষ্ঠা)
১১৫-১১৬)
সুওয়াল- যে মুসলমান দাড়ি মু-ন করে অথবা দাড়ি ছেটে এক মুষ্ঠির কম রাখে, তার পিছনে নামায আদায় করা জায়েয হবে কিনা?
জাওয়াব: যে মুসলমান দাড়ি মু-ন করে অথবা একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটে বা ছাটে, সে ফাসিক, তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহ ....... অর্থাৎ মাকরূহ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩য় খ-, ২৪০ পৃষ্ঠা)
(১১৭-১১৮)
সুওয়াল- দাড়ি মুন্ডিত ব্যক্তি আযান ও ইক্বামত দিতে পারবে কি?
জাওয়াব: দাড়ি মুন্ডিত ব্যক্তি প্রকাশ্য ফাসিক (যার ফাসিকী সুস্পষ্ট)। “মালা বুদ্দা মিনহু” উনার ১৩০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, “দাড়ি একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটা হারাম। দ্বীনদার লোক উপস্থিত থাকতে ফাসিক ব্যক্তি আযান ও ইক্বামত দেওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে রহীমিয়াহ ৩য় খ-, ১৫ পৃষ্ঠা)
(১১৯-১২১)
سوال:- جوحافظ کہ دارھی منداتا ھے اس کے پیچھے تراویح پر ھنے کا کیا حکم ھے؟
الجواب:- دارمی مندانا حرام ھے اور دارمی مندانے و الا از روئے شرع فاسق ھے- لھذا ایسے کو تراویح پرھنا مکروہ تحریمی
অর্থ: সুওয়াল- যে হাফিয সাহেব দাড়ি মু-ন করে, তার পিছনে তারাবীহ নামায পড়ার হুকুম কি?
জাওয়াব: দাড়ি মু-ন করা হারাম এবং দাড়ি মু-নকারী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ফাসিক। তাই এরূপ ব্যক্তিকে তারাবীহ নামাযের জন্যে ইমাম বানানো জায়িয নেই। এরূপ ইমামের পিছনে তারাবীহ নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে শামী ১ম খ-, ৫২৩ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে রহীমিয়াহ ১ম খ-, ৩৫৩ পৃষ্ঠা, অনুরূপ ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩য় খ-, ২৬২ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে। )
(১২২)
سوال:- دارمی کطانے یا مندو انے و الے کے پیچھے نماز پرھنا کیسا ھے؟
الجواب:- دارمی قبضہ سے کم کرنا حرام مے بلکہ یہ دوسرے کبیرہ گناھون سے بھی بدتر ھے اسلئے کہ اسکے علانیہ ھونے کی و جہ سے اس مین دین اسلام کی کھلی توھین ھے- اور اللہ و رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم سے بغاوت کا اظھار ھے و اعلان ھے- اسی لئے حضرات فقھاء رحمھم اللہ تعالی نے فیصلہ تحریر فرما یا ھے کہ جو شخص رمضان مین علانیہ کھائے ییئے وہ واجب القتل ھے کیونکہ وہ کھلی طور پر شریعت کی مخالفت کررھا ھے حضور اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کا ارشادھے"کل امتی معافی الا المجاھرین" (یعنی) "میرے پوری امت لائق عفو ھے مگر علانیہ گناہ کرنے و الے معافی کے لائق نھین" دوسرا فرق یہ ھے کہ دوسرے گناہ کسی خاص و قت مین ھوے ھین مگر دارمی کطانے کا گناہ ھر و قت ساتھ لگا مرا ھے- سو رھا ھو تو بھی گناہ ساتھ ھے حتی کہ نماز و غیرہ عبادت مین مشغول مونے کی حالت مین بھی اس گناء مین دارمی کطانے یا مندانے و الے فاسق ھے اور فاسق کی امامت مکروہ تحریمی ھے- اس لئے ایسے شخص کو امام بنانا جائز نھین
অর্থ: সুওয়াল- দাড়ি কর্তন অথবা মু-নকারীর পিছনে নামায পড়া কিরূপ?
জাওয়াব: দাড়ি (কেটে) একমুষ্ঠির কম করা হারাম বরং অন্যান্য কবীরা গুণাহ হতেও জঘণ্যতম। কেননা দাড়ি কাটার গুণাহ প্রকাশ্যে হওয়ার কারণে উহার দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রকাশ্য ইহানত করা হয় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ ও ঘোষণা দেয়া হয়। এজন্যে হযরত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ফায়সালা মুবারক দিয়েছেন যে, “যে ব্যক্তি রমাদ্বান শরীফ মাসে প্রকাশ্যে পানাহার করবে, তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। কেননা সে প্রকাশ্যভাবে শরীয়ত উনার বিরোধিতা করছে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “আমার প্রত্যেক উম্মত মাফ পাবে কিন্তু প্রকাশ্যে গুণাহকারী মাফ পাবে না।
দ্বিতীয় পার্থক্য এই যে, অন্যান্য গুণাহ কোন নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে কিন্তু দাড়ি কাটার গুণাহ সর্বদাই জড়িত থাকে। শায়িত অবস্থায়ও গুণাহ সাথে থাকে। এমনকি নামায ইত্যাদি ইবাদতে মশগুল থাকা অবস্থায়ও দাড়ি কাটার গুণাহে লিপ্ত থাকে। হযরত লূত্ব আলাইহিস সালাম উনার সম্প্রদায়কে শাস্তি দেয়ার কারণসমূহের মধ্যে দাড়ি কাটাও অন্তর্ভুক্ত। (দুররে মানছূর)
মোটকথা হলো- দাড়ি কর্তন অথবা মু-নকারী ফাসিক্ব, আর ফাসিক্বের ইমামতী মাকরূহ তাহরীমী। তাই এরূপ ব্যক্তিকে ইমাম হিসাবে নিয়োগ করা জায়িয নেই। (আহসানুল ফতওয়া ৩য় খ-, ২৬০ পৃষ্ঠা) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার ফতওয়া বিভাগ থেকে সংকলিত। )
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৯)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৭)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৬)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৩)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৯)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৮)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৪)
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)