ফতওয়া
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৭)
, ০৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) ফতওয়া বিভাগ
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১০৮-১০৯)
سوال:- دارمی رکھنی کو نسی ستت ھے اس کے تارک پر کیا حکم شرعا جاری ھوگا وہ جو کھتے ھین کہ اگر ساری دارمی صاف کرے تو کچھ گناہ نھین یہ کیا بات ھے- سیاسۃ اس پر کیا حکم دیا جاویگا؟
الجواب:- دارمی رکھنا واجب اور قبضہ سے زائد کطانا حرام ھے- لقولہ علیہ السلام- خالفوا المشکین او فروا اللحی (متفق علیہ) و فی الدر المختار "یحرم علی الرجل قطع لحیتہ و فیہ وسنۃ فیھا القبضۃ- اور کونی سیاست خاص اس کے بارے مین منصوص نھین دیکھی- مگر مقتضی قواعد کا یہ مے کہ تعزیر دیا جائے
অর্থ: সুওয়াল- দাড়ি রাখা কোন ধরণের সুন্নত? দাড়ি মু-নকারীর উপর শরীয়ত উনার কি হুকুম বর্তাবে? যে ব্যক্তি বলে যে, সমস্ত দাড়ি কেটে ফেললেও কোন গুণাহ হবে না, উহা কিরূপ কথা। আইনগতভাবে তার উপর কি হুকুম দেয়া যাবে?
জাওয়াব: দাড়ি রাখা ওয়াজিব, একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটা হারাম। কেননা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা করো। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
আর “দুররুল মোখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, পুরুষের জন্যে তার দাড়ি কাটা হারাম। কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ রাখা সুন্নত (ওয়াজিব)। (আর মু-নকারীর ব্যাপারে) বিশেষ কোন প্রকার শাস্তির কথা উল্লেখ দেখি নাই। কিন্তু শরীয়ত উনার নিয়মানুসারে তাযীর দেয়া যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া ৪র্থ খ-, ২২৩ পৃষ্ঠা)
(১১০)
دارمی ایک مشت سے کم کرنا بالاتفاق حرام مے بلکہ شریعت کی علانیہ بغاوت ھونیکی وجہ سے دوسرے کبائر سے بھی شدید گناہ مے قال "فی شرح النویر: و اماالا خذ منھا وھی دون ذالک (القبضۃ) کما یفعلہ بعض المغاربۃ و مخنثۃ الرجال فلم بیحہ احد
অর্থ: একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম, বরং শরীয়ত উনার প্রকাশ্য বিরোধিতার কারণে অন্যান্য কবীরা গুনাহ হতেও শক্ত গুনাহ। “শরহুত তানউয়ীরে” উল্লেখ আছে যে, “একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা যেরূপ কিছু সংখ্যক পশ্চিমা ও নপুংসকরা করে থাকে, এটাকে কেউ জায়েয বলেননি। (আহসানুল ফতওয়া ৩য় খ-, ৫১৮ পৃষ্ঠা)
(১১১-১১২)
سوال:- سنت تبویہ خصوصا دارمی کا مذاق ارانا کیسا ھے؟
الجواب:- کسی ادنی سے ادنی سنت کو برا سجھنا یا اسکا مذاق ارانا در حقیقت اسلام اور حضور اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے ساتھ استھزاء ھے- جس کے کفر ھونے مین کچھ شبہ نھین- جب سنت سے استھزاء کفر ھے تو دارمی تو واجب ھے اور شعار اسلام- ایک مشت سے کم کرنا بالاجماع حرام ھے اسکا مذاق ارانا بطریق اولی کفر ھے-------- اسے دو بارہ مسلمان کر کے نکاح دو بارہ کیا جائے- اگر دو بارہ اسلام قبول نہ کرے تو حاکم پر فرض ھے کہ اس کے قتل کا حکم دے
অর্থ: সুওয়াল- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত, বিশেষ করে দাড়ি নিয়ে মজা করা বা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কিরূপ?
জাওয়াব: কোন আদনা হতে আদনা পবিত্র সুন্নত উনাকে খারাপ মনে করা বা উহা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা মূলতঃ পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করার নামান্তর, যেটা নিঃসন্দেহে কুফরী। যেখানে সুন্নত নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কুফরী, সেখানে দাড়ি রাখাতো ওয়াজিব এবং শিয়ারুল ইসলাম। আর একমুষ্ঠির কমে দাড়ি রাখা সকলের ঐক্যমতে হারাম। ইহা নিয়ে মজা করা বা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা আরো জঘণ্যতম কুফরী। ............ (এরূপ ব্যক্তিকে) তওবা করে পুনরায় মুসলমান হতে হবে এবং বিবাহ দোহরাতে হবে। সে যদি পুনরায় মুসলমান না হয়, তবে হাকিম সাহেবের উপর ফরয তার মৃত্যুদ- ঘোষণা করা (খিলাফত কায়িম থাকলে)। (আহসানুল ফতওয়া ১ম খ-, ৪২ পৃষ্ঠা)
(১১৩)
حدیث صحیح مین دارمی کے برھانے اور
অর্থ: ছহীহ হাদীছ শরীফে দাড়ি লম্বা করার এবং নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ এসেছে। যেমন- মুসলিম শরীফের হাদীছ শরীফে এসেছে- “দশটি জিনিস ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত, মোঁছ ছোট করা, দাড়ি লম্বা করা। উহার দ্বারা দাড়ি কাটা হারাম প্রমাণিত হলো। আর ফক্বীহগণ দাড়ি মু-ন করা এবং একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটাকে হারাম লিখেছেন। যেমন “দুররুল মোখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে, “এ জন্যেই পুরুষের জন্যে দাড়ি কাটা হারাম। আর দাড়ি একমুষ্ঠি পরিমাণ রাখা সুন্নত (ওয়াজিব)। সুতরাং বুঝা গেল যে, দাড়ি একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটা-ছাটা অথবা মু-ন করা হারাম। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩য় খ-, ২৮৯ পৃষ্ঠা)
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার ফতওয়া বিভাগ থেকে সংকলিত। )
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৯)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৮)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৬)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৩)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৯)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৮)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৪)
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)