সম্পাদকীয়-১
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ১৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বছরের শুরুতে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। আইন অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালারা চাইলে মানসম্মত পর্যায়ে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে সেই আইন বাস্তবায়ন করবে কোন সংস্থা, তার কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
একদিকে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন গতি। এর সঙ্গে যাতায়াত, লেখাপড়া ও চিকিৎসা খরচ- সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা সাধারণ মানুষের। যে হারে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে তাতে আয়ের ৮০ শতাংশ চলে যাচ্ছে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে।
লাগামহীন এ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিতে হতাশ তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন শিল্প-কারখানার শ্রমিক, নগরের নিম্নবিত্ত মানুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৬২৮ শতাংশ।
অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা শুধুমাত্র বাসা ভাড়া পরিশোধে ব্যয় করে থাকেন।
বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণের আইনটি হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার নানান বিষয় এখানে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে আইনটির বিন্দুমাত্র প্রয়োগ নেই।
প্রকাশিত তথ্য মতে, ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৪০০ শতাংশ।
বিগত সব সরকারের মত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ভাড়াটেদের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। বাড়ি ভাড়া নিয়ে নামমাত্র যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়িত হয় না। কোন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে, সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের করার কথা। আর ঢাকা সিটি করপোরেশন সব বাড়ির হোল্ডিং কর নির্ধারণ করে দেয়। কাজেই তাদেরই উচিত প্রতিটি বাড়ির ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া। সিটি করপোরেশনের এমন একটি তালিকাও আছে, কিন্তু সেটিও মানা হয় না। অনেকে জানেনও না।
বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা তুললেও এরকম স্পর্শকাতর ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে রহস্যজনকভাবে নীরব। জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনেও বাড়ি ভাড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বাড়িমালিকেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন, বছর বছর ভাড়া বাড়াচ্ছেন। কোনো কোনো বাড়ির মালিক বছরে দুইবার ভাড়া বৃদ্ধি করেন-জানুয়ারি এবং জুন মাসে।
দৃশ্যমান বাস্তবতা হলো বাড়াওয়ালাদের বছর না ঘুরতেই ভাড়া বাড়ানো একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি।
বাসা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করতে ভূক্তভোগীরা বারবার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। নানান কর্মসূচি পালন করেছে। তবুও এই অসহায় ভাড়াটিয়াদের কোনো কথাই শোনা হচ্ছে না।
সরকারের সদিচ্ছাই অনাকাক্সিক্ষত বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে মধ্যবিত্তের জীবনকে দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে ইনশাআল্লাহ।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বন-জঙ্গল উজাড় করে বিদেশী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া আর কচ্ছপ বাঁচানোর জন্য নারিকেল দ্বীপের মানুষ মারা এর চেয়ে বড় বৈষম্য এবং চরম অমানবিকতা আর কী হতে পারে? অবিলম্বে নারিকেল দ্বীপের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জুলুম আর বৈষম্য বন্ধ করতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)