সম্পাদকীয় (১)
ঢাকায় ১৬ বছরে ১৬ বার ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো বরদাস্তযোগ্য নয় অপ্রয়োজনীয় ও অলাভজনক প্রকল্পের অপচয়, জনগণের কাধে নয়।
, ২২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বুধবার (২৯ মে) গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা ওয়াসা।
সেখানে বলা হয়েছে, ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এর ২২ ধারা অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করার লক্ষ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের প্রতি ১ হাজার লিটার পানির মূল্য ১০ শতাংশ হারে সমন্বয় করে ১৫.১৮ টাকার স্থলে ১৬.৭০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ৪২.০০ টাকার স্থলে ৪৬.২০ টাকায় নির্ধারণ করা হলো। এ সিদ্ধান্ত মিটারবিহীন হোল্ডিং, গভীর নলকূপ, নির্মাণাধীন ভবন ও ন্যূনতম বিলসহ সকল প্রকার (পানি ও পয়ঃ) অভিকরের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
ঢাকা ওয়াসার হিসাব বলছে, ২০০৯ সালে আবাসিক পর্যায়ে প্রতি হাজার লিটার পানি কিনতে গ্রাহককে গুনতে হত ৫ টাকা ৭৫ পয়সা। চলতি বছরের জুলাইয়ে দাম বাড়লে যা দাঁড়াবে ১৬ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ ১৬ বছরের ব্যবধানে ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ।
দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসা বিদেশি ঋণে যেসব উচ্চাভিলাসী প্রকল্প নিয়েছে, সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ, বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়নি। এরই খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।
ঢাকা ওয়াসার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ভাকুর্তা ওয়েলফিল্ড প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি লিটার পানি পাওয়ার কথা ছিল। হিমালয়ের চ্যানেল দিয়ে ভাকুর্তায় প্রচুর পানি আসে- এমন ধারণায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবির) কাছ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ২০১৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল ওয়াসা। তবে সেখান থেকে পানি পাওয়া যায় লক্ষ্যের অর্ধেকেরও কম।
চীন থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে একই সময়ে বাস্তবায়ন করা হয় পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প। এ প্রকল্প থেকে বর্তমানে পানি পাওয়া যায় দৈনিক ৪৫ কোটি লিটারের পরিবর্তে ২০ কোটি লিটার।
ঢাকা ওয়াসার আরেকটি প্রকল্প চীন থেকে নেওয়া চার হাজার কোটি টাকা ঋণে দাশেরকান্দিতে বাস্তবায়ন করা হয় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। তবে পয়ঃবর্জ্য যাওয়ার কোনও নেটওয়ার্ক তৈরি না করায় এই প্রকল্প থেকেও কোনও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এটির ব্যবস্থাপনা বাবদ বছরে ২০০ কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে ঢাকা ওয়াসাকে।
অর্থাৎ ২০২৩ সালের এক অডিট রিপোর্ট থেকে দেখা গেছে, দাশেরকান্দি প্রকল্পে প্রতিবছর ওয়াসাকে ঋণের কিস্তি দিতে হচ্ছে ৪৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। পদ্মা-যশলদিয়া প্রকল্পে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে ৫৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ভাকুর্তা প্রকল্পে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৬ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, ২৬ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ গ্রহন করে “ওয়াসা কিছু প্রকল্প নিয়েছে যেগুলো অনেকটা সাদা হাতি পালার মতো। তাতে দুর্নীতি হচ্ছে, কিন্তু লাভ হচ্ছে না। ঋণ করে টাকা নিয়ে প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। এমনিতেই দেশের অন্য ওয়াসার থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বেশি।
প্রসঙ্গত মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে। এখন পানির দাম বাড়ানো আরও চাপ বৃদ্ধি করবে।
একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়াচ্ছে, এক কথা। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ানোটা উচিত না। সরকার জানে মানুষ কেমন আছে। এই অবস্থায় দাম না বাড়িয়ে অন্য কোনও পদ্ধতি সরকারের নেওয়া উচিত ছিল। ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে এ অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধির পুরোটাই বহন করতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
এ ছাড়া ওয়াসা দৈনিক যত পানি উৎপাদন করে, তার ২০ শতাংশের বেশি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছায় না। কাগজে-কলমে ওয়াসার এই সিস্টেম লসের (কারিগরি অপচয়) আর্থিক পরিমাণ ২৮০ কোটি টাকার বেশি। শুধু এ অপচয় কমাতে পারলেই বছর বছর ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে হতো না।
প্রসঙ্গত পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই ” এই আয়াত শরীফের ইলিম ও আমল ওয়াসা তথা সরকারের কর্তাব্যাক্তি ও জনগণ উভয়য়ের খুব প্রয়োজন। তাহলে অপ্রয়োজনীয় এবং অলাভজনক পানির প্রকল্পও হতোনা জনগণের পানি ব্যায় ও অপচয় হতোনা দামও বাড়তনা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অনেক সাশ্রয় এবং অনেক সফলতার কৃতিত্বধারী বাপেক্সকেই
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা।
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং লখতে জিগারে সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আহলে বাইতে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো বহু পিছিয়ে। অথচ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব; রয়েছে বায়োফুয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা। সরকারের উচিত- দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করা।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)