ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্যতালিকা
, ২৯ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২২ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্বাস্থ্য
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অন্যান্য জটিলতার সম্ভাবনা কমানো। ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস রোগে খাদ্যনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিকিৎসাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস রোগেও পথ্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই কারণে ডায়বেটিস রোগীদের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর ও সুষম।
মাঝারি বা ভারী শ্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিরা প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ ক্যালরি খাদ্যশক্তির খাবার গ্রহণ করবেন। মোট ক্যালরির ৪০-৫০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। জটিল শর্করা যেমন ভূসিসহ আটা, ঢেঁকিছাঁটা চাল, ডাল, বাদাম, শিমের বিচি, ছোলা প্রভৃতি খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। মোট ক্যালরির ১৫-২০ শতাংশ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হবে।
সারা দিনের খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। পাঁচ ভাগের এক ভাগ সকালের নাশতায়, দুই ভাগ দুপুরে এবং দুই ভাগ রাতে খেতে হবে। বেলা ১১টা ও বিকেল চারটার দিকে হালকা নাশতা খাওয়া যায়।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। খাবারে টাটকা ফল রাখতে হবে। বিশেষ করে জাম্বুরা, আমড়া, পেয়ারা, কামরাঙ্গা প্রভৃতি দৈনিক ১৫০-২৫০ গ্রাম পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। কারণ এগুলোতে তেমন ক্যালরি থাকে না।
ডায়াবেটিস হলে যে খাদ্যগুলো নিষেধ করা হয় বা একেবারেই কম খেতে বলা হয় তা হলো- চিনি, মধু, গুড়, মিষ্টি, জ্যাম, জেলি, মিষ্টি পানীয়, দুধের সর, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি বিস্কুট, মিষ্টি দই, ঘি, ডালডা, চর্বিযুক্ত গোশত, কলিজা, গলদা চিংড়ি, মগজ, ভাজা খাদ্য, পাকা কলা, কিশমিশ, আঙ্গুুর, আখের রস। তবে খাওয়া যাবে শস্যচাল, গম, চিড়া, রুটি, নুডলস, নোনতা বিস্কুট, ডাল, বাদাম, শিমের বিচি, উদ্ভিজ্জ তেল, আলু, গাজর, শালগম, শাক (সব রকমের), চর্বিহীন গোশত, মাছ, ফল, ননিতোলা দুধ, পনির, ছানা ও ডিম।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা সকাল আটটার মধ্যে দুটি ছোট পাতলা আটার রুটি বা পাউরুটি, একটি ডিম অথবা এক বাটি ডাল, সবজি ও ফল ইচ্ছেমতো খাবেন। বেলা ১১টায় খাবেন মুড়ি বা বিস্কুট এবং যেকোনো একটি ফল। দুপুরে খাবেন চার কাপ ভাত, দুই টুকরো মাছ বা গোশত, সবজি, শাক-সালাদ-লেবু। বিকেলে এক কাপ দুধ, সঙ্গে খাবেন ৩০ গ্রাম ডাল বা বাদাম। রাতে দুটি আটার রুটি বা ১ কাপ ভাত, এক টুকরো মাছ বা গোশত এবং সবজি খাবেন ইচ্ছেমতো।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জন্মের ২য় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতে শিশুর বাড়তি যত্ন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসছে শীত, নিজের যত্ন নিবেন যেভাবে
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পাইলস কি এবং কাদের হয়
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
টুথপেস্ট-সাবানের জন্যও হতে পারে হাড়ক্ষয়
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাদ্যের কাজ ও উপাদান (২)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উচ্চ রক্তচাপ কেন নীরব ঘাতক
২৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লোহিত রক্তকণিকা বাড়ানোর উপায়
০৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা
২৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তীব্র গরমে শরীরের জন্য উপকারী যেসব ফল
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাবদাহে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস্ট্রিক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)