জ্বালানী বিষয়ে সরকারের অবহেলা, উদাসীনতা আর সরকারের কর্তাব্যক্তিদের লুটপাটের প্রবনতা বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় গ্যাস সম্পদ ও জ্বালানী সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের চেতনা প্রতিফলিত করতে হবে।
, ১৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৪ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
আগে মনে করা হতো উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে যত দক্ষিণে যাওয়া হবে ততই খনি পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। এখন সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো।
উল্লেখ্য; ভুল জ্বালানি নীতি এবং গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে অবহেলা ও দুর্বল উদ্যোগের কারণে দেশীয় গ্যাস সম্পদ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। বরং দিনে দিনে আমদানিনির্ভর উচ্চ মূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে, তেমনি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের ভুল নীতি খোলাসা হয়ে পড়ে। সংকটে পড়ে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসকূপটির সন্ধান মিলল। কিন্তু ভোলার গ্যাস নিয়ে আড়াই দশক পরও কার্যকর পরিকল্পনা নিতে পারেনি সরকার। এ গ্যাস জেলার বাইরে আনার কোনো ব্যবস্থা নেই। জেলার ভেতরেও উৎপাদন সক্ষমতা অনুসারে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি।
উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানির কারণে যে ডলার ব্যয় হচ্ছে, তা দেশের অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া।
মূলত; আগের সরকারগুলোর মতো ‘লুণ্ঠনবৃত্তি অব্যাহত’ থাকার ধারাবাহিকতায় পুরো জ্বালানি খাত এখনও আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে আমরা কাজে লাগাচ্ছি না। ১ টাকা দামের গ্যাস এখন ৮৩ টাকা খরচ করেও আমদানি হচ্ছে। সমুদ্র বিজয়ের ১০ বছর পরও সেখানে কিছুই করা গেল না। এলএনজি লবিই মূলত জ্বালানি খাতের সব নীতি নির্ধারণ করে থাকে।’
দ্রুত সরবরাহ আইনটি ভয়ংকর। দুর্নীতি হলেও এই আইনে মামলা করা যাবে না। অথচ টাকা দেবে জনগণ। এ আইনের ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ আছে।
নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা গেলে কেন দেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করা যাবে না?
প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম এক টাকা বাড়ানো হলে বছরে আট হাজার কোটি টাকা বাড়তি দিতে হয় ভোক্তার।
আমরা এনএনজি আমদানি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) যে রিজার্ভ গ্যাস রয়েছে সেগুলো উত্তোলন না করে আমরা আমদানি জ্বালানিতে নির্ভর করছি।
এখন বিদ্যুতের উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। ইনডেমনিটি একটি ঘৃণিত শব্দ আমাদের রাজনীতিতে। অথচ, ২০২২ সালে এসে আবার সংশোধিত করে নবায়ন করা হয়েছে। এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, এলএনজি লবি অনেক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। লুণ্ঠনবৃত্তি বিগত সরকারের মতো অব্যাহত রয়েছে।
দেশিয় গ্যাস তুললে যে লাভ তার চেয়ে না তুললে বেশি লাভ। আমদানি করলে কমিশনের বিষয় থাকতে পারে। এটা শুধু আজ থেকে নয়, ঐতিহাসিকভাবেই অনুসন্ধানে স্থবিরতা বিদ্যমান। সরকার পরিবর্তন হলে একটা আশা করা হয়, কিন্তু সেভাবে পরিবর্তন হয়নি। বরং আগের ধারার সঙ্গে নতুন ধারা আমদানি যুক্ত করা হয়েছে। এই অবস্থা থাকলে ৩০ সালে গ্যাস খাত পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে।
ইউএসজিএস তাদের এক সার্ভে রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশে আরও ৩২ টিসিএফ গ্যাস অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে বছরে ১ টিসিএফ গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে সে হিসেবে আরও ৩২ বছরের মজুদ রয়েছে। দেশিয় গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম সঠিক গতিতে না হওয়ায় আজকের এ সংকট। অচলাবস্থার কারণেই চড়া দামে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে আমাদের সীমানার ওপারে মিয়ানমার অনেক গ্যাস উত্তোলন করছে। অথচ, আমরা গত ১০ বছরে কিছুই করতে পারিনি। এখন সাগরে বিডিং রাউন্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে, স্থলভাগেও কাজ শুরু হয়েছে। তবে এটা খুব বেশি বিলম্বিত হয়েছে। এটা ১০ বছর আগে করা গেলে আজকের এই সংকটের সৃষ্টি হতো না।
সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতি কথার কথা বলে, কিন্তু কাজ করছে তার নীতির বাইরে। কাফকোকে দেশিয় দামে গ্যাস দিতে হতো। আর তার কাছ থেকে সার কিনতে হতো সিঙ্গাপুরের দরে। সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতি কথার কথা বলে, কিন্তু কাজ করছে তার নীতির বাইরে। কারণ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা রাতারাতি ধনী হতে চাচ্ছে। তারা লুটপাটকে আর বেশি প্রসারিত করেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা দুর্নীতি গ্রস্ত করছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
গ্যাস বণ্টনে সরকারি খাত বৈষম্যের শিকার। দেশিয় কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কেনা হচ্ছে ১ দশমিক ৩ টাকায়, আর সমপরিমাণ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় করা হচ্ছে ৮৩ টাকা। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে গ্যাসের মজুদ ও উৎপাদন প্রবৃদ্ধি নেই বললেই চলে। অথচ তহবিলের ৬৫ শতাংশ অর্থ অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
জ্বালানি প্রাকৃতিক সম্পদ, আর যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক জনগণ সংবিধান বলেছে তিন ধরনের মালিকানা অনুমোদনযোগ্য। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান হতে হবে দেশিয় উদ্যোগ, বিদেশি থাকতে পারে সম্পূরক হিসেবে। সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরণে জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণœ রেখে চুক্তি হতে হবে।
গ্যাস তথা জ্বালানীর ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী এবং সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরকারকে অবিলম্বে সরে আসতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সরকারের নির্দেশ আর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কমানো হচ্ছে না শিশুর কাধে ১২ কেজির বইয়ের বোঝা সংস্কারের দাবীদার- নতুন সরকার কী নতুন বছরে শিশুর কাধে বইয়ের বোঝা কমাবে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বীজ আইন সংস্কার করে শস্যের বীজে কৃষকের আসার নিশ্চিত করতে হবে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)