সম্পাদকীয় (২)
চিকিৎসা না করে, সঞ্চয় ভেঙ্গে, ধার করে খাদ্যপণ্য কিনছে মানুষ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে চাহিদা ও যোগানের সঠিক পরিসংখ্যান আগে করতে হবে
, ১৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কোন দ্রব্যের দাম বাড়ছে না? এ প্রশ্ন এখন অর্থহীন বরং কোন বর্ধিত মূল্য আবারো বাড়ছেনা? এবং তারপরেও আবারো বাড়ছে না এ প্রশ্নই এখন প্রতিদিন নতুন করে করতে হচ্ছে এর উত্তরে।
অর্থনীতিবিদরা মাথা ঘামাবেন আর সরকারি মহল গলার জোরে বলবে, কোন দেশে দাম বাড়েনি বলেন? আমরা না থাকলে যে কী হতো, এখন তো বাজারে জিনিস পাচ্ছেন, সেটাও পেতেন না। এই কথায় গুরুত্বহীন সাধারণ মানুষেরা আরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন আর খরচ কমানোর পথ খুঁজতে থাকেন। মানুষের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর সাময়িক প্রভাব যতটা দীর্ঘ, মেয়াদি প্রভাব তার চেয়ে বেশি এবং ভয়াবহ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর গত বছরের এপ্রিলে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বা দ্রব্যমূল্য নাকি সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা। এ বিষয়ে সরকারপ্রধান নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব বিপরীতমুখী। চলতি অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। কিন্তু নানা পদক্ষেপ নিয়েও তা কোনোভাবেই ৯ শতাংশের নিচে নামাতে পারেনি। বরং টানা ২৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
বিবিএস যেসব পণ্যমূল্য নিয়ে জরিপ করে, সে তালিকায় খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, মাছ, গোশত, তেল, চিনিসহ ১২৭টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
বিশ্ব-খাদ্য কর্মসূচির চলতি মাসের প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের খাদ্য কেনার খরচ ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য কেনার খরচ এত বাড়লেও মানুষের আয় কিন্তু বাড়েনি। অনেকের আয় বরং কমেছে। অনেকে কর্মহীন বা বেকারে পরিণত হয়েছে। সংসারে যে ব্যয় বেড়েছে, অর্থের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে অনেকে অন্যান্য খরচ কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। ৪৩ শতাংশ মানুষ বাকিতে খাবার কিনছে। ২২ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়েছে। ১৩ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে।
সরকারের তরফে বড় গলা করে বলা হয়। দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ, গোশত, ডিম, দুধেও পিছিয়ে নেই। ফলমূল, শাকসবজি, তরিতরকারিও প্রচুর উৎপাদিত হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে উৎপাদন মওসুমেও চালের দাম বাড়ে কেন? আটার দাম বাড়ে কেন? কেনই বা বিপুল পরিমাণ চাল-গম আমদানি করতে হয় ফি বছর? গবাদীপশুর সংখ্যা বার্ষিক চাহিদার তুলনায় বেশি বলে দাবি করা হলেও গোশতের দাম বাড়ে কেন? মুরগির দাম, ডিমের দাম বাড়ে কেন? মাছের দামই বা কেন বাড়ে? কেন ভর মওসুমেও শাকসবজি, তরিতরকারির দাম লাগামের বাইরে চলে যায়? এসব প্রশ্নের যুক্তিগ্রাহ্য কোনো জবাব নেই। এই বৈপরীত্যের একটি কারণ এই হতে পারে যে, সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয় বা দাবি করা হয়, তা সঠিক নয়। দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলু উৎপাদিত হয়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এখন একই কথা প্রযোজ্য। তাহলে আলু-পেঁয়াজের দাম এত বাড়ে কীভাবে? কেনই বা আলু-পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিতে হয়? চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে নিশ্চয়ই গড়মিল আছে।
এজন্য চাহিদার পরিসংখ্যান সঠিক হতে হবে। সে অনুযায়ী উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এভাবে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হলে সিন্ডিকেটবাজদের দৌরাত্ম্য আপনাআপনিই কমবে। বাজারের ওপর সরকারের নজরদারি তো থাকতেই হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ সক্ষমতাও থাকতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল উলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছহিবাতুল ইয্যাহ্- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)