চাহিদা বাড়ছে মাশরুমের, বাড়ছে চাষ
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা:
, ৫ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০১ সাবি’, ১৩৯০ শামসী সন, ৩০শে নভেম্বর, ২০২২ খ্রি:, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দেশের খবর
একটা সময় মাশরুম সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল নেতিবাচক। দিন দিন পাল্টেছে সে ধারণা। বাজারে বেড়েছে মাশরুমের চাহিদা। সেই সঙ্গে বিস্তার ঘটেছে মাশরুম চাষেরও। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে মাশরুম চাষ কেন্দ্র। যেখান থেকে দেশের বাজারে মাশরুমের বিশাল চাহিদা পূরণ করা হয়। চাষিরা বলছেন, সময়ের ব্যবধানে মাশরুম হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। দেখাচ্ছে সম্ভাবনার হাতছানি। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে কৃষি বিভাগও।
চাষের জন্য প্রয়োজন হয় না জমি, লাগে না বীজ, কীটনাশক কিংবা সার। জৈব পদ্ধতিতে মাত্র দুই-তিন সপ্তাহে উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এরপর একেবারে বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান সম্মত খাওয়ার উপযোগী মাশরুম। দিনে দিনে মাশরুম সম্পর্কে মানুষের ভিন্ন ধারণা পাল্টাচ্ছে, বাড়ছে চাষ। ২০০৭ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়ার যুবক জাহিদুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেন মাশরুম চাষ নিয়ে। শুরুর দিকে পথটা মসৃণ ছিল না তার।
মাশরুম চাষি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ সালে ছাত্র অবস্থায় যখন মাশরুম চাষ শুরু করি, তখন মাশরুম নিয়ে মানুষের তেমন কোনো ধারণাই ছিল না। এটি যে একটি খাবার, তাও মানুষ জানতো না। অনেকে ব্যাঙের ছাতা বলে মাশরুমকে খাদ্য তালিকা থেকে দূরে রাখতো। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষকে মাশরুমের সঙ্গে পরিচিত করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ধারণা অনেকটা পাল্টেছে। এখন বিভিন্নভাবে মাশরুম চাষ হচ্ছে। আমাদেরও চাষ কেন্দ্র বেড়েছে। এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাশরুমের অর্ডার পাই, বিশেষ করে বিভিন্ন সুপার শপে মাশরুমের চাহিদা বেশি।
মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাশরুমের স্পন (বীজ) সম্পূর্ণভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে তৈরি। এজন্য আমরা কাঠের গুঁড়া, গমের ভূষি, ধানের কুড়া, খড় ও চুন ব্যবহার করে থাকি। এসব উপকরণ ছাড়াও অনেকে আরও কিছু দ্রব্য যোজন বিয়োজন করে। এসব উপকরণ দিয়েই মূলত মাশরুম চাষ করা হয়। একটি মাশরুম চাষের জন্য দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগে। খরচও খুব বেশি নয়। সে হিসেবে দামও ভালো।
জাহিদুল বলেন, মাশরুম ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩০ টাকা দিয়ে একটি স্পন কিনে আমার যাত্রা শুরু হয়। সেই একটি স্পন থেকে ছয়টি স্পন হলো। সে সময় ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে আমার এ প্রজেক্টে ৮৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা আছে। মানভেদে প্রতি কেজি মাশরুম আট থেকে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মেক্সিকোতে ভূমিধসে ৯ জনের মৃত্যু
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাদেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার চেয়ে আলটিমেটাম
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘ভুয়া’ পে অর্ডার দিয়েছিলো এস আলমের দুই পুত্র
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ট্রাফিক আইন অমান্য করায় একদিনে ২৯২ মামলা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে -তথ্য উপদেষ্টা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সংস্কার করতে হবে কেন -নজরুল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, যা বললেন জনপ্রশাসন সচিব
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আ.লীগের মতো আচরণ করলে আমাদের পরিণতিও একই হবে -ফখরুল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে যোগদান করতে দেয়া হবে না -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশ ছেড়েছে আওয়ামী লীগের অনেকেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কর্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশিদের বড় সুযোগ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রপ্তানি নেই, তবু ইলিশের দাম কমছে না কেন?
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)