চাল, চিনি, পেয়াজ, তেল, মুরগীর পর এবার ডিম সিন্ডিকেট করে একের পর এক মহাডাকাতি করা হচ্ছে।
সংসদের শতকরা ৬২ ভাগই ব্যবসায়ী হওয়ায় তারাই সিন্ডিকেটের নেপথ্য কুশীলব বলে অভিযোগ উঠেছে। জনকল্যাণের দাবীদার সরকারকে সর্বাগ্রে রাজনৈতিক প্রভাবশালী অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নির্মূল করতে হবে।
, ০৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১০ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
প্রতিদিন মাছ-গোশত যারা কেনার সামর্থ রাখে না তারা অনেকটাই ডিমের উপর নির্ভরশীল। দৈনিক আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য ডিমই সবচেয়ে সূলভ ছিল। কিন্তু সেই ডিম নিয়েও যে কঠিন কারসাজি করা হলো, তাতে সিন্ডিকেটের ধারাবাহিকতা যে অপ্রতিরোধ্যগতিতে চলতেই থাকবে তা স্পষ্ট মালুম হলো। ব্যবসায়ীদের একটি সংঘবদ্ধ দল নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে কোনো কারণ ছাড়াই রাতারাতি বাড়িয়ে দিতে পারে পণ্যের দাম। খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়তে বেশি দেরি হয় না। দিন দশেকের এই ডাকাতি তাদের লাভের ঘর পূর্ণ করে দেয়। যারা এ কাজটি করছে, তাদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়েছে কোথাও, এমন নজির কি কেউ দেখাতে পারবে?
প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ডিমের দাম বাড়িয়ে ১০ দিনে প্রায় শত কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা পকেটে ভরেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অদৃশ্য সিন্ডিকেট শুধু একটি নির্দিষ্ট পণ্য নয়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়ছে। কখনো কখনো তা হয়ে যাচ্ছে লাগামছাড়া। এটা বলার অপেক্ষা রাখে যে, ব্যবসায়ী ও উৎপাদক শ্রেণি হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এদের মধ্যে যথাযথ সমন্নয় প্রয়োজন। আরও একটি বিষয় খুবই জরুরি। সেটা হলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। যা আমরা শুধু রমজান মাসেই বেশি দেখি। বাস্তবতা হলো ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে যেমন অভিযান প্রয়োজন তেমনি অতিরিক্ত মজুত ও ইচ্ছে মতো মূল্যবৃদ্ধি রোধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এখন সরকারকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। আমদানির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট একটি কমন বিষয়। অধিকাংশ সময়ে আমাদের দেশে মূলত রাজনৈতিক কারণে আমদানির অনুমতি মেলে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতার কারণে সিন্ডিকেটগুলো বেশি মুনাফালোভী মানসিকতা সাধারণ মানুষকে দ্রব্যমূল্যের লেলিহান অগ্নিমূল্যে ঝলসিয়ে মারে। নাউযুবিল্লাহ!
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দেশে এমন কোনো সেক্টর বাকি নেই যেখানে অসাধু সিন্ডিকেট গড়ে উঠেনি। বাজার থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি। প্রতি ক্ষেত্রেই তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করাই যেন এদের ‘দায়িত্ব’ হয়ে উঠেছে।
অভিজ্ঞমহল বলেন, আমাদের ভোক্তাদের অধিকার যারা দেবে, তাদের ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে ভোক্তাদের অধিকার গ্রহণের সুযোগ কমে গেছে। এর মূল কারণ হলো ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ীরা মন্ত্রী, সিটি করপোরেশনের মেয়র, ব্যবসায়ীরা পত্রিকার মালিক অথবা সেই মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা যখন ওপরে উঠছে, তখন ভোক্তার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের পর জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সাড়ে ১৭ ভাগ ছিলেন ব্যবসায়ী। ১৯৯১ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ ভাগে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে শপথ নেওয়া সংসদ সদস্যদের ১৮২ জনই পেশায় ব্যবসায়ী, যা মোট সংসদ সদস্যের ৬২ ভাগ।
পর্যবেক্ষক মহল জানান, এসবের প্রভাব বাজারে পড়ছে। তাই হঠাৎ করেই পেঁয়াজ, আলু, তেল, চালের বাজার অস্থির হয়ে যাচ্ছে এবং তা নিয়মিতভাবে অস্থির থাকছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তারা পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। কিন্তু ভোক্তাদের কিছুই করার থাকছে না। এর সমাধানে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেননা এতে রয়েছে ব্যবসায়ীদের অদৃশ্য চাপ। তারা সরকারকে নির্ধারণ করে দিচ্ছে কী করতে হবে।
সরকার ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু তাদের সক্ষমতা কতটুকু এ নিয়ে তীর্যক প্রশ্ন আছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ে একজন করে কর্মকর্তা দেওয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা একটি জেলায় কী কাজ করতে পারবে? একই অবস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের। সীমিত লোক দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।
মোবাইল কোর্টের আইন আছে কিন্তু কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে?
দিনের পর দিন তেলের দাম বাড়ছে। ওষুধের দাম বাড়ছে। অথচ ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদন ছাড়া তেলের দাম বাড়ানো যায় না। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ওষুধের দাম বাড়ানো যায় না। কার কথা কে শুনছে। এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে আছে সবাই। সবকিছুর বিবেচনায় বর্তমানে বাংলাদেশের ভোক্তারা অসহায় হয়ে গেছে।
আমরা চাই, সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কঠোরহস্তে দমন করবে। সরকার না চাইলে কোনো কিছুই রাষ্ট্রে টিকে থাকতে পারে না। পিয়াজ, ডিম, তেল, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে সিন্ডিকেটের চালবাজির কাছে সরকারের উন্নয়নের প্রচারণা ভূলণ্ঠিত- তা সরকারের কাছে কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সরকার সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ প্রহণ করবে এটাই গভীর জন প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন জনকল্যাণ সাধন করাই তার লক্ষ্য। জনগণ তাই চায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সরকারকে সর্বপ্রথম যেসব সুবিধাবাদী ব্যবসায়িক এমপি বা দলীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট কারসাজি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট করার সুযোগটি চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। জনগণ ব্যবসায়ী স্বচ্চ সম্পর্কের সূচনা করতে হবে। তাতেই প্রকৃত জনকল্যাণের সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যা উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো বহু পিছিয়ে। অথচ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব; রয়েছে বায়োফুয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা। সরকারের উচিত- দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করা।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)