চামড়ার অভাবে ভারতের চামড়া কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে আসছে ৪০% এরও কম।
ভারতের সাথে আঁতাত করে এদেশের কিছু মন্ত্রক, আমলা ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী কূটকৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের ব্যবস্থা করেছে। অথচ সরকারের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এবারই একটি কাঁচা চামড়া থেকে পন্য পাওয়া যেতো ছয় হাজার টাকা। চামড়া শিল্প নিয়ে এমন রহস্যজনক ছিনিমিনি কাজ কিভাবে হচ্ছে? আর জনগণই বা কীভাবে বরদাশত করছে?
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
ভারতের গরুর চামড়ার গুণগত মান ভালো না থাকায় নিজের দেশের কারখানায় সে দেশের পশুর চামড়ার যোগান অতি সামান্য। কিন্তু আমাদের দেশী এবং ক্রস গরুর চামড়ার মান ভালো থাকায় ভারতসহ বিশ্ববাজারে এসব চামড়া থেকে তৈরি চামড়াজাত পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধের ফলে কাঁচা চামড়ার অভাবে ধ্বংস হতে বসেছে ভারতের ট্যানারি শিল্প। বাংলাদেশ থেকে চামড়া পাচার করেই তাদের কারখানায় বিভিন্ন ডিজাইনের চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানী করছে। এতে বাংলাদেশের চামড়ার ব্যবসা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর বাংলাদেশী চামড়ার দাম কম করায় অতি লাভবান হচ্ছে ভারত। ভারতের সাথে আতাত করে বাংলাদেশী স্বার্থন্বেষী সিন্ডিকেট, আমলা, তথা নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশী কুরবানীর গরুর চামড়া নিয়ে বহু প্রকার আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে এবারের চামড়া নিয়ে অনেক ধরণের অনিয়ম অসঙ্গতি ও অনাচার ও চরম অসততার বিষয়গুলো লক্ষ্য করা গেছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করে দেয়া দরের অর্ধেক টাকাও মেলেনি। দেশের অনেক এলাকায় চামড়ার ক্রেতাই পাওয়া যায়নি। অবিশ্বাস্য কম দরের কারণে মাদরাসা ও এতিমখানা চামড়া বিক্রি থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। কোরবানিদাতার দরিদ্র আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা হয়েছেন বঞ্চিত। এতে করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে খোদ সরকার ও সরকার প্রধানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
ভালো দামের আশায় অনেক দূর থেকে রাজধানীর পোস্তার আড়তে এলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই রিকশা ভাড়ার টাকাও ওঠাতে পারেননি। তখন তারা রাগে ও ক্ষোভে চামড়া ফেলে রেখে গেছেন।
অথচ দৈনিক আল ইহসানের তথ্য মতে, ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধের ফলে সেখানকার চামড়া কারখানাগুলোর উৎপাদন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। দেশটির কাছে ট্যানারি শিল্পের প্রধান কাঁচামাল চামড়া এখন ‘সোনার চেয়েও দামি’। কেননা তাদের সরকারের চামড়া খাত থেকে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজস্বের এই লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ করারও প্রত্যাশা রয়েছে দেশটির। তা ছাড়া জারা ও ক্লার্কসের মতো বিদেশি নামিদামি ক্রেতাদেরও হারাতে হচ্ছে দেশটিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ডের চামড়াজাত পণ্যের প্রধান উৎস দেশ হতে পারে বাংলাদেশ। তা ছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে চীনের বাজার হারানোর আশঙ্কাকে বাংলাদেশ সম্ভাবনা হিসেবেও দেখতে পারে। আর এই সম্ভাবনার সময়ে দেশে নামমাত্র মূল্যে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ দেশবাসীকে হতাশ করেছে। সমালোচক মহল মনে করেন, এর পেছনে খোদ মন্ত্রণালয় এবং আমলারাই বিশেষভাবে দায়ী। এমনকি এত বড় বিপর্যয় এবং এত দুঃসহ অবস্থার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের নীরবতা ও নিস্ক্রিয়তা সবাইকে গভীর হতাশাগ্রস্থ ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
ব্যবসায়ীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, একটি মাঝারি আকারের গরু থেকে ২২ থেকে ২৫ বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। রাজধানীর বংশালে প্রক্রিয়াজাত চামড়ার বড় বাজার। সেখানে বিভিন্ন আকারের চামড়ার উপর দামের ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। তবে গড়ে প্রতি বর্গফুট ২০০ টাকা করে ধরলে একটি গরুর চামড়ার দাম পড়ে পাঁচ হাজার টাকা। তবে কাঁচা চামড়া থেকে এই চামড়া বের করার পরও আস্তরসহ দুই ধরনের পণ্য বের করা হয় ট্যানারিগুলোতে। সেই হিসেবে একটি কাঁচা চামড়া থেকে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার বেশি পণ্য পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন পুরান ঢাকার এক চামড়াজাত পণ্য প্রস্ততকারক মোহাম্মদ ইয়াসিন। অর্থাৎ সরকার সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা করলে এরূপ মূল্যই পাওয়া যেতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণেই তা হয়নি। তাই আবারো জোরদারভাবে বলতে হয় যে, এদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস করে ভারতের চামড়া শিল্প জমিয়ে তুলতেই তথা ভারতে চামড়া পাচার করতেই কৌশলে বিভিন্ন কারসাজি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে দেশে কাঁচা চামড়ার প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়া যায়নি। কোরবানির সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্যানারি মালিকসহ কিছু চামড়া ব্যবসায়ীকে নিয়ে আলোচনা করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে- এই প্রক্রিয়া ঠিক নয়। এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার। এই আলোচনায় অনেক বেশি স্বচ্ছতা আনতে হবে। দেশে কী পরিমাণ চামড়ার চাহিদা রয়েছে, গত বছরের চামড়ার মজুদ কেমন আছে, কোন কোন ট্যানারির চামড়ার দরকার আছে এবং কোন কোন ট্যানারি আগের বছরের ঋণ পরিশোধ করেনি- এমন অনেক বিষয় সামনে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করলে সেটা বাস্তবসম্মত হতো। তা ছাড়া চামড়ার উপযুক্ত একটি দাম থাকা দরকার। সারা বছর চামড়ার যে ধরনের দাম থাকে কোরবানির সময়ও সেই রকম দাম অবশ্যই থাকতে হবে। নইলে যারা এই চামড়ার অর্থের দাবিদার সেই দুঃস্থ মানুষ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ক্ষুদ্র ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী এমনকি আড়তদার ও খোদ ট্যানারী মালিকরাও পর্যায়ক্রমে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সবচেয়ে বড় কথা চামড়া শিল্প ও রফতানী লাটে উঠবে। অথচ চামড়া খাত দ্বিতীয় রপ্তানী খাত। কাজেই দেশকে বাঁচাতেই সরকারকে চামড়া শিল্প বাঁচাতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। আর ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম দিচ্ছেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার মহামহিম নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)