চাকরি শেষে ভিক্ষা করে খান গ্রাম পুলিশ।
সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতনে বেঁচে থেকেও প্রতিনিয়তই মরছেন ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশের নূন্যতম অধিকার আটকে আছে উচ্চ আদালতের বিলম্ব প্রক্রিয়ায়। গ্রাম পুলিশের মানবিক জীবন ধারণে সরকারকে এখনই সক্রিয় হতে হবে।
, ০৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৫ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৫ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
২৩০ বছর আগে থেকেই গ্রাম পুলিশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তখন থেকেই তারা অবহেলিত। শতবছর অতিবাহিত হলেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। তার পরও তারা প্রান্তিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিনিময়ে সামান্য বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। ২০১৭ সালের আগে তারা পেতেন ৩ হাজার ৩০০ টাকা। আর এখন পান ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন।
গ্রাম পুলিশের সদস্যদের মানবেতর জীবন দেখে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ উদ্যোগে জাতীয় বেতন স্কেলে তাঁদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরিপত্রও জারি করেছিল। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। দাবির পক্ষে বহু বছর ধরে তাঁরা আন্দোলন করছেন।
গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে দৈনিক ভিত্তিতে একজন কামলা বা দিনমজুরের মজুরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ৫০০ টাকা হিসাবে একজন কামলার মাসিক মজুরি দাঁড়ায় ১৫ হাজার টাকা। অবশ্য মাসে ৩০ দিন কাজের সুযোগ বা সক্ষমতা সব সময় থাকে না। মাসে যদি ২৫ দিন কাজ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে একজন কামলার মাসে মজুরি দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা। সেখানে গ্রাম পুলিশের একজন মহল্লাদারের বেতন সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আর দফাদারের বেতন ৭ হাজার টাকা।
বর্তমানে এই বেতনে কীভাবে চলা সম্ভব? তাঁদের জীবনযাপন কতটা কঠিন ও অসহনীয় তা সহজে অনুমেয়। গ্রাম পুলিশের সদস্যরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অধীনে কাজ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাঁদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের (এসিআর) অনুবেদনকারী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রতিস্বাক্ষরকারী।
একটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় সাধারণত ৯টি ওয়ার্ড থাকে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে গ্রাম পুলিশের সদস্য থাকেন, সেই পদের নাম মহল্লাদার। ৯টি ওয়ার্ডের ৯জন মহল্লাদারকে মনিটর করার জন্য জ্যেষ্ঠ একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য থাকেন। তিনি দফাদার। মহল্লাদার পদে চাকরির জন্য সাধারণত অষ্টম শ্রেণি পাস বা সমমানের যোগ্যতা লাগে। আর ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে মহল্লাদার থেকে দফাদার পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।
সরাসরি দফাদার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক পাস বা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হয়। মহল্লাদারদের সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতনের মধ্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকা এবং বাকি ৩ হাজার ২৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয়।
অনেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেও গ্রাম পুলিশের চাকরিতে ঢোকেন। প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে জাতীয় পতাকা তুলতে হয়, ঝাড়ু দিতে হয় অফিস। এলাকার জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। সপ্তাহে এক দিন থানায় প্রতিবেদন দিতে হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে। মাসে এক দিন ইউএনও কার্যালয়ে কাজ করতে হয়।
বেশির ভাগ রাতবিরাতেও বিভিন্ন জাগাত ডিউটি করা লাগে। চেয়ারম্যান সাহেব বিচার-সালিশে রাতে গেলে সেটিও থাকা লাগে। পুলিশ আসামি ধরবার আলে অনেক সময় থাকা লাগে, কোনো খানে লাশ উদ্ধার করবার সময় সেটিও থাকা লাগে। এলাকায় রাতে কোনো অনুষ্ঠান হলে সেটি ডিউটি করা লাগে। প্রায় দিনই রাতে কোনো না কোনো খানে ডিউটি লাগাই থাকে। আবার দিনের শুরু থাকা সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষদে ডিউটি।
এ ছাড়া ইউপির নানা কাজের ব্যস্ততায় অন্য কোনো কাজ করে অর্থ আয়ের সুযোগ মেলে না। ফলে অল্প বেতনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে তারা পরিবার নিয়ে চরম অভাবের মধ্যে আছেন।
বৃদ্ধ বয়সে চাকরি শেষে তাঁরা কোনো পেনশন পান না। তখন তাঁদের ভিক্ষা করে, ভ্যান চালিয়ে খেতে হয়।
বছরের পর বছর ন্যূনতম বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ তথা দফাদার ও মহল্লাদার। ন্যায়বিচার পেতে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। তাদের করা রিটের শুনানি করে ২০১৯ সালে মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার ঘটে হাইকোর্টের রায়ে। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে আপিল বিভাগের আদেশে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের আর শুনানি হচ্ছে না। ফলে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের প্রতীক্ষার অবসানও ঘটছে না।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারক যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করার পাশাপাশি গ্রাম পুলিশদের বাঁচার মত বেতন নির্ধারন করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)